Monday, May 24, 2021

করোনা ডায়রি (সাত)ঃ ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি, আংশিক লকডাউন প্রসঙ্গে কিছু দাবি ও কিছু প্রশ্ন

white and red heart shaped decor

আজ ১৬ই মে থেকে রাজ্যে শুরু হলো কার্যত লকডাউন। দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ ভয়ানক থেকে ভয়ানকতর হয়ে উঠছে। প্রতিদিন নতুন সংক্রমণের সংখ্যা লাফ দিয়ে যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে পাল্লা দিয়ে করোনা রোগীর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা যা সামনে আসছে বাস্তবে সংখ্যাটা তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি। কারণ, করোনা সংক্রমণ যাদের দেহে হচ্ছে তাদের একটা ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো, করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের লজ্জাজনক অপ্রতুলতা ও সচেতনতার অভাব। তাছাড়া সিগম্যাটাইজড হয়ে যাওয়ার ভয়ও কাজ করে, জানাজানি হয়ে গেলে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে যা গোটা পরিবারকে অনাহারের দিকে ঠেলে দেবে। হাসপাতালে বেড নেই, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ নেই, ফলে করোনা রোগীরা ঘরেই যে যার সাধ্য মতন চিকিৎসা করাচ্ছেন, গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ মানুষই সে সুযোগটুকুও নিতে পারে না। ফলে বাডিতেই বহু করোনা রুগীর মৃত্যু হচ্ছে যে খবর সরকার রাখে না। গোটা দেশের সঙ্গে আমাদের রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতর হয়ে উঠছে। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে আর নতুন রেকর্ড গড়ছে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কয়েকদিন থেকেই চার হাজারের গণ্ডী টপকাচ্ছে, আর মৃত্যুর সংখ্যা একশোর উপরেই থাকছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় ১৫ দিনের জন্যে (১৬ই মে থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত) কিছু কঠোর অনুশাসন ও বিধিনিষেধ জারি করলো ‘যাকে কার্যত লকডাউন’ বলা হচ্ছে।

পরিস্থিতি যা তাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই

চিকিৎসকমণ্ডলী এতে খুশি নন, তাঁরা চান পূর্ণ লকডাউন। পরিস্থিতি এতই সঙ্গিন হয়ে উঠেছে যে জনগণের জন্যে মরাকান্না করা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও না পারছে চিকিৎসকদের মতামতের বিরুদ্ধাচারণ করতে, না পারছে সরকারের গৃহীত কড়া পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। আমি গ্রামের মানুষ, আমার বাস প্রান্তিক ও নিম্নবিত্ত মানুষজনের মধ্যে। আমি জানি আংশিক লকডাউন হোক আর পূর্ণ লকডাউনই হোক, তাতে এই সব মানুষরা কাজ হারিয়ে কতটা বিপদে পড়বে। সেজন্যেই চিকিৎসক বন্ধুদের অভিমত অত্যন্ত বাস্তব বুঝেও তাঁদের অভিমতকে সমর্থন দিতে মন সায় দিচ্ছে না। আবার পূর্ণ লকডাউন না চাইলেও সরকার যে আংশিক লকডাউন জারি করেছে যা কার্যত পূর্ণ লকডাউনের মতনই,  তারও বিরোধিতা করতে পারছি না। কারণ, করোনার ভয়াল করাল গ্রাস থেকে দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে এরূপ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া অন্য বিকল্প নেই।   

সরকারের জারি করা আংশিক লকডাউন যা প্রায় পূর্ণ লকডাউনের সমতুল্য তাকে সমর্থন জানিয়ে সরকারের উদেশ্যে ও প্রতি কিছু প্রশ্ন ও দাবি রাখতে চাই।    

সরকার ঘোষিত অত্যাবশ্যকীয় কর্মক্ষেত্র ও দ্রব্যের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন

অত্যাবশ্যকীয় কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে রাত্রিবেলা রাস্তায় চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব দোকান ও প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধের তালিকায় যে সব দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান রাখা রয়েছে সেগুলি বন্ধ রাখা নিশ্চয়ই জরুরী ছিলো। অন্যদিকে অত্যাবশ্যকীয় কিছু ক্ষেত্রকে আংশিক বা সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া অত্যন্ত জরুরী ছিলো। সরকার সেটা করেছেও। এ রকম ছাড় দেওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে অন্যত্র। যেমন প্রশ্ন রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের তালিকা এবং ছাড় দেওয়ার সময়ের ব্যাপ্তি নিয়ে।    

অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের তালিকায় রয়েছে এমন কয়েকটি দ্রব্যের দোকান যা অনেককেই অবাক করেছে। সেগুলি হলো মিষ্টি, শাড়ি ও গয়নার দোকান। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সাত ঘণ্টা (সকাল দশটা থেকে পাঁচটা) এবং গয়না ও শাড়ীর দোকান তিন ঘণ্টা (দুপুর বারোটা থেকে তিনটা)। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য, শাড়ি ও গয়না কি অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য? না, হ্যাঁ বলা যাচ্ছে না। কোন মাপকাঠিতে, কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে, কার বুদ্ধিতে এগুলোকে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বোধগম্য হচ্ছে না। গতবছর পূর্ণ লকডাউনের সময় দেশ জুড়ে কিছু গোয়ালা বন্ধু এবং দুধ ব্যবসায়ী প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছিলো। বহু জায়গায় তারা বড়ো বড়ো দুধপাত্র রাস্তায় উল্টে দিয়ে প্রচুর দুধ নষ্ট করে লকডাউনের প্রতিবাদ করেছিলো। তাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনে সরকার মাথা নত করে আংশিক সময়ের জন্যে মিষ্ঠির দোকান খোলার অনুমতি প্রদানও করেছিলো। আমার মনে হয় সেজন্যেই এবারও মিষ্টির দোকানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকলে গোয়ালা, দুধ ব্যবসায়ী এ মিষ্টান্ন বিক্রেতাদের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি যে হবে তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই। কিন্তু দুগ্ধজাত শিল্পের সঙ্গে যত শ্রমজীবী মানুষ যুক্ত তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি শ্রমজীবী মানুষ যুক্ত রয়েছে অন্য অনেক ক্ষেত্র ও ব্যবস্যায়। রেল, বাস, নৌকা, লঞ্চ, স্টীমার ইত্যাদি পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ সংগঠিত ও অসংগঠিত কর্মচারী ও শ্রমজীবী মানুষ। চটশিল্পে ৩০% শতাংশ ও চা শিল্পে ৫০% লোক কাজ করতে পারবে। ফলে এই দুটি শিল্পে কাজ হারাবে বহু লক্ষ শ্রমিক। এ ছাড়া রয়েছে আরও অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এবং শিল্প যেখানে লকডাউনে অসংখ্য মানুষ কাজ হারাবে। দুগ্ধজাত শিল্পের শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ীদের কথা ভাবলে তো ভাবতে হয় অন্যদের কথাও। আর তাহলে তো লকডাউন (আংশিক বা পূর্ণ) করাই যাবে না।        

প্রশ্ন আছে ছাড় দেওয়ার সময়সীমা নিয়েও। চশমার দোকানকে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারখানা ও ঔষধের দোকানের সমগোত্রীয় হতে পারে না চশমার দোকান। চশমার দোকানকে আংশিক সময়ের জন্যে ছাড় দিলেও মানুষের খুব বেশি অসুবিধা হবে না। মিষ্টির দোকানকে যেখানে ছাড় দেওয়াই ঠিক হয় নি সেখানে সেগুলি সাত ঘণ্টা খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ মুদিখানার দোকান ও বাজার হাট খুলে রাখার জন্যে সময় দেওয়া হয়েছে সারাদিনে মাত্র তিন ঘণ্টা – সকাল সাতটা থেকে দশটা। এই তিন ঘণ্টা সময় খুবই কম। এর ফলে মুদিখানার দোকানে ও বাজার-হাটে ভিড় অনেক বেশি হবে যার ফলে দুরত্ববিধি মানা শিকেয় উঠবে।

কয়েকটি দাবি সরকারের কাছে

রেশন দোকান খোলা থাকবে রবিবার বাদে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সপ্তাহে ছ’দিন। মানুষের সচেতনার অভাব এবং তীব্র দারিদ্রতা হেতু সপ্তাহের প্রথম দু/তিন দিনেই মানুষ রেশনের দোকানে ভিড় করে যেখানে দুরত্ববিধি মেনে চলা অসম্ভব হয়ে ওঠে। প্রশাসনও এক্ষেত্রে থাকে সম্পূর্ণ উদাসীন ও নিষ্ক্রিয়। ফলে লকডাউনের (তা আংশিক হোক কিংবা পূর্ণই হোক) উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে যায়। রেশনের দোকান তাই সপ্তাহে ছ’দিন দিনভোর খোলা রাখলেই হবে না। সেখানে দুরত্ববিধি কার্যকর করার জন্যে সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে সরকারকে ভোটের আগে দেওয়া দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার এটাই তো উপযুক্ত সময়। সরকারকে সেই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করার জন্যে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে এখনই দুটি কাজ করার পরামর্শ সরকারে কাছে রাখতে চাই। প্রথমত, সরকারকে রেশন ডিলারদের নির্দেশ দিতে হবে রেশন গ্রহীতাদের ছ’টা তালিকা করে কাদের কবে রেশন দেওয়া হবে তা জানিয়ে দিতে। দ্বিতীয়ত, রেশনের দোকানে দুরত্ববিধি কার্যকর করার জন্যে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিতে হবে। ৩০শে মে আংশিক লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলে, যদি হয়, করোনার আরো অনেক বেশি শক্তিশালী তৃতীয় প্রজাতি প্রস্তুত হচ্ছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আমাদের ওপর আছড়ে পরার জন্যে। অর্থাৎ করোনা সৃষ্ট অতিমারি থেকে অন্তত ২০২১ সালে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কথাটা মনে রেখে রেশন দোকানের ভিড় পাতলা করার জন্যে সরকারকে আর একটি কাজ করতে হবে। তৃতীয় সেই কাজটি হলো খুব শীঘ্রয় রেশনের দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

আংশিক হোক আর পূর্ণ লকডাউনই হোক কাজ হারাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাদের অধিকাংশই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। তাদের শুধু বিনামূল্যে চাল গম দিলেই হবে না। তাদের হাতে নগদ টাকাও দিতে হবে বাজার হাট করা সহ অন্যান্য জরুরী কাজ করার জন্যে। আর এর জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে রাজ্য সরকার বসে থাকতে পারে না বা এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বসে থাকতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এগিয়ে না আসে তবে যেখান থেকেই হোক রাজ্য সরকারকেই টাকার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য সরকার বিগত দশ বছর ধরে অহেতুক ক্লাবের পেছনে, মাটি উৎসবে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রচারে এবং আরো অনেক ফালতু কাজে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ব্যয় করে ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে। এবার মানুষের জীবন বাঁচাতে দরকার হলে সরকারকে ঋণ করেও টাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারকে আর একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রত্যেকটি গরীব পরিবারের গৃহকর্ত্রীর ব্যাংক একাউণ্টে টাকা (কাউকে ৫০০ টাকা, কাউকে ১০০০ টাকা) দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে এই সময়েই সেই প্রতিশ্রুতিটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা জরুরী হয়ে উঠেছে।                  

আরো দু’টি দাবি আছে রাজ্য সরকারের কাছে। গত বছর দেশ জুড়ে পূর্ণ লকডাউন চলাকালীন প্রথম দিকে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো খুবই প্রশংসনীয়। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে জনগণের একটা সাধারণ প্রবণতা ছিলো লকডাউনকে উপেক্ষা করে। সে সময় লকডাউন সফল ও সার্থক করতে পুলিশকে ভীষণ তৎপর ও সক্রিয় দেখা গিয়েছিলো। অবশ্য কিছু পুলিশকে কোথাও কোথাও একটু বাড়াবাড়ি করতেও দেখাও গিয়েছিলো। তারজন্য সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে ডেকে প্রশাসনের অভ্যন্তরে কড়া ভাষায় সতর্ক করলেই কাজ হতো বলে মনে হয়। কিন্তু অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো এবং সে খবর জনগণের মাঝে ছড়িয়েও দেওয়া হয়েছিলো। তারপরেই দেখা যায় পুলিশকে প্রায় দর্শকের ভূমিকায় চলে যেতে, লকডাউন সফল করতে পুলিশের মধ্যে আগ্রহ ও উৎসাহ অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিলো। তাই সরকার ও প্রশাসনের কাছে সবিনয়ে বলতে চাই যে, তাঁরা যেন বিশেষভাবে সতর্ক থাকেন যাতে গতবারের পুনরাবৃত্তি এবার আর না হয়।    

সব শেষে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে বিষয়ে সেটাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি। সর্বদ্রাসী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে একান্ত প্রয়োজন হলো সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। সকল রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, সরকারি-ব্বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিবিশেষ যার যা শক্তি ও সামর্থ আছে তাদের সবাইকে একজোট হয়ে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে করোনাকে হারানোর লড়াইয়ে সামিল হতে হবে, ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে সবাই মিলে জোট বেঁধে সার্বিক শক্তির সমাবেশ না ঘটিয়ে লড়তে না পারলে করোনাকে হারানো যাবে না। আর এটা সবচেয়ে আগে, সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করা দরকার সরকারের। প্রধানত সরকারেকেই উদ্যোগী হতে হবে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে করোনার বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব কঠিন লড়াইয়ে সামিল করার। এ প্রসঙ্গে বিনম্রতার ও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে সবাইকে নিয়ে করোনা-যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে গত বছরের আমাদের অভিজ্ঞতা মোটেই আশানুরূপ ছিলো না। এবারে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন। তাই আশা করবো যে, সরকার এবার বিরোধী দল সহ অন্যান্য সকল শক্তি ও সংগঠনকে পাশে নিয়ে করোনা-যুদ্ধে পরিচালনা করতে সদর্থক ভূমিকা পালন করবে।

১৬.০৫.২১

 

KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...