Wednesday, February 17, 2021

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঘোষিত নতুন নাগরিকত্ব আইনটি ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী

অতি সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের পুরনো নাগরিকত্ব আইনটি সংশোধন করেছে। সংশোধিত নতুন আইন অনুযায়ী সেখানে এখন থেকে বিদেশী মেধাবীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রদান করা যাবে। অর্থাৎ কোনো বিদেশী নাগরিক যদি নিজ দেশের নাগরিকত্ব বহাল রেখেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকত্ব পেতে চায় তবে নতুন আইনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সে আবেদনে সাড়া দিতে আইনত যে বাধা ছিল তা রদ করা হয়েছে। ‘বিদেশী’ মানে বিদেশীই, সেক্ষত্রে ধর্মের কোনো বাছ-বিচার থাকবে না, অর্থাৎ বিদেশী নাগরিক যদি অমুসলিম হন তবুও। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে পুরনো নাগরিকত্ব আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া তো দূরের কথা, কোনো বিদেশীকেই আরব আমিরাতের নাগরিকত্ব দেওয়া হতো না। আইনেই সে বাধা ছিলো। শুধু তাই-ই নয়, আমিরাতি পুরুষদের স্ত্রী এবং আমিরাতি বাবার সন্তান ব্যতীত এমনকি উপসাগরীয় দেশগুলোর কাউকেই সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হতো না। বিশ্বের সমস্ত অমুসলিম দেশেই মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী, এবং পায়ও। ইউরোপ তো মুসলিমদের জন্যে তাদের দরজা হাট করে খুলেই রেখেছে। ইদানিং অবশ্য এই ঐতিহ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। 
 
কিন্তু মুসলিম দেশগুলিতে অমুসলিমরা ব্রাত্য, ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া অমুসলিম বিদেশীদের নাগরিকত্ব বা দ্বৈত নাগরিকত্ব কোনোটাই দেয়া হয় না। কিছু মুসলিম দেশ আছে যেখানে অমুসলিমরা জন্মসূত্রেই সে দেশের নাগরিক তাদেরও অত্যাচার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছু মুসলিম দেশ আছে যেখানে তাদের সংবিধানে অমুসলিমদের ধর্মাচারণের অধিকারটুকু পর্যন্ত দেওয়া হয় নি। অপরদিকে মুসলিমরা কিন্ত বিশ্বের সমস্ত দেশেরই নাগরিকত্ব ভোগ করার অধিকার চায়। শুধু তাই-ই নয়, তারা শরীয়া আইন ভোগ করার পরিসর ও অধিকারও চায়। তারা এটা বিশ্বাস করে যে বিশ্বের সর্বত্র শরীয়া আইনের অধিকার সহ জীবন যাপন করা তাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তারা এও বিশ্বাস করে যে, মুসলিম দেশে অমুসলিমদের তাদের নিজস্ব ধারার জীবন যাপন করতে চাওয়ার অধিকার নেই। মৌলিক অধিকার ভোগ করার ক্ষেত্রে এই যে ভয়ঙ্কর বৈষম্য তাতে মুসলিমরা কোনো ত্রুটি বা ভুল দেখে না। কারণ তারা মনে করে যে আল্লাহ্র তৈরি আইনে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে না। নাগরিকত্ব সহ নিজ নিজ ধর্মাচারণ ভোগ করার ক্ষেত্রে শরীয়া আইনের এই যে একদেশদর্শীতা তার বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজ থেকে কোনো সমালোচনা শোনা যায় না। আরব উপদ্বীপের দেশগুলির নাগরিকত্ব আইনের একটি ধর্মীয় প্রেক্ষিত রয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের উক্ত শরিয়া আইনগুলি প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে প্রচলিত রয়েছে। সমাজ পরিবর্তনশীল, পরিবর্তনশীল সমাজব্যবস্থাও। ফলে বিশ্বব্যাপী দেশের সংবিধান, সমাজের নিয়ম-নীতি ও ঐতিহ্যে অবিরাম ঘটে চলেছে। এমনকি আমূল পাল্টে গেছে অনেক দেশের সমস্ত আইনকানুন এবং সমগ্র সমাজব্যবস্থাটাও। কিন্তু মুসলিম দেশগুলি, বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলি কার্যত প্রায় অপরিবর্তিতই থেকে গেছে। আরব উপদ্বীপের দেশগুলি প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে চূড়ান্ত বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আজও তালগাছের মতন এক পায়ে স্থবির দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে যে জাতি ধর্ম ভাষা সংস্কৃতির বৈচিত্রে ভরপুর বিশ্বে শান্তি, সম্প্রীতি সহবস্থান এবং বিকাশ ব্যহত হচ্ছে সে বিষয়ে তারা নির্বিকার। এর কারণ হলো, উপসাগরীয় অঞ্চলের শাসকদের তাদের নবীর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস, আনুগত্য ও আবেগ। হ্যাঁ, তারা তাদের নবীর তৈরি নাগরিকত্ব আইনই অনুসরণ করে চলেছেন ধর্মান্ধতা বশতই। তিনি এই নাগরিকত্ব আইন শুধু তৈরিই করেন নি, স্বহস্তে সেটা প্রয়োগও করে গেছেন। তিনিই প্রথম আরব উপদ্বীপ থেকে প্রথমে ইহুদীদের বানু নাজির গোষ্ঠী এবং তারপর বানু কানুইকা গোষ্ঠীকে মদিনা থেকে বিতাড়িত করেন। তারপর বানু কুরাইজা গোষ্ঠীর ইহুদীদের বিচারের নামে সমস্ত পুরুষদের গলা কেটে হত্যা করেন এবং নারী ও শিশুদের বন্দি করে দাস-দাসীতে পরিণত করেন। তিনি মৃত্যুশয্যায় আরবকে সম্পূর্ণ অমুসলিম মুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে যান তাঁর উত্তরাধিকারীদের। দ্বিতীয় খলিফা ওমর বিন খাত্তাব সে নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। তারপর থেকেই আরব উপদ্বীপে সেই আইন ও ঐতিহ্য আজও বহাল রয়েছে। আরব থেকে অমুসলমানদের তাড়ানোর ব্যাপারে ইসলামের প্রবর্তক ঠিক কী বলে যান তা দেখা যাক। হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল (স)-কে বলতে শুনেছেন, আমি আরব উপদ্বীপ থেকে অবশ্যই ইহূদী ও নাসারাদের বের করে দেব। সেখানে মুসলমান ছাড়া আর কাউকে থাকতে দিব না। আবু ঈশা বলেন এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ। (দ্রঃ তিরমিযি শরীফ ১-৬ খণ্ড একত্রে, সোলেমানিয়া বুক হাউস, ঢাকা, হাদিস নং ১৫৫২, ১৫৫৩) উক্ত হাদসটি বোখারী শরিফ এবং মুসলিম শরীফেও রয়েছে, রয়েছে কোরানের তফসিরেও। নবীর তৈরি করা আইন যা তিনি হাতে-কলমে প্রয়োগ করে গেছেন তার প্রতি বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর (সম্রদায়ের) বিশ্বাস ও আবেগ কল্পনাতীত। মুসলিমদেশগুলির শাসকদের জন সমর্থনের প্রধান ভিত্তি হলো মুসলিমদের তাদের ধর্ম ও নবীর প্রতি অন্ধ আবেগ ও বিশ্বাস। উপসাগরীয় দেশগুলির ক্ষেত্রে একথা আরও বেশী প্রযোজ্য। শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবহণ পরিবেশ নির্মাণ প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে অমুসলিমদের সহযোগিতা ছাড়া, বিশেষ করে ইহুদী-নাসারাদের (খ্রিষ্টানদের) সহযোগিতা ব্যতীত ঐ দেশগুলির এক পাও চলার ক্ষমতা নেই। ফলে সমগ্র উপসাগরীয় উপতক্যা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ খ্রিষ্টান হিন্দু প্রভৃতি অমুসলিম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। নবীর জন্মভূমি ও কর্মভূমি সৌদি আরবে মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশই বিদেশী যাদের সিংহভাগই অমুসলিম, যদিও অমুসলিম নাগরিক একজনও নেই সেখানে। অর্থাৎ নীতিটা হলো অমুসলিমদের সহযোগিতা নেওয়া হবে কিন্তু বিনিময়ে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এই অন্যায় ও অযৌক্তিক নীতি অনুসরণ করার পেছনে যেমন ধর্মীয় কারণ রয়েছে, তেমনি রয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থও। নবীর আইন ও আদর্শের অবমাননা মুসলিম সমাজ সহজে মেনে নেবে না, তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পর্যন্ত করেছে। এ রকম দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। আরবের বিভিন্ন রাষ্ট্রের শাসকরা তাই নবীর কোনো আইনে পরিবর্তন বা সংস্কার করতে চায় না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী সেখ মহম্মদ বিন কাসেম অল-মকতুম তাই নাগরিকত্ব আইনটি সংস্কার করে একটি ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। যে কারণে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী নাগরিকত্ব আইনের সংস্কার করলো স্বল্প আয়ের শ্রমিক ও কর্মীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতি গড়ে তুলতে, নির্মাণ ক্ষেত্রে, হোটেল ব্যবসা এবং ভ্রমণ খাতে জনবল সরবরাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা কিন্তু নতুন নাগরিকত্ব আইনের সুযোগ পাবে না। বিনিয়োগকারী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়র), গবেষক, উদ্ভাবক, শিল্প-সংস্কৃতি ও লেখার জগতে সৃজনশীল ব্যক্তিদেরই কেবল দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। যেমন বিনিয়োগকারী হলে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজস্ব সম্পত্তি থাকতে হবে, চিকিৎসক হলে সে দেশে চাহিদা আছে এমন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে হবে, গবেষক ও উদ্ভাবক হলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অথবা বিশ্বের নামী উপযুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদিত পেটেন্ট গ্রহণ করতে হবে, সৃজনশীল ব্যক্তিদের তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা থাকতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ তাদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে যারা সে দেশটির সার্বিক বিকাশে এবং অর্থনীতিতে কিছু অবদান রাখতে পারবে। নবীর তৈরি আইনে হস্তক্ষেপ করা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি গুরুতর ইসলামিক বিচ্যুতি যা যে কোনো মুসলিম শাসকের শাসন ক্ষমতায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ। সে ঝুঁকি নিয়েও সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন নাগরিকত্ব আইনের সংস্কার করলো তা শোনা যাক তার প্রধানমন্ত্রীর মুখেই। তিনি তাঁর টুইটার হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, “We adopted law amendments that allow granting the UAE citizenship to investors, specialized talents & professionals including scientists, doctors, engineers, artists, authors and their families. The new directives aim to attract talents that contribute to our development journey,” মধ্যযুগীয় নাগরিকত্ব আইন ত্যাগ করতে হবে একদিন সমগ্র আরব উপদ্বীপকেই যে সময় ও পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত নাগরিকপ্ত্ব আইনটি আমূল বদলে ফেললো সেটি বিশেষভাবে বিবেচনাযোগ্য। একদিকে করোনা ভাইরাসের অতিমারি জনিত বিশ্বজুড়ে অভূতপূর্ব আর্থিক সংকট, অপরদিকে আন্তজার্তিক বাজারে পেট্রলিয়াম তেলের দামের হ্রাস। আরব উপদ্বীপের দেশগুলির অর্থনীতি নির্ভরশীল প্রধানত তেল ও পর্যটন শিল্পের ওপর। সৌদি আরবের অর্থনীতিকে সামাল দেবার জন্যে তেল ও পর্যটন শিল্প ছাড়াও রয়েছে মক্কার কাবা মসজিদ ও মদীনার মসজিদে নববী যেখান থেকে হজ ও উমরা খাতে তারা বিশাল অংকের বিদেশী মূদ্রা আয় করতে পারে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের সে সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারির কারণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে খনিজ তেলের মূল্য হ্রাস, অপরদিকে পর্যটন শিল্পে গভীর মন্দা, এই দুটি ঘটনা উপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতিতে তৈরি করেছে গভীর সংকট। এই সংকট হয়তো ইসলামি নাগরিকত্ব আইন সংস্কারে প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন রশিদ অল-মকতুমকে প্ররোচিত করে থাকতে পারে। কিন্তু সেটাই নিশ্চয়ই একমাত্র কারণ নয়। নবীর তৈরি আজন্ম লালিত নাগরিকত্ব আইনটি ত্যাগ করার একটি আলাদা ও বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রলিয়াম পণ্যের দাম হ্রাস পাওয়ার কতকগুলি কারণ রয়েছে যেখানে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কোনো হাত নেই। তার মধ্যে প্রধান কারণগুলি হলো - গোটা বিশ্বেই পেট্রলিয়াম তেল ও গ্যাস উৎপাদনের লেখচিত্র ঊর্দ্ধমুখী, পেট্রলিয়াম তেল ও গ্যাসের বিকল্প শক্তির ক্রমাগত উৎপাদন বৃদ্ধি, অতিমারির কারণে উড়ান শিল্পে সংকট এবং পৃথিবীতে যুদ্ধ/গৃহযুদ্ধ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া। করোনাজনিত অতিমারির সংকট একদিন যাবে, পর্যটন শিল্পও কিছুটা চাঙ্গা হবে, কিন্তু অন্য কারণগুলি তো থেকেই যাবে। এই বিষয়টি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির শাসকদের চোখের নির্ভাবনার ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এটা হলো নাগরিকত্ব আইন সংস্কার করার বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটা দিক। এছাড়া আর একটা দিক রয়েছে যেটা আরো বৃহৎ ও আরো বেশি গুরুত্ব্বপূর্ণ। সেটা হলো পেট্রলিয়াম তেল ও গ্যাসের ভবিষ্যৎ। পেট্রলিয়াম তেল ও গ্যাসের প্রাকৃতিক ভাণ্ডার দ্রূত শেষ হয়ে আসছে। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই যেদিন এই ভাণ্ডার একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। শুধু পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করে কোনো দেশ বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাই উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিকে সময় থাকতেই খনিজ তেল ও গ্যাসের নির্ভরশীলতা বের করতেই হবে। নচেৎ তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে এক নিশ্ছিদ্র তমসাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ। আর তা করতে হলে তাদের সম্ভাব্য সমস্ত ক্ষেত্রে শিল্প এবং কলকারখানা গড়ে তুলতে হবে এবং তৎসহ গড়ে তুলতে হবে বিদেশী বিনিয়োগের জন্যে উপযুক্ত পরিবেশ, পরিস্থিতি ও পরিকাঠামো। শিল্প এবং কলকারখানা গড়ে তোলা এবং বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিন্তু অন্যতম প্রধান বাধা হলো তাদের নাগরিকত্ব আইনটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে একটি আধুনিক এবং শিল্পোন্নত রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্যে এই আইনটিকে সংস্কার ও যুগোপযোগী করা একান্ত অপরিহার্য ছিলো। অপরিহার্য গোটা আরব উপদ্বীপের জন্যেই। সমগ্র উপদ্বীপকেই তাই অদূর ভবিষ্যতে একদিন না একদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে হাঁটতে হবে। ৫.২.২১

KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...