রমজান বা রামাদান মাস হলো আরবী ক্যালেণ্ডারের নবম
মাস। এ মাসে ৩০টি [কোনো মাসে ২৯টি] রোযা রাখার নির্দেশ আছে মুসলমানদের প্রতি। এ
মাসটি মুসলিমদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস। তাদের কাছে এটি পবিত্র মাসও বটে। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এ মাসে কোরান অবতীর্ণ হয়েছিলো।
অন্যান্য আসমানি গ্রন্থ যেমন তাউরাত, ইঞ্জিল, যবুর ইত্যাদি গ্রন্থগুলিও অবতীর্ণ
হয়েছিলো এ মাসেই। তাদের বিশ্বাস এ মাসে এক রাত্রির এবাদত হাজার রাত্রির এবাদত
অপেক্ষা বেশী ফলদায়ক। রাত্রিটি লাইলাতুল কদর নামে অভিহিত। বিশ্বাস করে যে এ মাসে
বেহেস্তের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং বন্ধ রাখা হয় দোজখের দরজা। এ মাসে আল্লাহ
শয়তানকে বেঁধে রাখে যাতে সে পাপ কাজে মানুষকে টেনে নিয়ে যেতে না পারে। মুসলিমদের
বিশ্বাস রামাদান মাসে মাস ব্যাপী রোযা রাখার নির্দেশ মানব জাতির কাছে আল্লহর এক
এমন বিশেষ দান বা উপহার যার তুলনা হয় না। তারা আরও বিশ্বাস করে যে আল্লাহ তার দেওয়া
সব উপহারের সেরা এই উপহারটি মুহাম্মদের মাধ্যমে মানব জাতির কাছে প্রথম প্রেরণ
করেছিল ৬২৪ খৃষ্টাব্দে বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে। এবং সেবারই প্রথম রোযা রেখে
মুহাম্মদ ও তাঁর সাহাবিগণ বদর প্রান্তে জিহাদের জন্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন।
রমাদান মাসের রোযা
মুহাম্মদের উপরেই প্রথম নাযিল (অবতীর্ণ) হয়েছিল বলে মুসলমানরা যা বিশ্বাস করে দৃঢ়ভাবে
তা কিন্তু মোটেই সত্য ঘটনা নয়। রোযা হলো প্যাগান আরবদের তথা মক্কার কুরাইশ ও
অন্যান্য আরব পৌত্তলিক তথা মুশরিকদের বহু পুরানো ধর্মীয় আচার ও রীতি। মুহাম্মদ
নিজেও তা পালন করতেন পরম নিষ্ঠায় ও রোযা রাখতেন। প্যাগান আরবরা রোযার সময় সারা দিন
নির্জলা উপবাস থাকতো এবং রোযাব্রত পালন করার সময় যৌনক্রিয়া থেকে বিরত থাকতো ঠিক
যেমন মুসলমানরা এখন করে। মুহাম্মদ রমাদান মাসের সবটাই নিয়েছেন প্যাগান আরবদের নিকট
থেকে এবং পরে সেগুলির ইসলামিকরণ করেছেন। হ্যাঁ, হাদিসে এর প্রমাণ রয়েছে। আয়েষা,
মুহাম্মদের সর্ব কনিষ্ঠ ও প্রিতম বউ, হাদিসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন, - "Ashura was a day on which
the tribal of Quraish used to fast in the pre-Islamic period of ignorance. The
Prophet also used to fast on this day. So when he migrated to Medina, he fasted
on it and ordered (the Muslims) to fast on it.**When
the fasting of Ramadan was enjoined, it became optional for the people to fast
or not to fast on the day of Ashura.’ [Shahih Bukheri 5:58:172] পৌত্তলিক আরবরা ইসলামের আগমনের বহুকাল পূর্ব থেকেই মহরম মাসের দশ তারিখ রোযা রাখতো যাকে আশুরা বলা হয়। দশই মহরম আজও মুসলমানদের
মধ্যে রোযা রাখার রীতি চালু আছে। এই দশ তারিখেই মুহাম্মদের নাতি ইমাম হোসাইন ইসলামের
৬ষ্ঠ খলিফা ইয়াজিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। আশুরার অনেক
পরে রমাদান মাসে মাসব্যাপী রোযা রাখার প্রচলন শুরু হয়েছিলো সাবিয়ানদের হাত ধরে। অর্থাৎ রমাদান মাসে মাসব্যাপী রোযা রাখাটা
সাবিয়ানদের ট্র্যাডিশন। মুহাম্মদ সাবিয়ানদের কাছ থেকেই নামাজ ও রোযার ধর্মীয়
রীতিগুলি গ্রহণ করে পরে সেগুলির ইসলামিকরণ করেন। সাবিয়ানরা ছিলো ইরাকের একটি উপজাতি যারা একেশ্বরবাদে বিশ্বাস
করতো। সাবিয়ানদের সম্পর্কে কোরানেও কয়েকটা আয়াত আছে। একটি আয়াত হলো –“যারা বিশ্বাস
করে, যারা ইহুদি হয়েছে এবং খৃস্টান ও সাবেইনদের মধ্যে যে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস
করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার আছে ও তাদের জন্য কোনো ভয়
নেই, এবং তারা দুঃখিত হবে না।” [২/৬২] রোযার
মাসকে কৃচ্ছ্ব সাধনের মাস বলে বড়াই করা হয়। এই মাসে খুবই কম খেয়ে দরিদ্র মানুষদের
অনাহারে থাকার কষ্টগুলি শেয়ার করার মাস বলে রমাদান মাস নিয়ে অহঙ্কার করা হয়।
বাস্তবে কিন্তু ঘটে উল্টোটাই, চলে মাসব্যাপী খাওয়ার উৎসব ও ভুড়িভোজের ফূর্তি।
শুধু নামাজ ও রোযা নয়, প্যাগান আরবদের থেকে আরো অন্যান্য অনেক
ধর্মীয় আচার-আচরণই মুহাম্মদ গ্রহণ
করেছিলেন। তাদের থেকে গ্রহণ করলেও তিনি তা কখনোই স্বীকার করেন নি। মক্কা জয় করার
পর তিনি সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম কাবা মন্দিরে প্রবেশ করে সেখানে প্যাগান আরবের
যে ৩৬০ টি দেব-দেবীর বিগ্রহ ছিলো সেগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। মুহাম্মদ একটি লাঠি
নিয়ে ‘সত্য এসেছে, মিথ্যে দূরীভূত হয়েছে’ বলতে বলতে স্বহস্তে মূর্তিগুলি ভাঙা শুরু
করেছিলেন। হাদিসে এ ঘটনাটির উল্লেখ আছে। আবদুল্লাহ বিন মাসুদ হাদিসটি এভাবে বর্ণনা
করেছেন, :The Prophet
entered into Mecca and (at that time) there were 360 idols around the Ka'aba.
He started stabbing the idols with a stick he had in his hand and reciting:
'The truth (Islam) has come and falsehood (disbelief) was vanished.' [Shahih Bukheri, 3:43:658] মুহাম্মদ মূর্তিপূজা
সম্পূর্ণ অবলুপ্তি ঘটান নি। একটি কালো পাথর যেটা পৌত্তলিকদের একটি দেবী হিসেবে
পূজিত হতো সেটা তিনি রেখে দেন। যারা ঐ পাথরটাকে তাদের দেবী জ্ঞানে
পূজা করতো তারা সেতাকে চুম্বন করতো। মুহাম্মদ সেই পাথরটি এবং সেটাকে প্রাক-ইসলাম যুগের চুম্বন করার ধর্মীয় রীতিটিও বহাল রেখে দেন। সেই পাথরটিই এখন
মুসলমানদের কাছে একটি পবিত্র পাথর [বড়ো উপাস্য] হিসেবে পূজিত হচ্ছে। মুসলমানরা হজ বা উমরাহ করতে মক্কা গেলে সেই পাথরটিকে
চুম্বন করে। পাথটি আল-হজর আল-আসওয়াদ নামে খ্যাতি লাভ করেছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে
যে পাথরটি স্বয়ং আল্লাহ পাঠিয়েছিলো আদমের [বিশ্বের প্রথম মানব] সময়। পাথরটি ছিলো
দুধের মতো ধবধবে সাদা, মুসলমানদের পাপ শোষণ করে করে কালো হয়ে গেছে। এই পাথরটি
কিন্তু সেই পাথর যেটা একদা আরবের তাইফ অঞ্চলের পৌতলিকদের দ্বারা চন্দ্রের দেবী
‘আল-লাত’ হিসেবে পূজিত হতো। প্রথম দিককার
মুসলিম ঐতিহাসিক ও মুহাম্মদের জীবনীকারগণ এ কথা
তাঁদের রচনায় লিখে গেছেন। হিসাম
ইবন আল কালবি তাঁর "The book of idols" গ্রন্থে
লিখেছেন, ‘that 'AL-LAT' stood in al-Taif and
more recent than Manah. She was a cubic rock beside which a certain Jew used to
prepare barley porridge (sawiq). Her custody was in the hands of the banu
'Attab-ibn-Malik' of the Tayif, who had built an edifice over.
(...). ‘আল-লাত’কে প্যাগান আরবরা তাদের প্রধান দেবতা আল্লাহর তিন কন্যার এক কন্যা
বলে বিশ্বাস করতো। এ কথা কোরানের ৫৩/১৯-২২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে। কোরান লিখছে,
“তোমরা ভেবে দেখেছো কি ‘লাত’ ও ‘ওজ্জা’ এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ – এর সম্পর্কে? তোমরা কি মনে করো পুত্র-সন্তান
তোমাদের জন্য আর কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য? এরূপ বণ্টন তো অসঙ্গত বণ্টন।”
প্রাক ইসলাম যুগে আরবরা দিনে পাঁচ বার
নামাজ পড়তো। তারা নামাজ পড়তো মক্কার দিকে মুখ করে। পারসিয়ান জরথ্রুস্টরাও দিনে
পাঁচ বার নামাজ পড়তো। তারা নামাজ পড়তো সুর্যের দিকে মুখ করে। নামাজ পড়ার আগে
জরথ্রুস্টরা হাত-পা-মুখ ধুয়ে নিতো [ওজু করতো]
যেমন মুসলিমরা করে। অর্থাৎ ‘নামাজ’ ও ‘ওজু’ এসব ধর্মীয় রীতি ও আচার-আচরণও
মুসলমানদের নিজস্ব আবিষ্কার আদৌ নয়, সবই
তারা নিয়েছে প্যাগান আরব ও পারসিক জরথ্রুস্টদের নিকট থেকে। পরে সেগুলির ইসলামিকরণ
করা হয়েছে। নামাজের
ইসলামিকরণ করণ করতে গিয়ে মুহাম্মদ একটা মজার গল্প তৈরী করেছিলেন যা মুসলমানরা
সত্যি বলে বিশ্বাস করে। গল্পটা মিরাজের গল্প নামে খ্যাত। তিনি একরাত্রে বিশেষ এক যানে সাত আসমান পার হয়ে আল্লাহর
দরবারে আলাহর মুখোমুখি হাজির হন। আসমান মানে আকাশ, আর আকাশ মানে মহাশূন্য। সুতরাং আসমান বা আকাশ
পার হওয়াটা নিছকই আকাশ সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষদের সামনে বলা বানানো গল্প। আল্লাহ তখনই নাকি মুহাম্মদের মাধ্যমে মুসলমানদের উপর নামাজ পড়ার
বাধ্যতামূলক আদেশ দেন।
আল্লাহ প্রথমে দিনে পঞ্চাশ বার নামাজ
পড়ার আদেশ দিয়েছিলেন মুহাম্মদকে এবং সেটাই শিরোধার্য করে তিনি ফিরে এসেছিলেনে।
মুসা নবি এ কথা শুনে মুহাম্মদকে বলেন যে এতবার তোমার উম্মতরা নামাজ পড়তে পারবে না,
তুমি আল্লাহর কাছে ফিরে যাও এবং কমিয়ে নিয়ে এসো। মুহাম্মদ নাকি তখন উপলব্ধি করেন
যে, তাই তো, এটা তো বড্ড বেশী হয়ে গেছে। তখন তিনি আল্লাহর কাছে ফিরে গিয়ে নামাজের
সংখ্যা কমানোর আর্জি করেন। আল্লাহ সেটা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেন। পঞ্চাশ থেকে
কমে একবারে পাঁচ হয় নি কিন্তু। মুসার পরামর্শে মুহাম্মদ বার কয়েক গিয়ে পাঁচে
নামিয়ে এনেছিলেন। প্রশ্ন ওঠে যে দিনে পাঁচ বারের বেশি নামাজ পড়া সম্ভব নয় এই সহজ
কথাটা মুসা বুঝতে পেরেছিলেন কিন্তু আল্লাহ বা তার সর্ব শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবি বুঝতে
পারে নি কেনো? পঞ্চাশ বার কেনো, এখন তো প্রতিটি মুহূর্ত মহা মূল্যবান, ফলে ব্যস্ত
মানুষের পক্ষে পাঁচ বারও নামাজ পড়া অসম্ভব। যাক সে কথা। হাদিসে এ গল্পটি বর্ণিত
হয়েছে এভাবে – ‘when Muhammed met Allah in heaven, Allah demanded 50 prayers
per day.
But with help of Moses Muhammed bargained with Allah and finally he was
successful to reduce 50 prayers per day to 5 prayers a day. Even the Quran says
(4:28) 'god wished to lighten your burden, for the human being is created
weak.' (Shahih
Bukhari Book- b, no-345). নামাজের
ভার লঘু করা প্রসঙ্গে ৪/২৮ নং আয়াতের বাংলা ভাষ্যটি হলো, “আল্লাহ তোমাদের ভার লঘু
করতে ইচ্ছা করেন, যেহেতু মানুষ সৃষ্টিগতপভাবেই দুর্বল।”
হজের
সময় মুসলিমরা দুটি পাহাড়ের মধ্যে সাত বার হাঁটাহাঁটি করে। পাহাড়
দুটির নাম আল-সাফা ও আল-মারওয়া। এই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানটাও প্যাগান আরবরা বহুকাল
প্রাচীন কাল থেকেই পালন করতো। একটি হাদিসে এর প্রমাণ রয়েছে। হাদিসটি এ রকম - “I
asked Anas bin Malik, "Did you dislike to perform Tawef between mountain Al-Safa and mountain Al-Marwa?" He said, "Yes,
as it was one of the ceremonies of the days of the pre-Islamic period of
ignorance, till Allah revealed 'verily al-Safa and al-Marwa are among the rites (symbols) of Allah. It is therefore
no sin for him who performs the pilgrimage to the Kaa’ba, or performs Umrah to perform Tawaf between them.” (Bukheri,
vol-2, Book-26, no-710) শুধু হাদিসে নয়, এটা কোরানের
২/১৫৮ নং আয়াতেও আছে। আল্লাহ বলছে, “নিশ্চয় ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ আল্লাহর
নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত, সুতরাং যে কেউ এই গৃহের [কা’বা] ‘হজ’ ‘ওমরা’ সম্পন্ন করে,
এ দুটি প্রদক্ষিণ করলে তার কোনো পাপ নেই এবং যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎকাজ করে নিশ্চয়
আল্লাহ গুণগ্রাহী সর্বজ্ঞ।”
অর্ধচন্দ্রাকার
চাঁদকে মুসলিমরা প্রায় দেবতার মতোই জ্ঞান করে। চাঁদ দেখে রোজা শুরু করে, চাঁদ দেখে
রোজা শেষ করে, এবং চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ পড়ে। এটাও প্যাগান আরবদের সময় থেকে চলে
আসছে। অর্ধচন্দ্রাকৃতির চাঁদ ছিলো তাদের দেবতার প্রতীক। হজের
সময় কাবা প্রদক্ষিণ করা, এহরাম বাঁধা ও মাথা মুণ্ডন করা – এগুলোও ছিলো প্যাগান আরবদের
ধর্মীয় রীতি। ইসলাম প্যাগান আরবদের এগুলোর
সব কিছুই নিয়েছে কেবল একটা বাদ দিয়ে। প্যাগানরা হজ করার সময় উলঙ্গ হয়ে কা’বা
প্রদক্ষিণ করতো, এটা [উলঙ্গ হয়ে প্রদক্ষিণ করাটা] মুহাম্মদ বাদ দিয়েছেন। এখনও
মুসলমানরা আগের মতোই প্রদক্ষিণ করে, শুধু উলঙ্গ হয় না। রমাদানের রোজা রাখার নিয়ম
সংক্রান্ত আয়াতগুলি খুবই অবাস্তব ও
অবৈজ্ঞানিক যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। রোযা ধরা ও রোযা ছাড়া প্রসঙ্গে
আয়াতটি হলো – তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাতের কৃষ্ণরেখা হতে ঊষার শুভ্ররেখা স্পষ্টরূপে
তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর রাত্রি সমাগম পর্যন্ত তোমরা রোযা পূর্ণ করো।
[২/১৮৭] সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত
পর্যন্ত সময়টা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। ভারতে এই সময়টা এখন [জুলাই মাসে]
১৪/১৫ ঘণ্টা। সুইডেনে এই সময়টা ২০ ঘণ্টা মতো। এতো দীর্ঘ সময় নির্জলা উপবাস করা
স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর। গ্রীনল্যাণ্ডে তো একদিন ও এক রাত্রি আমাদের
ছ’মাসের সমান। ওখানে রোযা রাখতে হলে ৪৩৮০ ঘণ্টা উপোষ করতে হবে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত
সম্পর্কে ইসলাম যা বলেছে তা খুবই হাস্যকর। শুধু তাই নয়, ইসলামের সেই ঘোষণা
মুহাম্মদের বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞতাকে
একেবারেই নগ্ন করে দিয়েছে। আল্লাহ বলছে, “চলতে চলতে সে [যুলকুরনাইন]
সূর্যাস্ত-স্থলে পৌঁছালো, তখন সে ওকে এক পঙ্কল জলাশয়ে অস্তাগমন করতে দেখলো।”
[১৮/৮৬] সূর্যোদয় সম্পর্কে মহাবিজ্ঞানী
আল্লাহ বলছে, “চলতে চলতে সে [যুলকুরনাইন] সূর্যাদয়-স্থলে পৌঁছালো, তখন সে দেখলো তা
এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হচ্ছে যাদের জন্য সূর্যতাপ হতে আত্মরক্ষার কোনো অন্তরাল
আমি সৃষ্টি করি নি।” [১৮/৯০]
গর্ধভ
ReplyDeleteনিজের পরিচয় দিলেন?
Delete