টিএমসি সরকারের পাঁচ বছরও পূর্ণ হয় নি এখনো, তবুও এর মধ্যেই ‘পরিবর্তনের
পরিবর্তন চাই’ হাওয়া বইছে রাজ্য
জুড়ে । পরিবর্তন চাইছেন যেমন মমতার পক্ষে যাঁরা নেতিবাচক ভোট দিয়েছিলেন
তাঁরা, তেমনি যাঁরা মমতা ব্যানার্জীর টিএমসিকে বামফ্রণ্টের বিকল্প বলে বিশ্বাস করেছিলেন তাঁদের একটা অংশও । পরিবর্তনের জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতার জোট সঙ্গী কংগ্রেসও । পরিবর্তন চাইছে আর এক জোটসঙ্গী এসইউসিও । মমতার কৃষি জমি বাঁচাও
আন্দোলনের সঙ্গী পিডিএস ও নকশাল পন্থী সংগঠনগুলিও পরিবর্তন চাইছে । এটাই বর্তমান ছবি যে বাম জামানার অবসান ঘটাতে
সমস্ত বিরোধীদল এবং বুদ্ধিজীবী ও বিদ্বজনদের
মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন যে মমতা, এখন তিনি নিঃসঙ্গ ।
তথাপি এ কথাটাও সত্যি যে, ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই’ হাওয়াটা ঝড় হয়ে ওঠেনি । তার নানা কারণ আছে । যেমন যাঁরা মমতার অপশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন
তাঁদের ব্যাপক অংশ বামফ্রণ্টের অপশাসনের কথা এখনও ভুলতে পারছেন না । অপরদিকে কংগ্রেসের শক্তি ও জনসমর্থন তো ক্রমশঃ ক্ষীণ হচ্ছে । আর এই বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য নেতৃত্ব, তেমনি বুঝছেন
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও । তাই উভয়
দলই অতীত ভুলে টিএমসি-র বিরুদ্ধে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জোট বাঁধতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
হয়ে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে । জোট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবশ্য রয়েছে বিস্তর কাঁটাও । কাঁটা বামফ্রণ্টের শরীকদলগুলি এবং সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয়
কমিটিও । তবে শরীক দলগুলি শেষ পর্যন্ত সিপিআই(এম)-এর কাছে মাথা নোয়াবে তা ইতমধ্যেই স্পষ্ট । এর
কারণ হলো, তারা ভালো ভাবেই জানে যে বামফ্রণ্ট ছেড়ে গেলে তারা
বঙ্গ-রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে । অন্যদিকে জোটের পথে একটা বড়ো বাধা কংগ্রেসের হাইকমাণ্ডও
। এই হাইকমাণ্ড নামক
বস্তুটি আসলে হলো এক নেত্রী বিশিষ্ট আনপ্রেডিক্টেবল সুপার পাওয়ার । প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান সমস্যাটি হলো, তাঁদের হাইকমাণ্ড সর্বদাই জাতীয়
কংগ্রেসের স্বার্থের বিনিময়ে রাজ্য কংগ্রেসের স্বার্থকে বলি চড়িয়ে থাকেন । তবে এবার হাইকমাণ্ড এবার প্রদেশ নেতৃত্ব বামেদের সঙ্গে
জোট বাঁধার প্রশ্নে যে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে তার প্রতি অনেক নরম মনোভাবাপন্ন
।
কং-বাম জোট হলে সেই জোট টিএমসি-র বিরুদ্ধে নিঃসন্দেহে কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে । কারণ, জোট হলে দু’পক্ষের ভোট শুধু এক জায়গায় পড়বে তাই না, জোটের
প্রভাব হবে তার চেয়েও ঢের বেশী । কারণ কারণ, শাসকবিরোধী ভোটের বিজেপির দিকে ধাবিত হওয়ার
প্রবণতা বন্ধ হবে, এমনকি বিজেপির ভোটের একাংশও তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্পের সন্ধানে কং-বাম জোটের
পক্ষে চলে যাবে । এ ছাড়া তৃণমূলী স্বজন-পোষণ ও সন্ত্রাসের বলি
তৃণমূলের বহু কর্মী ও সমর্থকদের
একাংশও ব্যালোট বাক্সে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিতে
পারেন । মোদ্দা কথা হলো, কং-বাম জোট
হলে বর্তমান পরিস্থিতিটাই আমূল বদলে যাবে যা টিএমসিকে
নিশ্চিতভাবেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়
করিয়ে দেবে ।
পরিস্থিতিটা বিলক্ষণ আঁচ করছেন মমতা
নিজেও । এই পরিস্থিতিতে তাঁকে তাই সব চেয়ে বেশী ভাবাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে তাঁর সম্পূর্ণ
নিঃসঙ্গ হয়ে যাওয়াটা । একদা ভেবেছিলেন, কাউকে দরকার নেই, পশ্চিমবঙ্গের
ইমাম সম্প্রদায় এবং আহমদ হাসান ও ইদ্রিস আলির মতো কট্টর মুসলিম নেতারা পাশে থাকলেই
চলবে । তাই যখন কংগ্রেস, এসইউসি,
পিডিএস, সিপিআই(এমএল), বিভিন্ন নকশাল গ্রুপ,
মাওবাদী গ্রুপ, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, ইত্যাদি দল ও সংগঠনগুলো তাঁকে ছেড়ে একে একে চলে গিয়েছিলো তখন তিনি তা গ্রাহ্যই করেন নি । কিন্তু তাঁর সব হিসেব উল্টে দিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট বাঁধার অঙ্গিকারবদ্ধ মরিয়া প্রয়াস । এ প্রয়াসে ভীত ও বিহ্বল হয়ে
তিনি হন্যে হয়ে নতুন সঙ্গী খুঁজতে তৎপর হয়ে ওঠেন । আর তাই অতিশয় তৎপরতার
সাথে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী, জমিয়ত উলেমা নেতা সিদ্দিকুল্লাহ্ চৌধুরী ও ন্যায় বিচার পার্টির নেতা রেজ্জাক মোল্লা্র
সঙ্গে জোট বাঁধার প্রস্তাব
পাঠান । এই তিন নেতাই কিন্তু কিছুদিন আগে পর্যন্তও মুসলমানদের প্রতারণা
করেছেন বলে মমতার বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়েছেন
। তৎসত্ত্বেও সিদ্দিকুল্লাহ্ চৌধুরী ও রেজ্জাক মোল্লা ইতিমধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মমতার ডাকে সাড়া দিতে দেরী করেন নি । এবং সাড়া দিয়েই মমতার যে যে কোনো মুল্যে নতুন সঙ্গী
একান্ত দরকার তা বুঝে তাঁর কাছে কয়েকটি সিটও দাবি
করে বসেন । ডাপ্রস্তাব পাঠানো
মাত্রই সাড়া দেওয়াই মমতাও বুঝে যান যে রেজ্জাক ও সিদ্দিকুল্লাহ্ তাঁর সঙ্গে জোট
বাঁধার জন্যে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে । সেটা বুঝতে পেরে মমতাও দ্রুত কৌশল পরিবর্তন করতে বিলম্ব করেন নি । বলেন, সিট নয় তৃণমূলে চলে আসুন । শোনা যাচ্ছে , মমতা তাঁদের দু’জনকে মন্ত্রী করার টোপ (প্রলোভন) ঝুলিয়ে দিয়েছেন । কয়েকদিন
ধরে মমতার সঙ্গে তাঁদের দর কষাকষি চলতে থাকে । দরদামের একটা পর্যায়ে রেজ্জাক বুঝতে পারেন যে মমতা তাঁকে কোনো নিরাপদ
আসন দিতে সম্মত নয় । তখন তিনি তলে তলে তাঁর পুরানো দল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকে সূর্যকান্ত মিশ্রের কাছে দলে
ফিরতে চেয়ে আবেদন পাঠান । সূর্যকান্ত বাবু
পত্রপাঠ তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন । এ
দিকে মমতার সঙ্গে জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে তাঁর নিজের হাতের তৈরী করা দল
‘ন্যায় বিচার পার্টি’ তাঁকে দল থেকে
বহিষ্কার করে । ‘না ঘর কা, না ঘাট কা’ রেজ্জাক অবশেষ মমতার কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে আত্মসমর্পণ
করেন । সিদ্দিকুল্লাহ অবশ্য তৃণমূলের
ঝাণ্ডা ধরেন নি, কিন্তু তাঁদের ‘জমিয়তে
উলামায়ে হিন্দ’ মমতার সঙ্গে জোট বেঁধে
ভোটে লড়বেন তা জানিয়ে দিয়েছেন ।
সিদ্দিকুল্লাহর পুনরায় মমতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা মোটেই অস্বাভাবিক নয় । কারণ, মমতাই তাঁদের (মুসলিম
ধর্মগুরুদের) স্বাভাবিক মিত্র । গত
পাঁচ বছরে মমতা মুসলিমদের বিস্তর ঠকালেও, ধর্মীয়
নেতাদের দু’হাত উপুড় করে ঢেলে দিয়েছেন
। সিদ্দিকুল্লাহ্ ও তাঁর সহ-ধর্মগুরুরা যা যা চেয়েছেন, মমতা কল্পতরু হয়ে তাই-ই দিয়েছেন । খারিজি মাদ্রাসার অনুমোদন
চেয়েছেন, অনুমোদন দিয়েছেন; হজ্ব হাউসের সম্প্রসারণ চেয়েছেন, করে দিয়েছেন; নতুন
হজ্ব হাউস চেয়েছেন, বানিয়ে দিয়েছেন; ইমাম-মোয়াজ্জিনদের ভাতা চেয়েছেন, অসাংবিধানিক
জেনেও তা দিয়েছেন; বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে
না করেছেন, তিস্তাচুক্তি আটকে দিয়েছেন; খাগড়াগড় বিষ্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত মাদ্রাসা
এবং মুসলিম মৌলবাদীদের আড়াল করার দাবি জানিয়েছেন, সে দাবীও যথাসম্ভব পূরণ করার
চেষ্টা করেছেন; মহিলা ফুটবল খেলা বন্ধ
করতে বলেছেন, বন্ধ করে দিয়েছেন; তদুপরি
মোল্লাদের খুশী করতে হিজাব পরেছেন, তাঁদের কাতারে বসে তাঁদের সঙ্গে হাত তুলে খোদার
কাছে দোওয়া করেছেন, সালেমালেকুম-ইনসাল্লাহ-খোদা হাফেজ বলেছেন । এ সব কাজের মধ্যে দিয়ে মমতা প্রমাণ করেছেন যে তাঁর
মতো ইসলাম ও মোল্লাদরদী মুখ্যমন্ত্রী এ বঙ্গে কোনো দিন এর আগে হয় নি, আর কোনো দিন হবেও না । মমতা তাঁদের এতো কিছু দিয়েছেন, তার উপর আবার শোনা যাচ্ছে যে, তাঁকে বিধায়ক ও মন্ত্রী বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন । স্বভাবতই
সিদ্দিকুল্লাহর পক্ষে ভোল বদলাতে সমস্যা হয় নি, দেরীও হয়
নি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতার
সঙ্গে গাঁট ছড়া বেঁধেই লড়বেন তা জানিয়ে
দিয়েছেন ।
রেজ্জাক মোল্লার কিন্তু মমতার কোলে ঢলে
পড়াটা অবাক করেছে অনেককেই । কারণ, দীর্ঘকাল তিনি কম্যুনিস্ট পার্টিতে ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন এবং পার্টির নেতৃত্ব করেছেন । রেজ্জাক অবশ্য
ভোল বদলাতে শুরু করেন বামফ্রণ্ট সরকারের পতনের পর থেকেই । মন্ত্রীত্ব হারানোর কিছুদিনের
মধ্যেই তিনি তাঁর আসল রূপে আবির্ভূত হতে
শুরু করেন । বামফ্রণ্ট সরকারের পরাজয়ের অব্যবহিত পরেই পরাজয়ের জন্যে পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই
সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেন । বুদ্ধবাবুর শিল্পনীতিকে কুরুচিপূর্ণ
ভাষায় আক্রমণ করেছেন বারবার । এমনকি ব্যঙ্গ করেও বলেছেন, হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে গেছে । শুধু শিল্পনীতিকেই নয়, তিনি আক্রমণ
করেছেন তাঁর সরকারের সংখ্যালঘু নীতিকেও । বলেছেন, মুসলমানদের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্যেই সিপিএমের পতন হয়েছে । এর পাশাপাশি নিজের আখের গোছানোর অভিলাষে মুসলমানদের সহানুভূতি অর্জন করার জন্যে তিনি মুসলিম
সমাজের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক
স্থাপনে মনোনিবেশ করতে শুরু করেন । এ ভাবে সর্বহারার নেতা থেকে সরাসরি
মুসলমানদের নেতা হওয়ার প্রয়াস শুরু
করতে দেখা যায় তাঁকে । কিন্তু কথায় কি চিড়ে ভিজে ? কম্যুনিস্টদের মুসলিম ধর্মীয় নেতারা তো মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান
করে । তাই নিজেকে ঈমানদার মুসলিম প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে
ওঠেন । সর্বত্র বলে বেড়াতে লাগলেন যে, আমি
আগে মুসলমান পরে কম্যুনিস্ট, মার্কসবাদ নয় আল্লাহ্ হলো সর্বশক্তিমান । নিজেকে মুসলমান প্রমাণ করতে
সরকারি খরচে হজটাও সম্পন্ন করতে ভুললেন না । কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে
পারলেন যে, মুসলমান ও কম্যুনিস্ট দু’টোই
একসঙ্গে হওয়া যায় না । তখন তিনি কম্যুনিস্ট তকমা ছুঁড়ে ফেলতে তৎপর হয়ে ওঠেন । সেটা করতে হলে সব আগে যে পার্টি ছাড়তে হয় । কিন্তু তাতে তো বিধায়ক পদ থাকে না । যে
লোকটা মন্ত্রীত্ব হারিয়ে বেহুঁশ, তার পক্ষে বিধায়ক পদ ছাড়া সম্ভব ? তা হলে
উপায় ? পার্টি বহিষ্কার করলে গা থেকে কম্যুনিস্ট তকমা খসতে পারে । তাই পার্টি যাতে দ্রুত বহিষ্কার
করতে বাধ্য হয় সে কাজ করলেন । ঘোষণা করে দিলেন
যে পরের বিধানসভা , তখনও বিধানসভা নির্বাচন
ঢের দেরী আছে, তিনি আলাদা
ভাবে ভোটে লড়বেন । ব্যস কেল্লা ফতে । পার্টি তাঁকে বহিষ্কার করে দিলো। মহা খুশী হয়ে রেজ্জাক বললেন, Mostly welcome ! কম্যুনিস্ট আলখাল্লা ছুঁড়ে ফেলে
দিয়ে তারপর তৈরী করলেন ‘ন্যায় বিচার পার্টি’ । মুসলমানদের ন্যায়
বিচার দিবেন তিনি ! কিন্তু মুসলমানরা তাঁকে পাত্তা দিলেন না । তাই যেই মমতা ডাকলেন, সঙ্গে সঙ্গে ছুটলেন । যদি মন্ত্রীত্বটা জোটে, নিদেন পক্ষে বিধায়ক পদটাও !
দীর্ঘকাল কম্যুনিস্ট থাকার পর মানুষ কীভাবে এতো রঙ
বদলায় ? লাল ঝাণ্ডা ছেড়ে সবুজ ঝাণ্ডা, সবুজ ছেড়ে তেরঙা
? ন্যূনতম আত্মমর্যাদা বোধ থাকলে কেউ পারে ? রেজ্জাক শুধু এক লাল ঝাণ্ডা ত্যাগ করেছেন চতা নয়, লাল
ঝাণ্ডা ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রায় জনা পনের বাম বিধায়ক ও সাংসদ । এই লোকগুলো নিশ্চিতভাবেই ভণ্ড কম্যুনিস্ট বা ভণ্ড বামপন্থী
ছিলেন । তবে রেজ্জাককে শুধু ভণ্ড বলা যায়
না, তিনি মহাভণ্ড । এই ভণ্ডরাই এখন ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ ঠেকাতে বেশী মরিয়া ।
পরিশেষে একটা প্রশ্ন তুলতে চাই,
এতোগুলো ভণ্ড কম্যুনিস্ট পার্টিতে এতো দিন থাকলো কী ভাবে ? যে সব পার্টিতে তাঁরা ছিলেন সেই
পার্টিগুলির মতাদর্শে কি ঘূণ ধরে গিয়েছে ? মানুষ
কিন্তু এর জবাব চাই । সিপিএম ও
বামফ্রণ্টের শরিক দলগুলি কি সেটা উপলব্ধি করছে ?
পরিশেষে আর একটা কথা বলি । রেজ্জাক তো এখন নব্য তৃণমূলী । কিন্তু তিনি কি স্বস্তিতে আছেন? কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজি –
মমতার এই নীতি তাঁর ঘুম হারাম করে দেবে না তো ? আমও গেলো, ছালাও গেলো – এমন দশা হবে না তো
?