Sunday, January 19, 2014

মিলাদ্দুন্নবী যারা উদযাপন করছে তারা তাদের নবী সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানে না

আজ, ১৪ই জানুয়ারী’১৪, আরবি ক্যালেন্ডারের ১২ই রবিউল, মুহাম্মদের জন্মদিন। বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে দিনটি উদযাপন করছে ‘মিলাদুন্নবী’ হিসেবে। সবচেয়ে বেশী উৎসাহ ও উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে যুব সমাজের মধ্যে। তারা কিন্তু প্রায় কেউই জানে না মুহাম্মদ সম্পর্কে বিশেষ কিছু । ধর্মীয় নেতাদের মুখ থেকে শুনে এবং মুসলিম লেখকদের লেখা পড়ে তাদের ধারণা জন্মেছে মুহাম্মদ পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে মুহাম্মদ প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম হলো শান্তি ও সাম্যের ধর্ম, মুহাম্মদ কোরানের বাণী প্রচার করে ইসলাম ধর্মকে বিশ্বের বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে গেছেন, মুহাম্মদ নারীকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা ও সমানাধিকার প্রদান করেছেন। মুহাম্মদ সম্পর্কে তাদের এ বিশ্বাসগুলো কতটা সত্যি তা তারা যাচাই করে নি। যদি তাদের মুহাম্মদ ও ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান থাকতো তবে তারা ভীষণ হতাশ হতো এবং মিলাদুন্নবী উদযাপন করে অযথা সময়, শ্রম ও অর্থের অপব্যায় করতো না। কারণ মুহাম্মদ সম্পর্কে যা তারা শুনেছে ও জেনেছে তা মোটেই সত্যি নয়, সত্যিটা তার ঠিক বিপরীত। মুহাম্মদ সম্পর্কে অল্প কথায় আলোচনা করা অসম্ভব। তবু তাঁর সম্পর্কে কয়েকটি কথা উল্লেখ করতে চাইছি এ লেখায়। সেটা এ জন্যে যে এর ফলে তাঁর সম্পর্কে অন্তত কিছুটা হলেও সঠিক ধারণা মানুষের মধ্যে তৈরী হবে এবং তিনি সত্যি কেমন মানুষ ছিলো তা জানার আগ্রহ বা কৌতূহল সৃষ্টি হবে। মুহাম্মদ দাবী করেছেন তিনি আল্লাহর দূত, আল্লাহ তাঁকে পাঠিয়েছেন পৃথিবীর বুক থেকে অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালবার জন্যে। তিনি সাত আসমান পার হয়ে আল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন, বেহেস্ত ও দোযখ দেখেছেন। তিনি দাবী করেছেন যে আল্লাহ তাঁকে জানিয়েছেন তার হুকুমে বাতাস বয়, ঝড়-বৃষ্টি হয়, ভূমিকম্প-খরা-বন্যা-সুনামি পভৃতি বিপর্যয়গুলি হয় । সূর্য ও চন্দ্র ঘোরে,এবং পৃথিবী স্থির হয় দাঁড়িয়ে আছে। আর পৃথিবী যাতে কাত হয়ে উল্টে না পড়ে তারজন্যে এর উপর বিভিন্ন স্থানে পাহাড় স্থাপন করেছেন । তিনি দাবী করেছেন যে, আল্লাহর হুকুমে হয় জোয়ার-ভাটা, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ এবং আরও অনেক প্রকার ঘটনা ঘটে ও ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। এ সমস্ত কথা মুসলমানরা একদা বিশ্বাস করতো, এখনও অধিকাংশ মুসলমান বিশ্বাস করে, কারণ মুহাম্মদ যে আল্লাহর দূত, তিনি কি মিথ্যা বলতে পারেন? বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর উন্নতি ও অগ্রগতির যুগ, আমরা এখন সব জেনে গেছি এই বিষয়গুলি সম্পর্কে। জেনে গেছি যে সব ভুল, একেবারে বিলকুল ভুল। সাত আসমান পার হয়ে (মিরাজ) আল্লাহর সাথে দেখা করার ঘটনাটা তো নেহাতই গল্প, কারণ আসমান(আকাশ) পার হওয়ার প্রশ্নটাই হাস্যকর। কারণ,পার হওয়ার মতো সাতটা তো দূরের কথা, একটা আকাশই তো নেই। না, সত্যিই আকাশের অস্তিত্ব বলতে কিছুই নেই, আমরা যেটাকে আকাশ বলি সেটা আসলে কিছুই নয়, আকাশ কথার প্রকৃত অর্থ হলো একটা মহাশূন্য। আর বিজ্ঞান আমাদের কতদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে বাতাস, ঝড়, বৃষ্টি, ভূমিকম্প, সুনামি, বন্যা, খরা এসব তো হয় প্রকৃতির নিয়মে। তাইতো আবহাওয়া অফিস আগামি কাল বা পোরশু আবহাওয়া কেমন থাকবে – শীত বাড়বে না কমবে, জল-ঝড় হবে কী না – তা বলে দিতে পারে, একথা শিশুরাও জেনে গেছে। আল্লাহর হুকুমে ঝড়, বৃষ্টি ইত্যাদি হলে আবহাওয়া অফিস নিশ্চয় বলতে পারতো না। পৃথিবী স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে নেই, ঘুরছে সূর্যের চারিদিকে – এ কথা এখন প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও জানে। ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা এখন সকলেই জানে যে আল্লাহর হুকুমে নয়, জোয়ার-ভাটা হয় পৃথিবীর উপর সূর্য ও চন্দ্রের আকর্ষণে। ওরা আরও জানে যে কারও হুকুমে নয়, পুর্ণিমা তিথিতে চাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়লে সূর্যগ্রহণ ও পৃথিবীর ছায়ায় ঢকা পড়লে চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবী কেন কাত হয়ে উল্টে বা ছিটকে পড়ে না তাও ঐ শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের কাছে অজানা নয়, তাই পৃথিবী যাতে কাত হয়ে পড়ে ধ্বংস না হয়ে যায় তারজন্যে আল্লাহ জায়গায় জায়গায় পাহাড় স্থাপন করেছে এমন কথা শুনে আজকের ছেলেমেয়েরা হেসে কুটোকুটি করে, তারা বলে, নিশ্চয় এটা কেউ গুল মেরেছে । ওরা ভুল বলে না, মুহাম্মদ সত্যিই পৃথিবীর মানুষের কাছে নিজে একজন মহাবিজ্ঞানী সেজে অসংখ্য মহাগুল পরিবেশন করে গেছেন। সবচেয়ে বড়ো গুল দিয়েছেন এ কথা বলে যে তাঁকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন পৃথিবীর বুকে আলো জ্বেলে সব অন্ধকার দূর করার জন্যে। কিন্তু আল্লাহ যে কোথায় আছে আজ পর্যন্ত তার অস্তিত্বই টের পাওয়া গেলো না। আর মুহাম্মদ আলো জ্বালবেন কি, তিনি তো দুহাতে যতো আলোর শিখা জ্বলছিল তার প্রায় সবগুলো নিভিয়ে দিয়ে বিশ্ব জুড়ে শুধু অন্ধকার ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন। সেই অন্ধকারই আজ বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশী গ্রাস করে রয়েছে মুসলমানদেরই । শুধু অপবিজ্ঞান ও কুসংস্কারের অন্ধকারই নয়, চাপ চাপ নিশ্ছিদ্র গাঢ় অন্ধকার ছড়িয়ে গেছেন বিশ্বজুড়ে মানবাতা, মনুষ্যত্ব, সহিষ্ণুতা, উদারতা প্রভৃতি উচ্চ মানবিক মূল্যবোধগুলির বিরুদ্ধে । ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন নারীর বিরুদ্ধে অবিশ্বাস, উপেক্ষা, অনাস্থা ও ঘৃণার কুৎসিত অন্ধকারও। মুসলমানরা বিশ্বাস করে ও দাবী করে যে ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং মুহাম্মদ হলেন বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির দূত। কিন্তু আসল ঘটনা অন্য রকম। মুহাম্মদ শান্তির কথা নয়, বলেছেন হিংসার কথা, জেহাদ তথা সশস্ত্র ও সহিংস যুদ্ধের কথা। তিনি বলেছেন যে, ইহুদীরা অভিশপ্ত জাতি ( কোরানঃ ৫/১৩,১৪), মুশরিকরা(অমুসলিমরা) অপবিত্র এবং নরকের জ্বালানি, পৌত্তলিকরা কাফির ও জালেম, ওদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না (কোরানঃ ৩/২৮, ১১৮-১২০, ৪/১৪৪, ৯/২৩ ইত্যাদি)। তিনি বলেছেন আল্লাহর নামে - অমুসলিমদের সঙ্গে ততদিন জেহাদ/যুদ্ধ করবে যতদিন না সমগ্র বিশ্বে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয় (কোরানঃ ৮/৩৯, ৯/২৯,৭৩; ৬৬/৯, ইত্যাদি)। আরও বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে জেহাদে অংশ নেওয়া ফরজ (আবশ্যক ) এবং জেহাদ না করলে বেহেস্ত পাওয়া যাবে না । এর সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে কোরানের যে আয়াতগুলির কথা তিনি সদম্ভে ঘোষণা করেছেন তার কয়েকট হলো – ২/২১৬, ৯/১৩,১৪,১৬,১২৩; ৩/১৪২, ৪/৯৫, ৪৭/৪-৬, ৪৮/৫ ইত্যাদি । এই হলো গুটিকয়েক মুহাম্মদের শান্তির সুললিত বাণীর নমুনা। তিনি এভাবে নির্দ্বিধায় ও নির্বিকার ভঙ্গীতে পুনপুনঃ নানা ঢঙে হিংসা ও ঘৃণার কথা বলে গেছেন অমুসলিমদের বিরুদ্ধে, কিন্তু নিজের ঘাড়ে দোষ ও দায়িত্ব নেন নি। চাপিয়ে দিয়েছেন যার কোনো অস্তিত্ব নেই সে আল্লাহর কাঁধে, বলেছেন, আল্লাহ বলেছে। মুহাম্মদ পরম সহিষ্ণু, আকাশের মতো উদার, দয়ার সাগর ও ক্ষমার মূর্ত প্রতীক – এমন বিশ্বাস মুসলমানদের। তারা এ সব বিশ্বাস করে কারণ, তারা জানে না যে বদরের, ওহুদের ও খন্দকের যুদ্ধে মদিনার ইহুদীরা মুহাম্মদের সাথে কোরেশদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন নি বলে তাদের কী ভয়ানক পরিণতি হয়েছিল। মুহাম্মদ সবাইকে মদিনা থেকে নির্বাসিত করেছিলেন নির্মমভাবে সম্পূর্ণ খালি হাতে, এবং তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি তিনি গ্রাস করে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিচারের নামে প্রহসন করে ওঁদের একটি গোষ্ঠীর ৭০০/৮০০ প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন তাঁদের শিরচ্ছেদ করে । এবং তাঁদের সকল নারী ও শিশুকে বন্দী করে দাসদাসী বানিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছিলেন। তারপর তারা সবাই মিলে ইহুদী নারীদের ভোগ করেছিলেন স্ত্রীর মতো, না হয় বিক্রী করে মোটা অর্থ উপার্জন করেছিলেন। এসব করেছিলেন তিনি আল্লাহর দোহাই দিয়ে। না, ইতিহাসের এই নিষ্ঠুরতম অন্যায় ও অমানবিক বিচার ও হত্যালীলার কথা মোটেই বানানো নয়, এর প্রমাণ কোরানে রয়েছে। ইহুদীদের দোষ ছিলো না, তবু তাঁরা মুহাম্মদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন, বলেছিলেন, ক্ষমা করলে স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় ধন-দৌলত ফেলে খালি হাতে তাঁরা মদিনা ছেড়ে চলে যাবেন। তবুও মুহাম্মদ কর্ণপাত করেন নি তাঁদের করুণ কাকুতি-মিনতিতে। এই হলো মুহাম্মদের উদারতা, সহিষ্ণুতা, দয়াশীলতা ও ক্ষমাশীলতার আসল রূপ! মুসলমানদের দাবী - মুহাম্মদের মতো সৎ ও সত্যবাদী আর কেউ নেই, হওয়া সম্ভবও নয়। কারণ, তিনি যে আল্লাহর দূত, দোস্ত এবং আল্লহ তাঁকে সৃষ্টি করেছেন মহা পবিত্র নূর থেকে। নূর থেকে সৃষ্টি সেই মুহাম্মদ বলেছেন, আল্লাহর বিধান হলো পুরুষরা একসাথে চারটি স্ত্রী রাখতে পারবে। অথচ তিনি নিজে সে বিধান মানেন নি, নিজে স্ত্রী রেখেছিলেন ওনেক বেশী – ১১টা, মতান্তরে ৯টা। আল্লাহ নাকি তাঁকে ইচ্ছা মতো যত খুশী স্ত্রী রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন করছে লোকে, তিনি তো পথ প্রদর্শক, তিনি নিয়ম ভাঙবেন কেনো? আল্লাহই বা কেনো তাঁকে বলবে তুমি যত খুশী স্ত্রী রাখতে পারো? আর আল্লাহ, যদি ধরে নিই, তাঁকে বলেছে যত খুশী স্ত্রী রাখতে, তিনই কেনো তা প্রত্যাখান করেন নি? মুহাম্মদ ৬ বছরের শিশু কন্যা আয়েষাকে বিয়ে করেছিলেন। এত কুৎসিত ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তা দেখে চারিদিকে সবাই ছি ছি শুরু করেছিলো, মুসলমানরাও বিড়ম্বনায় পড়েছিলো, কোথাও মুখ পাচ্ছিলো না। মুহাম্মদ তখন সবার ছি ছি বন্ধ করার জন্যে আল্লাহর দোহাই দেন। বলেন, আল্লাহ আয়েষাকে তাঁর জন্যে সৃষ্টি করেন এবং তার নির্দেশ মতোই বিয়েটা হয়েছে। মুহাম্মদ তাঁর(পালিত) পুত্রবধূকেও বিয়ে করেছিলেন। তাই নিয়ে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছিল আরবে। মুহাম্মদ তখন আবার সেই আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলেন যে, স্বয়ং আল্লাহর হুকুমে এ বিয়ে হয়েছে। এ কথা শুনে আয়েষা তীব্র কটাক্ষ করেন মুহাম্মদকে। তিনি বলেন যে, তোমার ইচ্ছাগুলো পূরণ করার জন্যে আল্লাহ সর্বদাই ভীষণ তৎপর! মুহাম্মদ একদিন মারিয়া নাম্নী একজন অতি সুন্দরী, রূপসী ও যুবতী দাসীর সঙ্গে সঙ্গম করেছিলেন তাঁর পত্নী হাফসার ঘরে ও হাফসার বিছানাতেই। হাফসা তখন ঘরে ছিলেন না। সে রাত্রিটা আবার বরাদ্দ ছিলো হাফসার জন্যেই। হাফসা ঘরে ফিরে ওদের সঙ্গমরত অবস্থায় দেখে ফেলে চমকে উঠেছিলেন। নিজের চোখে এত কুৎসিত ঘটনা দেখে শুধু চমকেই ওঠেন নি, ক্ষোভে ফেটেও পড়ে ছিলেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দাম্পত্য কলহ বেধে যায় এবং এক সময় তা চরম আকার নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মুহাম্মদ সেই পুরানা কৌশলটাই ফের অবলম্বন করেন এবং আল্লাহর দোহাই পাড়েন। বলেন, আল্লাহর আদেশেই তিনি মারিয়ার সঙ্গে সহবাস করেছেন। তাতেও কলহ থামে না দেখে শেষ অস্ত্র তালাকের ভয় দেখান হাফসা ও আয়েষাকে। তালাকের ভয় দেখিয়ে তাঁর স্ত্রীদের মুখ বন্ধ করেছিলেন। তিনি এরূপ বহু কুৎসিত কাজ করেছেন, তারপর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আল্লাহর দোহাই পেড়েছেন। এই হলো তাঁর সততা ও সত্যবাদীতা। আসল ঘটনা হলো তিনি এত মিথ্যাচার করেছেন যা প্রায় অবিশ্বাস্য। এ কাজে তাঁর সমকক্ষ পাওয়া ভার। মুহাম্মদ বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নারীবাদী ব্যক্তিত্ব – এমন দাবী মুসলমানদের। তিনি নারীকে পরাধীনতা থেকে মুক্তি ও পুরুষের সমান অধিকার প্রদান করেছেন এমন দাবী শোনা যায়। কিন্তু আসল ঘটনা হলো ঠিক তার বিপরীত। নারীদের প্রতি আল্লাহর নামে মুহাম্মদ কি কি নির্দেশ প্রদান করে গেছেন তা দেখা যাক – নারী থাকবে গৃহের মধ্যে (কোরান-৩৩/৩৩), নারী সদা স্বামীর যৌনকামনা পূরণে তৎপর থাকবে, কেননা নারী পুরুষের শস্যক্ষেত্র( োরান- ২/২২৩), পুরুষ স্ত্রীকে ধমকাবে, গাল দেবে, প্রহার করবে, ইচ্ছে হলে তালাক দেবে, কারণ পুরুষ হলো নারীর কর্তা (কোরান-৪/৩৪)। নারী গৃহের বাইরে একা একা বেরোবে না, একজন পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে নেবে এবং অবশ্যই বোরকা পরবে (কোরান-২৪/৩১, ৩৩/৫৯)। প্রাক ইসলাম যুগে আরবে নারী অনেক স্বাধীন ছিলন এবং তাঁরা অনেক অনেক অধিকার ভোগ করতেন। নারী পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমন কি যুদ্ধেও অংশ নিতে পারতেন। বিয়ের আগে বর নির্বাচন করতে ও পতির দুর্ব্যবহার অসহনীয় হলে পতিকে তালাক দিতেও পারতেন। নারীর সে সকল স্বাধীনতা মুহাম্মদ আল্লহর নামে সম্পূর্ণ হরণ করে নিয়েছেন। মুহাম্মদ একদা বহুলাংশে স্বাধীন নারীকে করেছেন গৃহবন্দী ও বোরকাবন্দী। ঘরের বাইরে বের হলে পুরুষের হেফাজতে যেতে হবে ও বোরকা পরতে হবে – এমন বিধান তো নারীর চরম অপমান, এতো নারীকে দাসী বানানোর সামিল । মুহাম্মদ আরো নানাভাবে নারীকে অপমান করেছেন। তিনি বলেছেন - যদি কোনো ব্যক্তি সঙ্গম করার ইচ্ছায় স্ত্রীকে আহ্বান করে সে যেন তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয় যদিও সে উনানের ওপর থাকে (মুসলিম শরীফ)। তিনি বলেছেন - ‘The woman who dies with whom the husband is satisfied will go to paradise’। আরো বলেছেন, ‘আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তির সামনে সিজদা করার নির্দেশ দান করতাম তবে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্যে’ (তিরমিযি)। ‘আমি আমার অনুপস্থিতিতে পুরুষের জন্যে মেয়েদের চেয়ে অধিকতর ফিতনা ও ক্ষতিকর কিছু রেখে যায় নি’(বোখারি ও মুসলিম)। ‘নারীর নেতৃত্ব মানবে যে জাতি তারা ধ্বংস হবে’ (মুসলিম হাদিস)। নারীর বিরুদ্ধে এরূপ অসংখ্য অপমানজনক উক্তি করেছেন মুহাম্মদ। অথচ মুহাম্মদ নারীজাতির মুক্তিদাতা, সমানাধিকার দাতা, সম্মান দাতা, রক্ষাকর্তা এরূপ কত কথাই না শোনা যায়। নারী নাকি পিতামাতার সম্পত্তির ভাগ পেতো না, মুহাম্মদ তাঁদের সে অধিকার দেন। এটা সত্য হলে খাদিজা কিভাবে বিশাল ধন-সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন ? মুহাম্মদ বরং নারীর অংশ পুরুষের তুলনায় অর্ধেকে নামিয়ে দেন। নারীকে সবচেয়ে বেশী অপমান করেছেন মুহাম্মদ ‘গণিমতে’র মাল বানিয়ে। বলেছেন যুদ্ধবন্দী নারী হলো গণিমতের মাল, তাকে স্ত্রীর মতো ভোগ করা বৈধ। অর্থাৎ তিনি আল্লাহর নামে পরনারীকে ধর্ষণ করা মুসলমানদের জন্যে বৈধ বলে বিধান তৈরী করেন। এত কুৎসিত আইন আগে ছিলো কি না জানা নেই। তিনি নিজেও ঐ নারীদের ভোগ করেছেন অবলীলায়। মদিনা থেকে সব শেষে ইহুদীদের যে গোষ্ঠীর সকল পুরুষদের মুন্ডুচ্ছেদ করেছিলেন তাঁদের সেনাপতির যুবতী ও রূপসী স্ত্রী রায়হানাকে সেদিনই তিনি বলপূর্বক ভোগ করেন। অনুরূপ ঘটনা ঘটিয়েছিলেন খাইবারেও। অতর্কিতে খায়বার আক্রমণ করে এবং সেখানকার ইহুদীদের হত্যা করে তাদেরই নিহত সেনাপতি কেনানার পরম সুন্দরী স্ত্রী সফিয়াকে সে রাত্রেই একই কায়দায় ভোগ করেন। এই হচ্ছে নারীর মুক্তিদাতা, সম্মান দাতা, রক্ষাকর্তা মুহাম্মদের আসল পরিচয়। গোটা বিশ্বে আজ মহাসমারোহে মুহাম্মদের জন্মদিন পালিত হচ্ছে। উদ্যোগে, আয়োজনে ও পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে মুসলিম যুবরাই । ওরা যদি জানতো মুহাম্মদ আসলে কি রকম ছিলেন, তাহলে নিশ্চয় তারা এমনটা করতো না। তাই তাদের উদ্দেশ্যেই এ লেখাটা। নিবন্ধটি লিখি মুহাম্মদের জন্মদিনেই (১৪/০১/১৪), যেদিন না জেনে না বুঝে মুসলমানরা তাঁর জন্মদিন উদযাপন করছিলেন সেদিন। মুহাম্মদ সম্পর্কে সত্য উদঘাটন করার সেটাইতো সবচেয়ে ভালো দিন। ১৫/০১/১৪ তারিখ নিবন্ধটি আমার ব্লগে পোষ্ট করি, তারপর সামান্য কিছু পরিমার্জন করে আবার আজ(১৮/০১/১৪) পোষ্ট করা হলো। যাঁরা সমর্থন করে তাঁরা শেয়ার করলে খুশী হবো। at January 19, 2014 Email ThisBlogThis!Share to TwitterShare to FacebookShare to Pinterest

3 comments:

  1. Sala kuttar bacca saradin gaja kas ar aisob likos na. Koi packet kaicos kutta? Togo to morar voy nai, haramir bacca.

    ReplyDelete
  2. লিখে কোন লাভ নেই দাদা। যারা বোঝার তারা এমনিই বুঝবে, যারা বোঝার নয়, তারা হাজার পড়েও বুঝবে না।

    ReplyDelete
  3. আপনার মাথায় গোবর ছাড়া যে আর কিছু নেই তা এই ব্লগ থেকে বুঝা গেলো এই আরটিকেল টি পড়ুন http://www.gainpeace.com/index.php?option=com_content&view=article&id=63:what-non-muslim-scholars-said-about-prophet-muhammed-peace-be-upon-him&catid=41&Itemid=105

    ReplyDelete

KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...