কখনো কি এতো মৃত্যুভয় পেয়েছি?
আমি এখন সত্তর
ছুঁই ছুইঁ করছি
জীবনের চৌত্রিশটা
বসন্ত কেটেছে রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে
সাড়ে তিন দশকের
দীর্ঘ জীবনটা ছিল না
মসৃণ, ফুল বিছানো
মৃত্যু ছিলো
নিত্যসঙ্গী, ছায়াসঙ্গী,
পায়ে পায়ে মৃত্যু
যেনো বেড়ি পরিয়ে রাখতো
কানের কাছে
হিশহিশ শব্দের ঢেউ তুলতো,
একবার একটা বুলেট
তো কানের পাশ দিয়ে হুশ হুশ
শব্দ তুলে বেরিয়ে
গেলো,
তার আগেই একদিন
প্রতিপক্ষের লোকজন
পেয়ে গেলো
একেবারে হাতের মুঠোয়,
অদূরেই ফিসফিস
করে ফন্দি আঁটা হচ্ছে
কুচি কুচি করে
কেটে বস্তাবন্দি দেহটা
কীভাবে পাচার করা
হবে তার,
ফন্দিটা অবশেষ
ব্যর্থ করে দিলো একজন কনস্টেবল এসে।
মৃত্যু আমার পায়ে
পায়ে হেঁটেছে সদা যখন
তখন কি মৃত্যুর
চোখ রাঙানিকে
ভয় পেয়েছিলাম
আদৌ?
যখন কানের পাশ
দিয়ে হুশ হুশ করে
বুলেটটা বেরিয়ে
যায় লাস্ট ওয়ার্নিংগ দিয়ে
তখন কি ভয়
পেয়েছিলাম?
যখন নিশ্চিত
মৃত্যর কোলে শুয়ে ছিলাম
প্রতিপক্ষের
বেষ্টনীর মধ্যে
তখন কি খুবই ভয়
পেয়েছিলাম?
ভয় পেলে তো
রাজনীতির প্রাঙ্গণটা আরও
বেশী করে আঁকড়ে
পড়ে থাকতাম না,
পারতাম না ডিজির
আমার জন্যে বরাদ্দ করা
সিকিউরিটি হেলায়
ফিরিয়ে দিতে।
আজ ভাবছি কেউ যদি
একজন সিকিউরিটি
দিতো করোনার থাবা থেকে বাঁচতে।
৮ই মার্চ, ২০২০
(১৫৯তম রবীন্দ্র জয়ন্তী), ব্যাঙ্গালোর