“in response to ur post
...kafirder jekhane pao hatta koro...I like to inform u not to avoid the
context of the Treaty between the nonbeliever n believers. again u r doing a
false propaganda not related to Islam ..u r quoting verse no 5 of chapter 9 .
But why r u avoiding verse no ,6 ??, n why r u jumping like a fox into verse 7
?? . Ok sir I understand why r u jumping bcz verse no 6 answers ALL ur false
allegationss.. If u r a real communist ,disclose chapter no 09 verse no...”
The above quoted words were
posted by Abu Taleb Shaikh on my timeline in response to one of my posts. Taleb
who is now an assistant teacher of a High Scool is one of my ex-students. He
alleged that I jumped some verses of Koran and so he compared me with a fox. It’s
nothing new. He told me once that I’m zero in Islam. He then advised me to read
Koran and know about Islam. In the above post he alleged that I was propagating
false allegations against Islam. I’m not astonished to read such comments. As
he is a bigoted person, I can’t expect better than what he did. Religion is
always a backward conception, thought and ideology and it has no scientific
base. A person who is much proud of his/her religion he/she must be orthodox
and bigoted and can’t think reasonably. Taleb is inheriting his religious culture
and so he lost courtesy to honour his seniors and teachers. Let it go. Let me
answer him. But I intend to reply in my mother tongue so that everyone involved
directly or indirectly from my side and his side can understand easily my
words. As there are two parts on my post, I answer in two parts. This is the
first part; you will see the 2nd part in separate post. Hope you
will keep your eyes on my wall.
আবু তালেব, আমার প্রাক্তন ছাত্র, আমার একটা পোস্টের জবাবে আমার টাইম লাইনে
যে কথাগুলি বলেছে সেগুলি আমি সব উপরে [যেমনটি লিখেছে হুবহু] উদ্ধৃত করেছি । তালেব
যা লিখেছে তার অর্থ হলো এ রকমঃ ‘কাফিরদের হত্যা কর’ - আপনার এই পোস্টের জবাবে আপনাকে জানাতে চাই যে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসিদের
মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল সেই প্রেক্ষিতটা এড়িয়ে যেতে পারেন না । আপনি আবার মিথ্যা প্রচারণা করছেন যার সঙ্গে
ইসলামের সম্পৃক্ততা নেই ... আপনি ন’ নম্বর সুরার পাঁচ নম্বর আয়াতটি উল্লেখ করছেন ।
কিন্তু কেন আপনি ছ’নম্বর আয়াতটি এড়িয়ে গেলেন ? এবং কেনো শৃগালের মতো সাত
নম্বর আয়াতে লাফ দিয়েছেন ? ঠিক আছে স্যার, আমি জানি কেনো ছ’ নম্বর আয়াতটি এড়িয়ে গেছেন । এটা এ জন্যে যে ঐ আয়াতে আপনার
সব মিথ্যা প্রচারণার উত্তর রয়েছে । আপনি যদি সত্যিই একজন কম্যুনিস্ট হন তাহলে ন’
নম্বর সুরার ... নং আয়াতগুলি উন্মোচন করুন । [নিম্ন রেখাটা আমার]
তালেবের উদ্ধৃতির নীচে আমি যা লিখেছি তার অর্থ হলো এ রকমঃ উপরের উদ্ধৃতিটি
আবু তালেব সেখের যে আমার একটি পোস্টের জবাবে আমার টাইম লাইনে পোস্ট করেছে । তালেব
যে এখন একটি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সে আমার একজন প্রাক্তন ছাত্র । সে আমার
বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে আমি শৃগালের মতো কোরানের কয়েকটি লাফ দিয়ে পার হয়েছি ।
এটা নতুন কিছু নয় । সে একবার আমাকে বলেছিলো যে আমি ইসলাম সম্পর্কে সম্পুর্ণ অজ্ঞ
এবং ইসলামের আমি কিছুই জানি না । তারপর সে আমাকে করে কোরান পড়ার এবং ইসলামকে জানার
উপদেশ দিয়েছিলো । উপরের পোস্টে সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, আমি ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করছি ।
আমি তার এ সব মন্তব্যে অবাক হই নি । যেহেতু সে একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি তাই আমি তার
কাছে ও যা করেছে তার চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি । ধর্ম সর্বদাই পিছিয়ে পড়া ধারনা,
চিন্তা ও মতাদর্শ এবং এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই । যে নিজের ধর্ম নিয়ে বেশী রকমের অহঙ্কার করে সে
যুক্তি দিয়ে কিছু চিন্তা করতে অক্ষম । তালেব তার ধর্মীয় সংস্কৃতির উত্তয়াধিকার বহন
করছে, ফলে সে তার যারা বড়ো ও শিক্ষক তাদের সম্মান জানানোর সৌজন্যবোধ হারিয়ে ফেলেছে
। থাক সে কথা । তার অভিযোগগুলির জবাব
দেওয়া যাক । আমি অবশ্য আমার মাতৃভাষাতেই জবাব দিব যাতে আমার ও তার দিক থেকে
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত তারা যাতে আমার কথাগুলো সহজেই বুঝতে পারে । আমার পোস্টটিতে দুটি অংশ
রয়েছে, তাই দুটি ভাগে জবাব দিবো – এটা প্রথম ভাগ । দ্বিতীয় ভাগটি পৃথকভাবে দিব, আশাকরি
আগ্রহী বন্ধুরা আমার ওয়ালে চোখ রাখবেন ।
আমার জবাবঃ
জবাব দেবার পূর্বে আমার যে পোস্টটিতে আবু তালেব বেজায়
ক্রুদ্ধ হয়েছে সেই প্রথমে পোস্টটি উদ্ধৃত
করা যাক । তার পোস্টের পাশাপাশি আমার সেই পোস্টটি থাকলে পাঠকদের
বুঝতে সুবিধা হবে আমাদের মধ্যে কে সঠিক কথা বলছে । আমার সেই পোস্টটি হলোঃ
“কোরান
বলেছে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে এবং সম্পর্ক না করতে । শুধু তাই নয়, বলেছে ওদের যেখানে পাও হত্যা কর ।
কোরানের কথা তো মিথ্যা হতে পারে না । কারণ, আল্লাহ কি মিথ্যা কথা বলতে পারে ? ভারতে তো স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত-কলকারখানা-ব্যবসাকেন্দ্র-মাঠ-ঘাটে কাফিরদের ছড়াছড়ি । তাহলে এখানকার মুসলমানরা কিভাবে চলবে ? প্রশ্নটা আমার নয়, এই প্রশ্নটা মুসলমানদেরই । তারা উত্তর খুঁজছে ।”
কোরানের কথা তো মিথ্যা হতে পারে না । কারণ, আল্লাহ কি মিথ্যা কথা বলতে পারে ? ভারতে তো স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত-কলকারখানা-ব্যবসাকেন্দ্র-মাঠ-ঘাটে কাফিরদের ছড়াছড়ি । তাহলে এখানকার মুসলমানরা কিভাবে চলবে ? প্রশ্নটা আমার নয়, এই প্রশ্নটা মুসলমানদেরই । তারা উত্তর খুঁজছে ।”
লক্ষ্য করুন, আমি যে কথাগুলো লিখেছি তাতে স্পষ্টতঃ দুটি অংশ রয়েছে । প্রথম অংশে আছে, আল্লাহ [কোরান] মুসলমানদের
সাথে বন্ধুত্ব না করতে ও এবং সম্পর্ক না করতে বলেছে । দ্বিতীয় অংশে রয়েছে, আল্লাহ বলেছে কাফিরদের
যেখানে পাবে বধ করবে । আবু তালেব আমার
সম্পর্কে বলেছে যে আমি শৃগালের মত লাফ দিয়ে একটা আয়াতকে ডিঙিয়ে অন্য আয়াতে চলে
গেছি । এই ফালতু অভিযোগের বিষয়ে যা বলার দ্বিতীয় ভাগে বলবো । কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে আবু তালেব নিজেই লাফ
দিয়ে প্রথম অংশটি ডিঙিয়ে দ্বিতীয় অংশে পা রেখেছে । আবু তালেবের মতো আমি বলতে চাই
না যে ও কেনো লাফ দিয়ে প্রথম অংশটি ডিঙিয়ে পরের অংশে চলে গেছে তা আমি জানি । আবু
তালেব কিন্তু অভিযোগ করেছে যে আমি ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছি । সে
কারণে প্রথম অংশে আমি যা বলেছি তাও মিথ্যা প্রচারণা বলে গণ্য হবে । সুতরাং আমি যা
বলেছি তা মিথ্যা নয় তা প্রমাণ করার দায় আমার উপর বর্তায় । সেটা করতে গিয়ে যে সময়টা
আমি ব্যয় করবো তা তালেবের জন্যে নয় । কারণ ওর মধ্যে যে ধর্মান্ধতা লক্ষ্য করছি
তাতে ওর মাথায় কোনো তথ্য, যুক্ত ও প্রমাণই ঢুকবে না । আমাকে সময়টা ব্যয় করতে হচ্ছে
অন্যদের জন্যে যাদের মধ্যে দয়াল, নৈমুদ্দিন ও আরো কেউ কেউ আছে যারা তালেবের
পোস্টটিকে লাইক করেছে । নৈমুদ্দিন, সেও আমার প্রাক্তন ছাত্র, তো আনন্দে আত্মহারা
হয়ে মন্তব্য করেছে wow,
excellent ! এরা সবাই ভেবেছে, তালেব দারুণ জবাব দিয়েছে আমাকে যার
জবাব আমার কাছে নেই এবং তারাও বিশ্বাস করেছে যে আমি সত্যিই মিথ্যা প্রচার করছি
ইসলামের বিরুদ্ধে । এরা প্রথমতঃ কোরান, হাদিস ও ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তো বটেই,
দ্বিতিয়তঃ এদের ঘটেও বুদ্ধি তেমন কিছু আছে বলে মনে হয় না । আমি কেনো ইসলামের বিরুদ্ধে
মিথ্যা প্রচার করতে যাবো ? আমার কী স্বার্থ আছে ? মুসলিমদের একটা অংশ এতো উগ্র,
হিংস্র ও অসহিষ্ণু যে, যে ইসলামের সমালচনা করবে তারই গর্দান থেকে মুণ্ডুটা নামিয়ে
দিবে । তা হলে আমি কেনো প্রাণের ঝুঁকি
নিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে যাবো ? থাক সে কথা, এবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক ।
কোরানের কোথায় কোথায় কাফিরদের সম্পর্কে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক না করতে বলা হয়েছে তার
প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাক ।
অনেক
আয়াতেই এ সব কথা বলা হয়েছে । তার কয়েকটি হলো -
৩/২৮, ৩/১১৮-১২০; ৪/১৪৪, ৯/২৩, ৫৮/২২, ৫/৫৫-৫৭, ৫/৫১ ইত্যাদি । কয়েকটি আয়াত
উদ্ধৃত করা যাক ।
মুমিনগণ যেন মুমিনদের ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে; এবং তাদের আশংকা হতে আত্মরক্ষা ব্যতীত যে এরূপ করে সে আল্লাহ্র নিকট কিছুই নয়; আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে স্বীয় পবিত্র অস্তিত্বের ভয় প্রদর্শন করেছেন এবং আল্লাহ্রই দিকে ফিরে যেতে হবে । ৩/২৮
হে মুমিনগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত
অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও
না, তারা তোমাদের
অমঙ্গল সাধনে ত্রুটি করে না । তোমরা কষ্টে থাক তাতেই তাদের আনন্দ । শত্রুতাপ্রসূত
বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে ওঠে । আর যা কিছু তাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে আছে তা আরও অনেকগুণ বেশী জঘন্য ।
তোমাদের জন্য নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেওয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে
সামর্থ হও। ৩/১১৮
মক্কা জয়ের
পর মুহাম্মদ আল্লাহর মুখ দিয়ে আবার ঘোষণা দেন যে মুশরিকদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক
রাখা যাবে না । এ প্রসঙ্গে কোরান ঘোষণা করছে –
·
মহান হজের দিন আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পক্ষ হতে এটি ঘোষণা
যে – আল্লাহর সঙ্গে অংশীবাদীদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তাঁর রসুলের সঙ্গেও না । ৯/৩
আল্লাহর এই নির্দেশ যদি কোনো মুসলমান অগ্রাহ্য করে তা হলে কী হবে ? আল্লাহ
বলছে সে ব্যক্তি যদি তোমার পিতা বা ভাইও হয় তবে তাকেও পরিত্যাগ করতে হবে । এ
প্রসঙ্গে কোরান বলছে -
·
হে
মুমিনগণ ! তোমাদের পিতা ও ভাই ঈমান বাদে কুফরীকে ভালোবাসিলে তাহাদেরকে অন্তরঙ্গ
বানাইও না; যাহারা বানাই তাহারাই যালিম । ৯/২৩
কাফিরদের সঙ্গে কেনো বন্ধুত্ব নয় ? কারণ ওরা আল্লাহর শত্রু । কোরান বলছে –
·
‘ ... নিশ্চয়
কাফেরগণ তোমাদের শত্রু । ৪/১০১
·
‘যে আল্লাহর,
ফিরিস্তাদের, রাসূলদের, জিব্রাইলের ও মিকাঈলের শত্রু হয়, সে জানিয়া রাখুক যে আল্লাহ
কাফিরদের শত্রু । ২/৯৮
কাফিররা শুধু শত্রুই নয়, ওরা
নিকৃষ্ট জীব এবং জন্তুর মতো খায় । এ প্রসঙ্গে কোরানে ভাষ্য হলো -
·
যাহারা কুফরী
করে ও ঈমান আনে না তাহারা নিকৃষ্ট জীব । ৮/৫৫
·
কাফিররা ভোগে
মগ্ন, জন্তুর মত খায়,
তাদের আবাস জাহান্নামে । ৪৭/১২
এ রকম হীরা, মণি, মাণিক্যসম আয়াত আরো অনেক আছে কোরানে ।
এ সব অমৃত বাণী নিয়ে আমার তো কোনো সমস্যা নেই । আমি তো নাস্তিক, মানে মোরতাদ, আমেকে আল্লাহ তো
হেদায়েতই করে নি । হেদায়েত না করে উল্টে আমাকে
হত্যা করার আদেশ দিয়েছে । তাই আমার কারো
সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বাধা নেই, তাই কোরানের এই সব আয়াতগুলি নিয়ে আমার কোনো অসুবিধা
নেই, প্রশ্নও নেই । অসুবিধাটা মুসলমানদের,
তারাই বিব্রত বোধ করে, তাই প্রশ্নটা তাদেরই। কারণ তারা তো বিশ্বাস করে যে কোরানের প্রতিটি কথা, এমনকি প্রত্যেকটি বর্ণ
নির্ভুল, অকাট্য, সত্য ও চিরন্তন । কোরানকে সম্পূর্ণরূপে নির্ভুল ও সত্য গ্রন্থ
মানলে তো কাফিরদের সঙ্গে মেশা যাবে না । তা হলে এ দেশে মুসলমানরা কী করবে ?
কাফিররা যখন নিকৃষ্ট ও জন্তুর মতো খায় এবং আল্লাহ ও নবির শত্রু, তখন
তো ওদের সঙ্গে চলাফেরা করলে মুসলমান থাকা যায় না । তা হলে তারা কী করবে ? এ
প্রশ্নের তো তারা উত্তর চায় । একটা কিছু তো বলতে হবে । এড়িয়ে গেলে কিংবা লাফ দিয়ে
ডিঙিয়ে গেলে চলবে কেনো ? আবু তালেব তো নিশ্চয় বিজ্ঞ কোরান ও ইসলাম সম্পর্কে, আমাকে
আদেশ দেয়ার ঢঙে উপদেশ দেয় ভালো করে কোরান পড়া ও ইসলামটা বোঝার জন্যে, তার নিশ্চয়
এর উত্তর জানা আছে । সে উতরটা দিয়ে মুসলমানদের ধন্যবাদার্হ হোক ।
তালেবের মতো ধর্মান্ধদের এসব যুক্তি ও তথ্য শুনিয়ে লাভ নেই। তারা অন্ধ বিশ্বাস ও আবেগ দিয়ে যতক্ষণ পারে তর্ক করে, না পারলে বলে- 'এসব নিয়ে কথা বলতে শরিয়তে নিষেধ আছে, বললে ঈমান থাকবে না।' ওদের ঈমান দন্ডটা আসলে আঙিনায় বিছানো শুকনো শিমুল তুলার মত, যা হালকা ঝিরঝিরে বাতাসেই উড়ে যায়!
ReplyDelete