Thursday, January 12, 2017

রোহিঙ্গাদের সমস্যা রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক নয়



মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষদের উপর ব্যাপক রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমন নিপীড়ন হচ্ছে যে রোহিঙ্গারা দলে দলে মিয়ানমার ছেড়ে পালাচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ -  তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে মুছে দিতেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অভিযোগটি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ যে সব অঞ্চলে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সে সব জায়গায় সংবাদ মাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের উপর লাগামহীন  নির্যাতনের কথা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও স্বীকার করেছে। বলেছে যে, “মিয়ানমার থেকে প্রায় প্রতিদিনই হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো ঘটনার খবর পাচ্ছে।” এই দপ্তরের এক মুখপত্র জানিয়েছেন যে, “গত অক্টোবর মাসে রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ত্রিশ হাজারের বেশী মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।”
এই রোহিঙ্গারা কারা? রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু একটি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা এই জনগোষ্ঠীর লোকজনদের রোহিঙ্গা বলা হয় এরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী। অপরদিকে রাখাইনের সংখ্যাগুরুমগ জনগোষ্ঠীর লোকেরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মিয়ানমার সরকার কিন্তু রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের অধিবাসী বলে স্বীকার করে না। সরকার বলছে তারা  বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। মিয়ানমার সরকারের হিসেব অনুযায়ী সে দেশে মোট ১৩৯টি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী  রয়েছে, কিন্তু সেই তালিকায় রোহিঙ্গাদের   নাম নেই।  সরকার এবং সে দেশের  মানুষের বক্তব্য হলো, রোহিঙ্গারা নিজেরাও তাদের মিয়ানমারের অধিবাসী তথা বার্মিজ বলে স্বীকার করে না, এবং তারা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। মিয়ানমার সরকার এবং সেখানকার মানুষ যে  খুব ভুল বলছে তা নয়, রোহিঙ্গারা সত্যিই তাদের মুসলমান মনে করে, বার্মিজ বলে মনে করে না। যে যাই বলুক, বার্মা তথা আরাকান তথা মিয়ানমারের ইতিহাস বলে যে রোহিঙ্গারা শতাব্দীর পর শতাব্দী মিয়ানমারে বসবাস করছে।  
 
রোহিঙ্গাদের আর একটা বড়ো সমস্যা হলো, বাংলাদেশের সরকারও আর তাদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিতে অপরাগ। সরকার সীমান্তে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করেছে। ফলে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে সীমান্ত প্রহরীরা তাদের ফেরৎ পাঠিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যেও লুকিয়ে চুরিয়ে  যারা পারছে তারা বাংলাদেশে ঢুকছে, যারা পারছে না তারা চীন ও মালয়েশিয়ার দিকেও পাড়ি দিচ্ছে। এভাবে আশ্রয়ের জন্যে এদিক ওদিক লক্ষ্যহীনভাবে ছোটাছুটি করতে গিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে, অসুখ-বিসুখে কত রোহিঙ্গা যে  মারা যাচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। রাষ্ট্রসংঘ তাই রোহিঙ্গা মুসলিমদের এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী বলে উল্লেখ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছে  
রাষ্ট্রসংঘ-সহ বিশ্বের বহু দেশ রোহিঙ্গাদের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধ করার জন্যে  মিয়ানমার সরকার এবং আং সান সূচির উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে আং সান সূচির  উপরে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, কারণ তাঁর দলই এখন মিয়ানমার সরকারেই ক্ষমতায়। মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে দীর্ঘ আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরূপ সুচি নোবেল পান। সেই সুচিও রোহিঙ্গাদের উপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের বৈধ নাগরিকমানতে চান নি আং সান সূচির  এই ভূমিকায় স্বাভাবতই মানবাধিকার সংগঠনগুলি হতাশ। ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তেরো জন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্বও    
রোহিঙ্গাদের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন শুরু হয় নে উইনের সামরিক সরকার গঠন হওয়ার পর। সেটা ১৯৬২ সাল  তাঁর সরকারই প্রথম রোহিঙ্গাদের  বাংলাদেশী আখ্যা দেয় এবং  রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের মাধ্যমে তাদের  বিতাড়নের প্রক্রিয়া শুরু করে১৯৭৮ সালে ‘কিং ড্রাগন অপারেশন’ নামে এক ভয়ঙ্কর অভিযান চালায়  নে উইন। সেই অভিযানে  প্রায় ২ লক্ষ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে চলে যায়।  ১৯৯১-৯২ সালে একই কারণে দেশ ছেড়েছিলো ২.৫ লক্ষ রোহিঙ্গা  ১৯৮১-৮২ সালে এক ভায়ঙ্কর দাঙ্গায় ৫২ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে গিয়েছিলো। এরা সবাই  বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছিলো।  সেটা মানবতার কারণে নয়, অন্য কারণে। সে কথায় পড়ে আসবো।    
সশস্ত্র বাহিনীর অত্যাচার ছাড়াও  মিয়ানমার সরকার আইনের মাধ্যমেও রোহিঙ্গাদের উপর  নিপীড়ন চালায়।  ১৯৮২ সালে  মিয়ানমার সরকার আইন প্রণয়ন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। তারপর তাদের সমস্ত মৌলিক অধিকারগুলোই একে একে ছিনিয়ে নেয়  তখন থেকে রোহিঙ্গারা সরকারি চাকরি ও ব্যাংকে লেনদেন করার অধিকার হারিয়েছে।  সরকারি কোনো দপ্তরে কোনো সেবা, সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের  সেবা এবং  কোনো উপযোগ সেবা (বিদ্যুৎ, জল, জ্বালানী) তারা পায় না তাদের সন্তানরা সরকারি শিক্ষাকেন্দ্রে ভর্তি হতে পারে না। সরকারি প্রকল্পে জোর করে তাদের বেগার খাটানো হয়। তারা ধর্মাচারণও করতে পারে না, জমিজমা কিনতে পারে না, ব্যবসাবাণিজ্য করতে পারে না, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোথাও ভ্রমণ করতে পারে নাএমনকি সরকারী অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে পারে না, দু’টির বেশী সন্তান হলে তাদের শাস্তি পেতে হয়।   রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্যে কিছু অঞ্চল নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যাকে ‘গ্যাঁটো’ (ঘেঁটো) বলা হয়।  তার বাইরে যেখানে খুশী  চলাচল বা বাড়িঘর তারা করতে পারে না।  এ হলো তাদের জীবন যা  মানবেতর জীবনের চেয়েও নিকৃষ্ট।   
প্রশ্ন হলো, রোহিঙ্গাদের উপর এমন বীভৎস অত্যাচার করা হচ্ছে কেনো? মুসলিম দেশগুলি এবং মুসলিম সংগঠনগুলির অভিযোগ হলো, রোহিঙ্গারা মুসলমান বলে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা  বলেছেন-  মিয়ানমারে হাজার হাজার মুসলমান নিহত হচ্ছে এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে অজ্ঞতা ও বিদ্বেষের কারণে। এ এক মারাত্মক অভিযোগ যার লক্ষ্য হলো পৃথিবীর সমস্ত বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের মনে ঘৃণা সৃষ্টি করা।  বৌদ্ধদের দিকে আঙুল তুলেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান মাওলানা আল্লামা শফিও তিনি বাংলাদেশের বৌদ্ধদের হুমকি দিয়ে বলেছেন যে, রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ  না হলে বাংলাদেশ থেকে বৌদ্ধদের  তাড়িয়ে দেওয়া হবে। সংকীর্ণ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই বাংলাদেশের ভিতর ও বাহির থেকে  প্রধানমন্ত্রী  হাসিনার উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্যে।   ভারতের মুসলিম সংগঠনগুলিও রোহিঙ্গাদের ভারতে আশ্রয় দিতে হবে বলে আওয়াজ তুলছে। এভাবে মুসলিম মৌলবাদীরা রোহিঙ্গাদের সমস্যাকে গোটা বিশ্বে সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানাতে  চাইছে।  
সত্যিই কি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তারা মুসলমান বলে? কিন্তু মিয়ানমারে তো   অন্যান্য মুসলিমদের উপর অত্যাচার হচ্ছে না। তা হলে কারণটা ধর্মীয় নয়, অত্যাচারের পেছনে অন্য কারণ আছে। সে কারণ খুঁজবো একটু পরে। তার আগে দেখা যাক বাংলাদেশ সরকার কেনো নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিতে চাইছে না।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারও যথেষ্ট সংকটে ও চাপে রয়েছে। কারণ, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্যে ধর্মীয় আবেগের কারণে আওয়ামী লীগের নেতে ও সমর্থকদের একটা বড়ো অংশের মধ্যেও অসন্তোষ আছে। তবুও হাসিনা সরকার কয়েকটি অনিবার্য কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অনিচ্ছুক। কারণগুলির দু’টি দিক আছে – অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক। অর্থনৈতিক কারণটি হলো এই যে,  বাংলাদেশে আগে থেকই যে পাঁচ/ছ’ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে  মিয়ানমার  সরকার তাদের ফিরিয়ে নেয় নি, রোহিঙ্গারাও ফিরে যেতে চাই না। তাই নতুন করে শরণার্থীর চাপ নিতে চাইছে  না সরকাররাজনৈতিক কারণটির মূল কথা হলো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতাবিরোধী হাতই শক্তিশালী হবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ‘৭১ টিভি’ –র পরিচালক বার্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা যা বলেছেন তা প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, “তারা (রোহিঙ্গারা) এসে এখানে একটি জঙ্গি, অপরাধী ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেতিনি আরো বলেছেন, “রোহিঙ্গার একটি বড় অংশ সন্ত্রাসী, মাদক চোরাচালান ও অসামাজিক কাজে জড়িত। বড় ভয়টা হলো কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় থাকা বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে এরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যেকোন উপায়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার পায়তারা করছে এরা।” (সূত্রঃhttp://www.latestbdnews.com/only-opening-the-gate-is-not-solutions/) মূল কথা হলো  অসামাজিক ও সন্ত্রাসবাদী রোহিঙ্গাদের সমস্যাকে বিএনপি ও জামাতিরা মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যেকার বিবাদ হিসেবে দেখিয়ে উত্তেজনা তৈরী করতে চাচ্ছে। তাই রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন দেখে আবেগ তাড়িত হলে চলবে না, বাস্তবটা বুঝতে হবে। বাস্তবটা হলো মানবতার মুখোশ পরে সন্ত্রাসবাদী মুসলিম মৌলবাদীরা তাদের হৃতশক্তি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে।
বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থেই যেমন বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের জন্যে সীমান্ত খুলে না দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, মিয়ানমার সরকারও তেমনি সে দেশের মানুষের স্বার্থেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা   নামাতে বাধ্য হয়েছে। গত ৯ ই অক্টোবর সন্ত্রাসবাদী রোহিঙ্গারা ৩টি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালিয়ে  ৯ জন সীমান্তরক্ষীকে হত্যা করে। তারপরই সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।  ১৯৪৮ সালে বার্মা তথা মিয়ানমার স্বাধীনতা লাভ করে। এদিকে ১৯৪৭ সালে যখন ভারত ভেঙে পাকিস্তান তৈরী  হওয়া নিশ্চিত তখন রোহিঙ্গারা বার্মিজ মুসলিম লীগ গঠন করে মোহাম্মদ আলি জিন্নার সাথে দেখা করে রাখাইন প্রদেশকে পুর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেয়। জিন্না তাতে আগ্রহ দেখান নি। বার্মা স্বাধীন হবার কয়েক বছর পরেই রোহিঙ্গারা জিহাদি সংগঠন তৈরী করে বার্মার বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন জায়গায় সরকারি অফিস আদালতে হামলা করে বহু অমুসলিমকে হত্যা করে। তাদের লক্ষ্য ছিলো রাখাইন প্রদেশকে মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাকিস্তানের  সাথে যুক্ত করা।  জঙ্গি রোহিঙ্গারা এক সময় এথনিক বার্মিজদের উপর আক্রমণ তীব্র করে।  মিয়ানমার সরকার তখন রোহিঙ্গা মুসলিমবিরোধী অভিযান শুরু করতে বাধ্য হয়।  জঙ্গি রোহিঙ্গাদের দমনে সরকার যে অভিযান চালায় তার ফলে নিরপরাধ রোহিঙ্গারাও নির্যাতনের শিকার হয়। না, এ কথা বলে সকল রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে চাইছি না।  শুধু দু’টো জিনিষ বলতে চাইছি - ১). রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে তাদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার, এবং ২).  রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালাতে বাধ্য করেছে জিহাদি রোহিঙ্গারা। পরিশেষে বলতে চাই যে, জঙ্গী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সরকার বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ করুক, কিন্তু নিরপরাধ রোহিঙ্গারা যাতে নির্যাতিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সব রোহিঙ্গারাই জঙ্গি নয় এ কথাটাও মিয়ানমার সরকারকে খেয়ালে রাখতে হবে।      

বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইনি – পাঁচ

  দ্বিতীয় অধ্যায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের প্রতি তীব্র গণরোষের নেপথ্যে ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে ৩৬ দিন পর (৫ই ...