মুর্শিদাবাদের
রঘুনাথগঞ্জ থানার রনজিতপুর গ্রামে হালালা বিয়ের ফতোয়ায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। ঘটনাটির দুটি পিঠ রয়েছে। একটি পিঠ সমাজকে অন্ধকারে ডুবিয়ে
রাখতে চায়ছে, আর অন্য পিঠটি সেই অন্ধকার ভেদ করে উজ্জ্বল দ্যুতি বিকিরণ করার
চেষ্টা করছে। ঐ গ্রামের নাসিমা বিবিকে তার স্বামী রবিউল দেড়/দু’ বছর আগে তালাক
দিয়েছিল। ওদের দুটি সন্তান আছে যার মধ্যে বড়টি ছেলে যে নবম শ্রেণীতে পড়ে এবং ছোটটি
মেয়ে, অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। রবিউল নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রী নাসিমাকে ফিরিয়ে নেব বলে
স্থির করে। সন্তানদের মুখ চেয়ে নাসিমাও সম্মতি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১শে
ফেব্রুয়ারী বিবেক, বোধ ও বুদ্ধি সম্পন্ন কিছু মানুষ সালিশি সভায় সিদ্ধান্ত দেয় যে,
বিয়ের আগে রবিউলকে তার বাড়ি ও জমির অর্ধেক অংশ নাসিমাকে লিখে দিতে হবে যাতে কথায়
কথায় সে আবার তালাক দিতে না পারে, আর যদি দেয়ও তবে যেন নাসিমা ও তার সন্তানদের
ভরণ-পোষণের অন্তত কিছুটা সুরাহা হয়। রবিউল তা মেনেও নেয়। এরপর রবিউল ও নাসিমার
বিয়ের প্রস্তুতিও শুরু হয়। কিন্তু ভাঙা সংসার জোড়া লাগার শুভ প্রয়াসে জল ঢেলে দেয় মোল্লা-মুফতিদের
একটি ফতোয়া। ফতোয়াটি হলো রবিউল ও নাসিমার পুনর্বার বিয়ের আগে নাসিমাকে হালালা বিয়ে
করতে হবে। হালালা বিয়ের অর্থ হলো নাসিমাকে আগে অন্য একজন লোককে বিয়ে করতে হবে এবং
তার সঙ্গে ন্যূনতম তিন দিন স্বামী-স্ত্রীর মত সংসার যাপন করতে হবে। তারপর ২য়
স্বামী নাসিমাকে তালাক দেবার তিন চাঁদ পর নাসিমা রবিউলকে বিয়ে উপযুক্ত হতে পারবে। এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন
নাসিমা। তিনি বলেন যে, এমন জঘন্য বিধান তিনি কিছুতেই মানবেন না, তাতে যদি তাঁর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না হয় তাও কবুল। ফতোয়ায়
ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সমাজকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, আমি কি পুতুল যে সমাজের লোক আমাকে
অন্য পুরুষের হাতে তুলে দেবে এবং সে আমাকে ইচ্ছে মত ভোগ করবে? আমার কি ইজ্জত ও
আত্মমর্যাদা বলে কিছু থাকতে নেই?
নাসিমা একজন
ব্যতিক্রমী মহিলা। এই কুৎসিত ফতোয়ার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই চালানোর পণ করবেন বলে স্থির করেছেন। তাই
হালালা বিয়ের কুৎসিত ফতোয়াটিকে তীব্র ভাষায় প্রত্যাখান করেই তিনি ক্ষান্ত থাকেন
নি। আনন্দ বাজার পত্রিকাকার মাধ্যমে জঘন্য এই ফতোয়া এবং তার বিরুদ্ধে তাঁর গর্জে
ওঠার কথা গোটা দেশেকে জানিয়ে দেন।
এই হলো
ঘটনার দু’টি পিঠ যে কথা উপরে বলেছি। এক পিঠে রয়েছে শরিয়তের বলে বলীয়ান রঞ্জিতপুরের
মাওলানা সমাজ যারা গোটা সমাজকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর, আর তার বিপরীত পিঠে রয়েছেন নাসিমা যিনি
সভ্যতার মশাল হাতে নিয়ে অনড় দাঁড়িয়ে আছেন অন্ধকারের বুক চিরে আলো আনবার
জন্যে।
আধুনিক
শিক্ষার প্রসারের ফলে মুসলিম সমাজেও বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে কয়েক যুগ
পূর্বেই। কিন্তু মুসলিম বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর মত এত ভীতু, সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর
শ্রেণী বোধ হয় আর কোথাও নেই। মোল্লা ও মুফতিরা যতই কুৎসিত, নিকৃষ্ট ও বর্বর ফতোয়া
দিক না কেন এই বুদ্ধিজীবীরা হয় কাপুরুষোচিত মৌনতা অবলম্বন করেন, না হয় ফতোয়াকে
অনৈসলামিক বলে মিথ্যাচার করে মানুষের সাথে
প্রতারণা করেন। নাসিমার উপর জারি করা ফতোয়ার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু ঘটে
নি।একদিকে রনজিতপুর গ্রাম ও
পার্শ্ববর্তী গ্রামের কলেজ-বিস্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সহ গোটা মুসলিম বুদ্ধিজীবী সমাজ,
যাঁরা ২১শে ফেব্রুয়ারীর সালিশি সভায় সঠিক বিবেচনাপ্রসূত ন্যায্য বিচার করেছিলেন তাঁরাও, বোবা সেজে বসে রয়েছে, এবং
অন্যদিকে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ আসরে নেমে যথারীতি মিথ্যাচার শুরু করেছেন।
তাঁরা বলছেন যে হালালা বিয়ে ইসলামে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং হালালা বিয়ের কোন ফতোয়া
দেওয়াই হয় নি। মিথ্যা গল্প বানিয়ে আনন্দ বাজার পত্রিকা মুসলমানদের বিরুদ্ধে
বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে। অন্যদিকে রনজিতপুরের সমাজ থেকে নাসিমার উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করা
হচ্ছে তাঁকে দিয়ে এ বিবৃতি দেওয়ার জন্যে যে আনন্দ বাজার পত্রিকা তাঁর মুখে যে
কথাগুলি বসিয়েছে সে কথা তিনি বলেন নি। নাসিমা সেই চাপের কাছে এখনও মাথা নত করেন
নি। কিন্তু তাঁকে ভীত ও সন্ত্রস্ত করার হীন প্রয়াস সমানে চলছে। এ রকম পরিস্থিতিতে
মহিলাদের পক্ষে শেষ পর্যন্ত শিরদাঁড়া সোজা করে রাখা খুবই কঠিন কাজ। আশা করি নাসিমা পারবেন।
অমুসলিম বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাও খুবই হতাশাব্যাঞ্জক। এই
বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একদল আছেন যাঁরা আবার বিদ্বজন উপাধিপ্রাপ্ত। বিদ্বজনরা মাঝেমাঝেই নানা প্রসঙ্গে বেশ সরব হন। এঁরা
হিন্দু মৌলবাদী আক্রমণ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রায়ই সরব হোন। হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রীয় খেতাব ফিরিয়ে দিতেও কুন্ঠা করেন না। বিদ্বজনদের এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে
পড়েন তামাম বুদ্ধিজীবী সমাজ। এঁদের এমনকি সরকারি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধেও সরব হতে
দেখা যায়। গণতন্ত্র রক্ষার্থে এও সমর্থনযোগ্য শুভ পদক্ষেপ। হিন্দু মৌলবাদী আগ্রাসন
ও সন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্বজন ও বুদ্ধিজীবিদের এ ধরণের
সক্রিয়তা ও প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য ও সমর্থনযোগ্য। কিন্তু এই বিদ্বজন ও
বুদ্ধিজীবীকুল মুসলিম মৌলবাদী আগ্রাসন ও সন্ত্রাসের বেলায় মৌনীবাবা সেজে বসে
থাকেন। মৌনীবাবা সেজে বসে থাকেন যখন মুসলিম সমাজে ফতোয়া সন্ত্রাস চালায় তখনও।
মোল্লাতন্ত্রের ফতোয়া সন্ত্রাসের শিকার হয় মূলতঃ মুসলিম নারী এবং মুসলিম সমাজের
যুক্তিবাদী লেখকগণ যাঁরা সমাজের সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করেন। ফতোয়া যতই বর্বর ও
হিংসাশ্রয়ী হোক না অমুসলিম বুদ্ধিজীবীরা মরা মানুষবৎ নিশ্চুপ থাকেন। বলেন, ওটা
মুসলমানদের ব্যাপার। কী নির্লজ্জ ও কাপুরুষোচিত প্রতিক্রিয়া। মুসলিমরা শুধুই
মুসলিম, তারা যেন মানুষ নয়। তাই একজন মুসলিম নারীকে যখন মুসলিম সমাজের নেতারা ধর্মের
নামে একজন মুসলিম ধর্ষকের হাতে তুলে দিতে হালালা
বিয়ের ফতোয়া জারি করে তখন বিজ্ঞ অমুসলিম বুদ্দিজীবী সমাজ দূর থেকে বসে বসে তামাশা
দেখেন। এটাই দস্তুর। নাসিমার ক্ষেত্রেও এর
ব্যতিক্রম হয় নি। ধিক। শত কোটি ধিক এই
বুদ্ধিজীবী সমাজকে।
এই
লেখাটা লিখছি নাসিমাকে তাঁর বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের জন্যে কুর্ণিশ জানাতে এবং ভণ্ড
মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা যে মিথ্যাচার করছে তা বেআব্রু করব বলে। হ্যাঁ, প্রথমেই নাসিমার লড়াইকে অকপট কুর্ণিশ জানাচ্ছি।
কুর্ণিশ জানিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, আপনি নিজেকে একা ভাববেন না। আপনার লড়াইয়ের পাশে ব্যাপক মানুষের নৈতিক সমর্থন
রয়েছে এবং সর্বোপরি রয়েছে সুপ্রীম কোর্টের রায়। সুতরাং মনে রাখবেন যে, আপনার পক্ষে
রয়েছে দেশের আইন ও সংবিধান। আর ঐ ফতোয়াবাজ সমাজের মোল্লা ও মাতব্বররা তো আইনভঙ্গকারী। সুতরাং
আপনি কোনও পরিস্থিতিতেই দেশের আইনভঙ্গকারীদের চোখ রাঙানীকে ভয় করবেন না।
হ্যাঁ, সেই
মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা অতি জঘন্য মিথ্যাচার করছেন যাঁরা বলছেন যে
নাসিমাকে হালালা বিয়ের ফতোয়া দেওয়াই হয় নি, কারণ ইসলামে হালালা বিয়ে বৈধই নয়। কেন তাঁরা মিথ্যাচার করছেন? করছেন নাসিমার রুখে দাঁড়ানোর
ফলে শরিয়তি বিধানের যে কুৎসিত রূপটি বেআব্রু হয়ে পড়েছে সেটা ঢাকার জন্যে। দুঃখজনক ঘটনা হল, তাঁরা ফতোয়াটি কার্যতঃ কুৎসিত বলে মেনে নিচ্ছেন, কিন্তু সেটা বাতিল করার দাবি জানাচ্ছেন
না। উল্টে মিথ্যা খবর করেছে বলে আনন্দ
বাজারের বিরুদ্ধে মিথ্যা বদনাম রটাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নাসিমার উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে তিনি বলেন
যে তাঁর কথাকে বিকৃত করা হয়েছে। একেই বোধ হয় বলে, চোরের মায়ের বড় গলা। ইসলামে হালালা বিয়ে বৈধ নয়
বলে ঐ ভণ্ড বুদ্ধিজীবীরা যেটা প্রচার করছেন সেটা যে বিশুদ্ধ মিথ্যা তার স্পষ্ট
প্রমাণ রয়েছে কোরান ও হাদিসে। হালালা বিয়ে প্রসঙ্গে কোরান ও হাদিস ঠিক কী বলছে তার
প্রতি এবার দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যাক।
কোরানের
বাকারা সুরায় হালালা বিয়ের স্পষ্ট বিধান রয়েছে। সেই বিধানটি হলো, “অতঃপর যদি সে
তাকে তালাক দেয়, তবে সে তার জন্য বৈধ হবে না, যে পর্যন্ত না অন্য ব্যক্তির সঙ্গে
বিবাহিত হবে। তারপর যদি সে যদি তাকে তালাক দেয়, এবং যদি উভয়ে মনে করে যে, তারা
আল্লাহ্র সীমারেখে রক্ষা করতে সমর্থ হবে, তবে তাদের পুনর্মিলনে কারও কোনো অপরাধ
হবে না, এবং এটাই আল্লাহ্র সীমারেখা, আল্লাহ্ তা জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য
সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। (২/২৩০, অনুবাদ – ড। ওসমান গণী) তালাকপ্রাপ্ত নারীর তার
প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বিয়ে করার আগে অন্য ব্যক্তিকে বিয়ে করাকে ইসলামের পরিভাষায়
বলে হালালা বিয়ে বা হিল্লা বিয়ে। কোরানের এই আয়াতটির বাখ্যা দিয়ে গেছেন স্বয়ং
মুহাম্মদ। সে বাখ্যায় তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় বলেছেন যে, শুধু লোক দেখানো
বিয়ে করলে হবে না, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সহবাসও করতে হবে। এই হাদিসটিকে (মুহাম্মদ
যা বলেছেন তাকে হাদিস বলে) মিথ্যা বলে নস্যাৎ করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, এরূপ বহু হাদিস রয়েছে যেগুলি
সমস্ত সহিহ হাদিসেই লিপিবদ্ধ রয়েছে। এরূপ একটি হাদিস এভাবে বর্ণিত হয়েছে, “মুহাম্মদ ইবনে আ’লা হামদানী (রঃ) রেওয়াত
করেছেন, আয়েশা (রাঃ) বলেন যে, রাসূলে পাক (সাঃ)কে একটি স্ত্রীলোক সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করা হল, যাকে কেউ বিবাহ করে পূর্ণ তালাক দিল। তারপর সে মহিলা আর এক
ব্যক্তিকে বিবাহ করল; কিন্তু সে তার সাথে সঙ্গম করা ব্যতিরেকেই তালাক দিল। এরূপ ক্ষেত্রে ঐ মহিলা প্রথম
স্বামীর জন্য হালাল হবে কি না? রাসূলে পাক
(সাঃ) বললেন, না হবে না। যে পর্যন্ত না তারা পরষ্পরকে সম্ভোগ করে।” (দ্রঃ সহিহ
মুসলিম শরীফ, ১-৮ খণ্ডে একত্রে, সোলেমানিয়া বুক হাউস, ঢাকা, হদিস নং – ৩৩৯৬) অন্যান্য সমস্ত সহিহ হাদিস গ্রন্থেই এই হাদিসটি
রয়েছে।
কোরানের
২/২৩০ নং আয়াত এবং হাদিসে তার যে বাখ্যা রয়েছে তা থেকে এটা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে
হালালা বিয়ে ইসলামে বৈধ। সুতরাং কোনও সংশয় নেই যে, যাঁরা হালালা বিয়েকে ইসলামে
অবৈধ বলে দাবি ও প্রচার করছেন তাঁরা পুরোপুরিই মিথ্যাচার করছেন। এবং এর সঙ্গে
তাঁরা আর একটা মিথ্যাচার করছেন যে হালালা বিয়ের ফতোয়া আদৌ দেওয়া হয় নি। নাসিমার হিতাকাঙ্খী
ও নিকটাত্মীয়র কাছ থেকে আমি জেনেছি যে, নাসিমাকে হালালা বিয়ের ফতোয়া দেওয়ার খবরটিমিথ্যা
বা বিকৃত নয়, একদম একশ’ শতাংশ সত্যি। ফতোয়া দেওয়াটা সত্যি বলেই সংশ্লিষ্ট খবরের
কাগজের বিরুদ্ধে মিথ্যা বা বিকৃত খবর ছাপানোর মামলা দায়ের না করে নাসিমাকে দিয়ে
বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে তাঁর দেওয়া বয়ানকে বিকৃত করে ছাপা হয়েছে।
পরিশেষে
দুটি কথা বলে এ লেখাটা শেষ করতে চাই। প্রথম কথাটি হলো, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ,
তালাক ও হালালা বিয়ের শরিয়তি বিধানগুলি পশ্চাদপদ তা মনে মনে অধিকাংশ মুসলমানই
মানেন। কিন্তু তবুও এর থেকে মুসলিম সমাজ আজও নিষ্কৃতি পায় নি। কারণ মাওলানা ও
মুফতিরা যে ফতোয়া দেয় তা যতই কুৎসিত ও
নিকৃষ্ট হোক সকলেই তা বিনা প্রতিবাদে মেনে নেয়। নাসিমা খাতুন মানেন নি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন।
আসুন সবাই তাঁর পাশে দাঁড়াই। আমার দ্বিতীয় কথাটি হলো, রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতাদের ভূমিকা খুবই
হতাশাব্যঞ্জক। ভোট চোট হয়ে যায় এই ভয়ে সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, বোধ, বুদ্ধি ও
বিবেক বিসর্জন দিকে আর কতকাল শুধু
ভোট ও ক্ষমতার পেছনে ছুটবেন?
২৫/৩/১৮