Thursday, June 18, 2015

Reply to the allegations raised against me raised by Abu Taleb Shaikh – 2nd part



“in response to ur post ...kafirder jekhane pao hatta koro...I like to inform u not to avoid the context of the Treaty between the nonbeliever n believers. again u r doing a false propaganda not related to Islam ..u r quoting verse no 5 of chapter 9 . But why r u avoiding verse no ,6 ??, n why r u jumping like a fox into verse 7 ?? . Ok sir I understand why r u jumping bcz verse no 6 answers ALL ur false allegationss.. If u r a real communist ,disclose chapter no 09 verse no...”
 The above words written Abu Taleb Shaikh were posted on my timeline in response to my post given below.
-  “কোরান বলেছে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে এবং সম্পর্ক না করতে । শুধু তাই নয়, বলেছে ওদের যেখানে পাও হত্যা কর ।
কোরানের কথা তো মিথ্যা হতে পারে না । কারণ, আল্লাহ কি মিথ্যা কথা বলতে পারে ? ভারতে তো স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত-কলকারখানা-ব্যবসাকেন্দ্র-মাঠ-ঘাটে কাফিরদের ছড়াছড়ি । তাহলে এখানকার মুসলমানরা কিভাবে চলবে ? প্রশ্নটা আমার নয়, এই প্রশ্নটা মুসলমানদেরই । তারা উত্তর খুঁজছে ।”
 আবু তালেব-এর উক্ত জবাবের প্রেক্ষিতে এটা আমার জবাবের দ্বিতীয় ভাগ । একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি ও একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তির মধ্যে বিতর্ক ও আলোচনা চলতে পারে না জেনেও তার তোলা  অভিযোগগুলির জবাব কেনো দিচ্ছি তা প্রথম ভাগে বলেছি এও বলেছি যে কেনো তার ইংরাজীতে লেখা জবাবের উত্তর বাংলা ভাষায় লিখছি । সুতরাং এখন তবে সরাসরি অর্থাৎ ভূমিকা ছাড়াই দ্বিতীয় ভাগের উত্তরটা শুরু করা যেতে পারে -   
আবু তালেব আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে আমি বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যেকার চুক্তিটা এড়িয়ে গিয়েছি এবং  ইসলামের সঙ্গে সম্পর্ক বিবর্জিত যতো  সব মিথ্যা প্রচারণা করছি । আমাকে প্রশ্ন করেছে, আমি  ন’ নম্বর সুরা [অধ্যায়] – এর পাঁচ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করেছি, কিন্তু ঐ সুরারই ছ’ নম্বর আয়াতটি কেনো এড়িয়ে গিয়েছি ? এবং  শৃগালের মতো লাফ দিয়ে কেনো ছ’ নম্বর সুরা টপকে সাত নম্বর আয়াতে চলে গিয়েছি ?   
আবু তালেবের এই অভিযোগগুলি পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে যে  আমার বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ ও ক্রোধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ধর্মান্ধ মানুষদের যা হয়   । ফলে  একদিকে যেমন তার ভাষায় অসংযম ফুটে উঠছে, অপরদিকে তেমনই আমি কী লিখছি তা ঠিক মতো উপলব্ধি করার জন্যে আমার কথাগুলো ভালো করে পড়ার ক্ষেত্রে তার ধৈর্যচ্যুতিও ঘটছেতালেব আমার বিরুদ্ধে  ইসলামের সঙ্গে সম্পর্ক বিবর্জিত মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ তুলেছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে, সে নিজেই আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছে তার সঙ্গে আমার বলা কথাগুলোর কোনো সম্পর্ক  নেই । আমি নাকি বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যেকার চুক্তিটি এড়িয়ে গিয়েছি ! আমি নাকি তওবা সুরার [ন’ নম্বর সুরা] পাঁচ নম্বর  আয়াত উদ্ধৃত করেছি এবং ছ’ নম্বর আয়াত এড়িয়ে গিয়েছি বা পাঁচ থেকে ‘শৃগালের মতো’  লাফ দিয়ে সাত নম্বরে চলে গিয়েছি । তালেবের এ সব অভিযোগ শুনে  তার তিন জন বুন্ধু আবার হৈ হৈ করে হাততালিও দিয়েছে   এই তিন জনের মধ্যে নৈমুদ্দিনও আমার প্রাক্তন ছাত্র এবং বাকি দুজন আমার পাড়ার ছেলে । এরা তিনজনই উচ্চ শিক্ষিত ।
কিন্তু আমি কোথায় ঐ আয়াতটি উদ্ধৃত [আবু তালেব লিখেছে - u r quoting verse no 5]  করেছি ? আমি তো কোনো আয়াতই উদ্ধৃত করি নি । আমি বলেছি কোরান বলেছে যে, ‘ওদের [কাফিরদের] যেখানে পাও হত্যা করো’ । এটা কি কোনো উদ্ধৃতি ?   কাফিরদের হত্যা করার আদেশ তো শুধু ৯/৫ নং আয়াতেই নেই, এরূপ আদেশ কোরানের আরো অনেক আয়াতেই আছে । আমি তাই নির্দিষ্ট করে ৯/৫ নং আয়াতের কথা উল্লেখই করি নি, উদ্ধৃত করা তো পরের কথা ।  সুতরাং বিশ্বাসী ও  অবিশ্বাসীদের মধ্যেকার  চুক্তি এবং  ৯/৬ নং আয়াতটি  এড়িয়ে যাওয়ার বা  ৯/৫ নং থকে লাফ দিয়ে  ৯/৭ নং আয়াতে চলে যাওয়ার  প্রশ্নটাই অপ্রসঙ্গিক, অবান্তর, বিভ্রান্তিকর ও হাস্যকর      
হত্যা করার আদেশ আল্লাহ তথা মুহাম্মদ আর যে আয়াতগুলিতে সরাসরি দিয়েছে তার দু’/একটা দৃষ্টান্ত দেওয়া যাক । এরূপ  আদেশ বাকারা সুরার [২ নং অধ্যায়]  ১৯১ নং আয়াতেও রয়েছে । আয়াতটি বলছে -   “যেখানেই পাবে তাদের হত্যা করবে, এবং যে স্থান হতে তোমাদের বহিষ্কার করেছে, তোমরাও সে স্থান হতে তাদের বহিষ্কার করবে । ... ”  এর চেয়েও ভয়ঙ্করভাবে হত্যা করার আদেশ আছে কোরানে ৫ নং অধ্যায় তথা সুরা মায়দার ৩৩ নং আয়াতে । আল্লাহ বলছে এ আয়াতে – “যারা আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি উৎপাদন করে, নিশ্চয় তাদের শাস্তি এই যে – তাদের হত্যা করো, কীংবা তাদের শূল-বিদ্ধ করো, অথবা তাদের হাত তাদের পা বিপরীত দিক হতে কর্তন করো, কিংবা তাদের দেশ হতে বহিষ্কার কর এটাই তাদের পার্থিব প্রতিফল ... ” কোরানে অসংখ্য আয়াত আছে যেখানে মুসলমানদের কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ, উৎসাহ ও প্রেরণা দেওয়া হয়েছে । আর জিহাদ মানেই তো হত্যা করার আদেশ দেওয়া তা বলা বাহুল্য শুধু আত্মরক্ষা করার জন্যে নয়, সারা বিশ্ব ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ রয়েছে কোরানে যা অনুসরণ করছে মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি বিশ্বজুড়ে । কোরান বহু  বার এ রকম কথা বলেছে যে যতদিন না সমগ্র পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয় ততদিন জিহাদ করবে।   ২/১৯৩ নং আয়াত  হলো  সে রকম একটি – “তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত অশান্তি দূরীভূত না হয়, এবং আল্লাহর ধর্ম প্রতিষ্ঠিত না হয়  ... ।”  
আবার বলছি যে  ৯/৫ নং আয়াতটি উদ্ধৃত করা তো দূরের কথা, আমি এই আয়াতটির উল্লেখও পর্যন্ত করিনি তবু তালেব এই আয়াতটিকে অকারণ টেনে এনেছে এবং তার সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট চুক্তি ও ৯/৬ নং আয়াতটিকে জুড়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছে  যে, আমি নাকি শুধু শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করছি । এবং আরো অভিযোগ করেছে যে ৯/৬ নং আয়াতটি আমি একজন ধুর্তের মতো চেপে গেছি । কেনো চেপে গিয়েছি তার জবাব সে নিজেই দিয়েছে, বলেছে এই আয়াতটাতে  নাকি আমার সব মিথ্যা প্রচারণার উত্তর রয়েছেএরূপ গায়ে জ্বালা মেটানো বা নিজের রাগের উপশম করার জন্যে মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগের জবাব দেওয়া  আমার কাছে অরুচিকর মনে হয় এবং জবাব দিতে গিয়ে আমার মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করা  সমীচীনও মনে করি না ।  কিন্তু যেহেতু বলেছে যে ৯/৬ নং আয়াতে সব মিথ্যা প্রচারের জবাব আছে এবং তার এই কথায় অনেকেই প্রভাবিত হয়েছে তাই আমাকে আমার ব্যস্ত সময়ের অনেকটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছেই   
৯/৬  নং আয়াতটি বুঝতে হলে তার আগের কয়েকটি আয়াত আগে জানা আবশ্যক ।  সব আগে    ৯/৫ নং আয়াতটি উদ্ধৃত করা যাক  । আয়াতটি বলছে, “অতঃপর নিষিদ্ধ মাসসমূহ বিগত হলে, অংশীবাদীদের যেখানে পাবে বধ করবে, তাদের বন্দী করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে, কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় তবে তাদের মুক্ত করে দেবে; নিশ্চয় আল্লাহ্ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু   তালেব বলেছে যে এই আয়াতটির সঙ্গে একটি চুক্তির সম্পৃক্ততা আছে যেটা আমি সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছি ।  আবারো বলছি তালেব তার কল্পনার জগত থেকে এ সব  অভিযোগ উত্থাপন করেছে যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই । তথাপি  এবার  সেই চুক্তিটির  কথা আলোচনা করতে চাই । কেননা, এটা এখন আমার কাছে  প্রাসঙ্গিক ও আবশ্যক হয়ে গিয়েছে । তালেব কোন  চুক্তিটির কথা বলেছে তা উল্লেখ করে নি । ৯/৫ নং আয়াতের সঙ্গে যে চুক্তিগুলি সম্পৃক্ত সেগুলি সম্পাদিত হয়েছিলো অবিশ্বাসী ও বিশ্বাসীদের মধ্যে মক্কা জয়ের  পূর্বেই ।  চুক্তি হয়েছিলো মুহাম্মদের সঙ্গে সেই সব অবিশ্বাসী গোত্রগুলির যারা ছিলো কোরেশদের শত্রু । চুক্তিগুলি ছিলো মূলতঃ সন্ধিচুক্তি । সেক্ষেত্রে প্রধান শর্ত ছিলো যে তারা পরষ্পরের  বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না    মক্কা জয়ের পর মুহাম্মদ কিন্তু নির্মমভাবে ও অকারণে সেই চুক্তিগুলি  বাতিল করে দেন যা তাঁর সুবিধাবাদী নীতিকেই প্রকট করে ।
তিনি যখন দুর্বল ও অসহায় ছিলেন তখন সন্ধি করেন,  যেই বিপুল শক্তি অর্জন করলেন তেমন একতরফা  সব চুক্তি বাতিল  করে দেন ।  কোনো আলোচনা ছাড়াই এবং  একতরফাই যে  সকল সন্ধিচুক্ত  বাতিলের ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন তার প্রমাণ রয়েছে ৯/১ নং আয়াতে   ৯/১ নং আয়াতের সেই ভয়ঙ্কর ঘোষণাটি হলো –“   তোমরা  যাদের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করেছিলে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পক্ষ হতে সেই অংশীবাদীগণের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো ।” এই ঘোষণাটি পরে একটু সংশোধন করে ৯/৪ নং আয়াতে তিন বললেন  যে  চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত তা পালন করা হবে । সেই ভাষ্যটি হলো –“তবে অংশীবাদীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ, এবং পরে যারা চুক্তি রক্ষায় কোনো ত্রুটি করে নি, তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুক্তি পালন করবে ।” এখানে কিন্ত  চুক্তিটি আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না সে কথা  ঘোষণা করে দেওয়া হলো । ৯/৪ নং এবং ৯/৫ নং আয়াত দু’টির বিস্তারিত ভাব সম্প্রসারণ করা হয়েছে  হাদিসে ও কোরানের তফসিরে । প্রখ্যাত তফসিরকার ইবনে কাথির লিখেছেন, “ ... ইবনে আব্বাস বলেন যে যাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, আল্লাহ তাদের জন্য চার মাসের সময় নির্ধারণ করে দেন । আর যাদের সাথে চুক্তি ছিল না তাদের জন্য হারাম মাসগুলো অতিক্রান্ত হওয়াকে সীমা নির্ধারণ করেন । ... এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ [সঃ] –কে তাদের সাথে যুদ্ধ করা অনুমুতি দেওয়া হয় যে পর্যন্ত না তারা ইসলাম গ্রহণ করে।   আর যাদের সাথে চুক্তি রয়েছে তারা ১০ই যিলহজ্ব ঘোষণার দিন থেকে নিয়ে ২০শে রবিউল আখির পর্যন্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করবে । অতঃপর ইচ্ছা হলে মোকাবিলা করবে ।” [সূত্রঃ ইবন কাথিরের তফসির, ৮ম-১১শ’ খণ্ড, পৃ-৬৩৫,৬৩৬]   মুহাম্মদ যখন তাঁর প্রয়োজন হয়েছে তখন সন্ধি করেছেন, যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে তখন সন্ধি ভেঙে দিয়েছেন – এটাই ছিলো তাঁর নীতি ।  কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজী – এই নীতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন । আবু তালেব আমার বিরুদ্ধে চুক্তির কথা এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছে । এমন চুক্তি আমি কেনো আড়াল করবো বা এড়িয়ে যাবো, আড়াল  করলে ওরা করবে  
এবার আসা যাক ৯/৬ নং আয়াত প্রসঙ্গে ।  এই আয়াতটি বলছে – “যদি অংশীবাদীদের কেউ তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করে, তুমি তাকে আশ্রয় দেবে যাতে সে আল্লহর বাণী শুনতে পায়, অতঃপর তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দেবে, কারণ তারা অজ্ঞ লোক ।”  এই আয়াতে তালেব দাবি করেছে যে, আমার তথা-কথিত সকল মিথ্যা প্রচারণার  জবাব রয়েছে । আচ্ছা, এই আয়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে কি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং কাফিরদের হত্যা করার আদেশ বা বিধানগুলি রহিত করে দেওয়া হয়েছে ? না, সে রূপ কোনো কথা নেই । তা হলে  কোরান কাফিরদের হত্যা করতে বলেছে - এটা মিথ্যা প্রচারণা হয় কীভাবে ? এই আয়াতটিতে বলেছে অংশীবাদীরা কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করলে তাকে আশ্রয় দিবে এবং পরে তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিবে । কোন অংশীবাদীদের  কথা এখানে বলা হয়েছে তা নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ আছে, অন্ততঃ দুটো মত রয়েছে।   একটা মত হলো যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান চালানো হয় সেই অংশীবাদীদের কেউ আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দিতে হবে। আর একটা মত হলো অমুসলিম দেশ বা রাষ্ট্র থেকে কোনো দূত বা অন্য কোনো ব্যক্তি বিশেষ কোনো কাজ নিয়ে যদি ইসলামি রাষ্ট্রে আসে তবে সেই অংশীবাদীকে আশ্রয় দিতে হবে । প্রথম মতানুসারীরা বলছেন, আয়াতটিও বলছে যে আশ্রয় দেওয়াটা কিন্তু নিঃস্বার্থে বা বিনা উদ্দেশ্যে নয়।   তাকে আল্লাহর বাণী শুনিয়ে মুসলমান করা হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। অবশ্য তার মুসলমান না হওয়ার অধিকারও থাকবে  । সেই আশ্রিত মুশরিক যদি  মুসলমান না হয়ে  নিজ বাসভূমে ফিরে যায় তবে কি তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে ? আবু তালেব এখানে খুব জোর দিয়ে বলেছে যে, হ্যাঁ তার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঐ আয়াতে বলা হয়েছে । সে পরের কমেন্টে লিখেছে then escort him to where he can be SECURE..... l The right word is SECURE ....not sure which is mistaken in the post..কিন্তু সতিই কী তাই ? মোটেই না । ফিরে গেলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আল্লাহ যে কথাটা ঐ আয়াতে উহ্য আছে থাকলেও অন্য অনেক আয়াতে রয়েছে । এমনকি ৯/৬ নং আয়াতের তফসিরেও সে কথা  আছে যা পাওয়া যায় ইসলামি পণ্ডিতদের কাছ থেকে । গিরিশচন্দ্র সেন    তফসিরে সে কথাটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন । তিনি লিখেছেন -  “পরে তাহার আশ্রয়ভূমিতে তাহাকে প্রেরণ কর” ইহার অর্থ কোরআন শ্রবণ করিয়া যদি সে এসলাম ধর্ম অবলম্বন না করে, তবে তাহাকে তাহার আশ্রয়ভূমি গৃহে ফিরিয়া যাইতে দাও, পরে তাহার সঙ্গে সংগ্রাম কর(, হো,)  সুতরাং এটা স্পষ্ট হয় যে আশ্রয়প্রার্থী মুশরিককে নিরাপত্তা দেওয়াটা কিছুক্ষণের জন্যে মাত্র, চিরদিনের জন্যে নয়   ‘পরে তাহার সঙ্গে সংগ্রাম কর’ – এর মানে হলো,  হয়  প্রাণের মায়ায় তাকে স্বধর্ম ত্যাগ করতে হবে, নতুবা স্বধর্ম রক্ষায় প্রাণ ত্যাগ করতে হবে । আশ্রয়প্রার্থী মুশরিক ব্যক্তি বলতে ঠিক কাকে বোঝানো হয়েছে সে সম্পর্কে দ্বিতীয় মতটি সম্পূর্ণ অন্য রকম ।  সেটা হলো এরূপঃ  “যদি কোন অমুসলিম দেশ থেকে কোন দূত বা ব্যবসায়ী অথবা সন্ধি করতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি কিংবা জিযিয়া আনয়নকারী কোন ব্যক্তি কোন মুসলিম রাষ্ট্রে আগমন করে এবং ইমাম বা নায়েবে ইমাম যদি তাকে নিরাপত্তা প্রদান করেন তবে যে পর্যন্ত তিনি ইসলামি রাষ্ট্রে অবস্থান করবে এবং স্বদেশে না পৌঁছবে সেই পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হারাম । কিন্তু এরূপ ব্যক্তিকে বছর ধরে বাস করার অধিকার দেওয়া যাবে না ।  [সূত্রঃ ইবনে কাথিরের তফসির, ৮ম-১১শ’ খণ্ড, পৃ-৬৪৭]  সুতরাং এই দু’টি তফসিও প্রমাণ করছে  যে,   কোরান মুশরিকদের   নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছে বলে আবু তালেব সেখ উচ্চৈঃস্বরে যে দাবি করছে তা অবাস্তব,  ভিত্তিহীন ও মনগড়া । বরং তালেবের ভাষাতেই এ কথা নিঃসংশয়ে বলা যায় যে, তালেব ও তার সমমনস্ক বন্ধুরা যে দাবি করছে যে ইসলাম  হত্যা ও হিংসার কথা বলে না, ইসলাম শান্তির ধর্ম  এবং ইসলামই একমাত্র ধর্ম যে সকল মুশরিকদের  নিরাপত্তা  সুনিশ্চিত করেছে তারাই অবিরাম মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে     

   

No comments:

Post a Comment

KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...