Monday, September 28, 2020

রাজিয়া অতীত ভুলতে চাইঃ মুসলিম ধর্মগুরু ও মানবাধিকার আন্দোলনের নেতারা এবার ক্ষমা চান

 

২০১৪ সালে খাগড়াগড় আইইডি বিস্ফোরণে ধৃত রাজিয়া বিবি কিছুদিন হলো জেলবাসের সাজা শেষে মায়ের কাছে ফিরে এসেছে। এদিকে বিগত কয়েকদিন যাবত সংবাদের শিরনাম দখল করে রয়েছে আল-কায়দার ভারতীয় শাখার জঙ্গিরা NIA - এর হাতে ধরা পড়ার পর। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর মুর্শিবাদের ন’জন জঙ্গি ধরা পড়ে। ন’জনের ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বাড়ি থেকে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কর্মস্থল কেরালা থেকে। স্বভাবতই কয়েকদিন ধরে খবরের প্রধান শিরনামে এই খবরটাই। চাঞ্চল্যকর এমন খবরের মাঝেও রাজিয়া বিবিও খবরের শিরনামের একটু হলেও জায়গা দখল করে নিয়েছে। রাজিয়া বিবির একটা কথা সাংবাদ মাধ্যম উপেক্ষা করতে পারে নি। মহাদামী সে কথাটা হলো, অতীত ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাই। তার অতীতটা কী, এবং সেটা সে কেন ভুলতে চাই? জানা যাক তার অতীতটা তাহলে।    

করিমপুরের একট নিরীহ ও প্রান্তিক মুসলিম পরিবারের মেয়ে রাজিয়ার বিয়ে হয়েছিলো শাকিল গাজি নামে একজন ফেরিওয়ালার সঙ্গে। রাজিয়ার পরিবার অন্তত সেটাই জানতো শাকিলের সঙ্গে রাজিয়ার বিয়ে দেবার সময়। তারা জানতো না যে শাকিল একজন বাংলাদেশী এবং জেএমবির (জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) একজন সদস্য, বাংলায় এসে ঘাঁটি গেড়েছে সংগঠনের জাল বিস্তারের কাজে এবং এপার বাংলার ধর্মনিষ্ঠা মুসলিমদের সেই জালে ফাঁসিয়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সংগঠিত্ করার উদ্দেশ্যে। বিয়ের পর রাজিয়া যখন তা টের পেয়েছে তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে, সেই ফাঁস থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা তখন তার কাছে পুরো বন্ধ।

২০১৪ সালে ২রা অক্টোম্বর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়ির ভিতর যে ভয়ঙ্কর আইইডি [ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস] বিস্ফোরণ ঘটেছিলো। জেএমবির বাংলাদেশী চাঁই শাকিল গাজি বিস্ফোরণে ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। শাকিল তখন সেই বাড়িতে তার স্ত্রী রাজিয়াকে নিয়ে থাকত এবং তাদের সঙ্গে থাকত মুর্শিদাবাদের লালগোলার আর এক দম্পতি - আব্দুল হালিমআলিমা বিবি। হালিমের পা বিস্ফোরণে জখম হয়, ফলে সে পালাতে ব্যর্থ হয়। স্বভাবতই পালাতে পারে নি রাজিয়া ও আলিমাও। ফলে ঘটনাস্থল থেকে তাদের তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বিচারে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে  তাদের কারাবাসের দণ্ড দেয়া হয়। কারাদণ্ড ভোগের শেষে গত ৮ই আগষ্ট (৮/৮/২০) জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রাজিয়া ওঠে তার মায়ের পরিবারে। তার বাবা ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। রাজিয়ার দুই মেয়ে ও এক মেয়ে। সে এখন সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাই এবং তার সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতন মানুষ করতে চাই। সে আর জঙ্গি জীবনে আর ফিরতে চাই না। আর চাই না যে তার সন্তানদের গায়েও জঙ্গিদের ছায়া পড়ে।  তারজন্যে সে তাদের লেখাপড়া শিখিয়ে প্রকৃত মানুষ করতে  চাই। রাজিয়া কী বলেছে তা তার মুখ থেকেই শোনা যাক –   

 ‘‘এই বছর অনেক ধকল সহ্য করতে হয়েছে। এখন সমস্ত ভুলতে চাই।” ... ‘‘অতীত ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাই। ... ‘‘তিন ছেলেমেয়েকেই লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।

রাজিয়ার বয়স এখন তিরিশ। সম্বল বলতে বাবার রেখে যাওয়া দুই বিঘা জমি। কিন্তু গায়ে লেপ্টে রয়েছে জেলখাটা কয়েদি ও জঙ্গি তকমা যা সহজে যাবার নয়। এদিকে মায়ের আর্থিক অবস্থাও তো শোচনীয়। তাহলে কিসের জোর রাজিয়া নতুন করে জীবন শুরু এবং সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার ভরসা পাচ্ছে? তার জোরের জায়গাটা কোথায় তা সে নিজেই বলেছে –

সেলাই মেশিনের কাজ জানি। জেলের মধ্যেও সেলাইয়ের কাজ করতাম, অন্যদের সেলাই শেখাতাম। একটা সেলাই মেশিন এখন খুব দরকার।’’

রাজিয়ার আর্তি ও ভরসার কথাগুলো যে সূত্র থেকে পাওয়া -   https://www.anandabazar.com/state/rajia-bibi-accused-in-burdwan-blast-2014-case-wants-a-new-life-1.1205569

জেল থেকে ফিরে এসে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ড মামলায় রাজিয়া ও জেএমবি-র অন্যান্যদের বিরুদ্ধে NIA যে অভিযোগগুলি করেছিলো তার বিরুদ্ধে একটা কথাও বলে নি সে। বলে নি যে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো কতিপয় মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার আড়ালে তারা নতুন সদস্যদের জিহাদের পাঠ ও প্রশিক্ষণ দিতো। তখন অন্তত দুটি মাদ্রাসার নাম উঠে এসেছিলো তাদের কাজের সঙ্গে – মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া মাদ্রাসা এবং লালগোলার মকিমনগর মাদ্রাসা। তখন জানা গিয়েছিলো যে জেএমবির সংগঠনে অন্তত ২৫/৩০ জন নারী জঙ্গি ছিলো। তাদের মধ্যে কয়েকজন জিহাদের পাঠ ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। সেই জঙ্গি নারী সদস্যদের মধ্যে আয়েষা বিবি ছিলো একটি উল্লেখযোগ্য নাম। আয়েষা ছিলো শিমুলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা জঙ্গি নেতা মাওলানা ইউসুফের স্ত্রী। না, রাজিয়া এসব বিষয়ে মুখ খোলে নি। মুখ খুলতেও চাই না। তার একটাই আর্তি বা আকুতি হলো - গতো কয়েক বছর তাকে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে, অতীতের সবকিছু ভুলে সে আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে চাই, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন গড়তে চাই।  

হ্যাঁ, রাজিয়ার তার নিজের অতীতের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করার সুযোগ পাবার অধিকার নিশ্চয়ই আছে। অধিকার আছে সমাজ জীবনের মূলস্রোতে পুনরায় ফিরে আসার। আপন সন্তানদের নিয়ে নতুন করে সুস্থ জীবন যাপন করার সুযোগ ও সহযোগিতা পাবার অধিকার তার নিশ্চয়ই আছে। এ ব্যাপারে সরকার ও সমাজের দায়িত্ব হলো তার পাশে দাঁড়ানো। আমি তার এই শুভ ও সৎ ইচ্ছাকে আন্তরাকিতার সঙ্গে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় NIA – এর তৎপরতাকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং মুসলিম সমাজ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে যারা বুক ফুলিয়ে রাজিয়া ও অন্যান্য অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো তারা কি এখন রাজিয়ার পাশে দাঁড়াবার সৎসাহস দেখাবেন? সমাজ জীবনের মূল স্রোতে ফেরার যে আকুতি জানিয়েছে রাজিয়া তাকে কি তারা সম্মান জানাবে?

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার জেএমবি ও জঙ্গিদের আড়াল করার জন্যে তখন নগ্নভাবে অপচেষ্টা চালিয়েছিলো। আইইডি বিস্ফোরণকে বলা হয়েছিলো সিলিণ্ডার বিস্ফোরণ। রজ্যের পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা অক্ষত আইইডিগুলি পরীক্ষা না করেই নষ্ট করে দিয়েছিলো। বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত জঙ্গি রেজাউলের বাড়ি তল্লাশি করে রাজ্য পুলিশ কিছু পায় নি, অথচ সেই বাড়ি থেকেই NIA – এর তদন্তকারী দল উদ্ধার করেছিলো ৩৯টি তাজা আইইডি। রাজ্য সরকার NIA – এর তদন্তকারী দলকে কোনো সাহায্য করে নি, বরং NIA-এর তদন্ত আটকাতেই মরিয়া উঠে পড়ে লেগেছিলো। এভাবেই রাজিয়া-সহ জঙ্গিদের আড়াল করতে দেখা গিয়েছিলো রাজ্য সরকারকে। যে রাজ্য সরকার জঙ্গি রাজিয়াদের পাশে দাঁড়াতে সঙ্কোচ ও লজ্জা করে নি, সেই সরকার কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়া রাজিয়ার পাশে দাঁড়াবে? রাজ্য সরকার তো অনেক মাওবাদী জঙ্গিকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। সেই রাজ্য সরকার রাজিয়ার পুনর্বাসনের জন্যে কিছু ব্যবস্থা করে কিনা সেদিকে রাজ্যের মানুষ নিশ্চয় খেয়াল রাখবে।

তৃণমূলী বুদ্ধিজীবী ও গায়ক কবীর সুমনও NIA – এর তদন্তের তীব্র নিন্দা করেছিলেন। বলেছিলেন, ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্য সকারকে ফেলে দেবার জন্যে বিজেপি সরকার এ রাজ্যে NIA-কে পাঠিয়েছে। জেএমবি ও তার জঙ্গিদের আড়াল করার জন্যে খোলাখুলি মাঠে নেমেছিলো তখন মুসলিম সমাজের ধর্মীয় নেতা এবং মানবাধিকার আন্দোলনের নেতারাও। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী এবং মুসলিম সমাজের স্বনামধন্য ধর্মীয় নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন,   মাদ্রাসায় সন্ত্রাসবাদীদের ঠাঁই নেই। যারা কোরান-হাদিস পড়ে তারা শান্ত। ধর্ম ও মাদ্রাসার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে জিহাদকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি এমনকি NIA – এর তদন্তকারীদের তদন্তের কাজে বাধা দেবার জন্যে মুসলিম সমাজের রুখে দাঁড়াবার নির্দেশ দিয়েছিলেন পর্যন্ত। বলেছিলেন, ওদের মাদ্রাসায় ঢুকতে দেবেন না, সঙ্ঘবদ্ধভাবে ওদের পথ রোধ করে দাঁড়াবেন। মুসলিম সমাজের আর এক ধর্মীয় নেতা পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি তো জঙ্গিদের আড়াল করতে গিয়ে মিডিয়াকেও আসামির কাঠগড়ায় খাড়া করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন,  মুসলিম সমাজের  উপর মিডিয়া আক্রমণ শুরু করেছে মুসলিম সমাজের আর এক ধর্মীয় নেতা ও বুদ্ধিজীবী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান বলেছিলেন,  হঠাৎ আমাদের মাদ্রাসাগুলি সম্পর্কে অপপ্রচার শুরু হয়েছে হঠাৎ সন্ত্রাসবাদের তকমা দেওয়া হচ্ছে মাদ্রাসাগুলোর উপর

মুসলিম সমাজের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে সরব হয়েছিলেন মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনের নেতারাও। তাঁরা মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে NIA – এর তদন্তকে মুসলিম সমাজ এবং মাদ্রাসার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত বলে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। ধৃত জঙ্গিদের মুক্তির জন্যে আদালতে উকিল দেবার সদর্প (!) ঘোষণা দিতেও তাঁদের আদর্শে বাধে নি। বন্দিমুক্তি কমিটির পক্ষে ছোটন দাস বলেছিলেন যে, মুসলমানদের আমেরিকার চোখে দেখা হচ্ছে, আর তার ফলে যখনই বিষ্ফোরণ কান্ড ঘটছে তখনই মাদ্রাসা ও পুরো মুসলমান সমাজকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এপিডিআরের সুজাত ভদ্র বলেছিলেন, রাজ্যের অনেক জায়গায় রাজনৈতিক কিংবা গ্রাম্য বিবাদে বোমাবাজি চলছে, ‘এনআইএ’ সেদিকে নজর না দিয়ে বর্ধমানের খাগড়াগড় নিয়ে এত ধরপাকড়, চিরুনি তল্লাশি করছে কেবলমাত্র এই কারণে যে অভিযুক্তরা সকলে মুসলমান।  

একথা ঠিক যে কেন্দ্রে তখন বিজেপির সরকার ছিলো বলেই NIA-কে আইইডি বিস্ফোরণের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। তাই তদন্তের নির্দেশের পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো কি ছিলো না তা নিয়ে তর্ক করার অবকাশ থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে NIA-কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার যে প্রয়োজন ছিলো তা নিয়ে তর্ক করার জায়গা আর নেই। কারণ, ধৃত ব্যক্তিরা যে ওই বিস্ফোরণ কাণ্ড এবং জেএমবির সন্ত্রাসবাদী কার্যকলালের সঙ্গে যুক্ত ছিলো আদালতে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া ওই বিস্ফোরণ কাণ্ডে জঙ্গি-যোগ ও মাদ্রাসা-যোগের প্রমাণ তো হাতেনাতেই পাওয়া গিয়েছিলো। সেই প্রমাণকে রাজিয়া বিবির ‘অতীত ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাই’ উক্তি আরও দৃঢ় করলো। রাজিয়ার উক্তি আদালতের বিচার ও রায় নিয়েও আর কারও প্রশ্ন তোলার অবকশ রাখলো না।    

রাজিয়া অতীত ভুলতে চাই, নতুন করে বাঁচতে চাই, নতুন জীবন শুরু করতে চাই এবং তার সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতন মানুষ করতে চাই। তার মানে সে তার অতীতকে অস্বীকার করছে না, অকপটে তাকে স্বীকার করে নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজিয়া তার অতীতকে ঘৃণাও করছে এবং সে চাই না তার অতীতের ছায়া যেন তার সন্তানদের স্পর্শ করে। এবার আমার জানতে চাওয়া রাজ্য সরকারের কাছে, এপিডিআর ও বন্দিমুক্তি কমিটির নেতাদের কাছে, মুসলিম সমাজের ধর্মীয় নেতাদের কাছে এবং তৃণিমূলী বুদ্ধিজীবীদের কাছে, আপনারা তো সব ঝুটা ও চক্রান্ত বলে NIA – এর সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজিয়া ও বাকি সব জঙ্গিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেদিন, এখন রাজিয়া বিবির স্বীকোরক্তিতে কি লজ্জা বোধ করছেন? আর একটা প্রশ্ন, রাজিয়া বিবি নতুন করে বাঁচতে ব্যাকুল, কিন্তু তারজন্য মুসলিম সমাজ তাকে কতটা সুযোগ দেবে সন্দেহ আছে, আপনারা কি তার পাশে দাঁড়াবেন? কোনো সন্দেহ নেই যে প্রশ্ন দুটোর কোনোটারই উত্তর আপনাদের কাছে নেই। তাই পরিশেষে বলি, রাজিয়ার কথাগুলো শোনার পর সেদিনের সেই জঘন্য মিথ্যাচারের জন্যে দেশবাসীর কাছে আপনাদের অন্তত ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিৎ। সৎসাহসের অভাবে যদি সেটা হয়তো পারবেন না। যদি না পারেন, তবে অন্তত নিজের বিবেকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী তো হতেই পারেন।  

KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...