Sunday, April 22, 2018

হোক পঞ্চায়েত নির্বাচন, মমতা ব্যানার্জী কিন্তু পাখীর চোখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটাকেই

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৮ হওয়ার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের নির্ঘন্ট অনুযায়ী ১লা, ৩রা ও ৫ই মে। কিন্তু কলকাতা উচ্চ আদালতের আদেশে মাঝপথে নির্বাচন প্রক্রিয়া বেশ কয়েকদিন স্থগিত থাকায় নির্বাচন যে পিছোচ্ছে তা নিয়ে সংশয় নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন কখন হবে তা জানার জন্যে আগামী সোমবার (২৩/৪/১৮) অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতিতে যে জটিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে সোমবারই যে নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে পারবে, আর ঘোষণা হলেও যে সেটা আবার আদালতে চ্যালেঞ্জড হবে না তার নিশ্চয়তা নেই। পরিস্থিতি যে কখন কোন দিকে গড়াবে কে বলতে পারে। সুতরাং পঞ্চায়েত নির্বাচন কখন হবে সে প্রশ্নটি মুলতুবি থাক। আর তাছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে আমার কাছে সেটা খুব বড় প্রশ্ন নয়, যেটা বড় প্রশ্ন তা হল, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনই কি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আগামী লোকসভা নির্বাচনের পথের কাটাগুলি তুলে ফেলতে চাইছে? এটা আলোচনা করার জন্যেই এই নিবন্ধের অবতারণা।   
পঞ্চায়েত নির্বাচন যবেই হোক কীভাবে হবে এবং কেমন হবে তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে মনোয়নয়ন পত্র জমা দেবার পর্বে যে সন্ত্রাস আমরা চাক্ষুস করেছি দুরদর্শনের পর্দায় এবং ১১ই এপ্রিল মনোয়নয়ন পত্র পরীক্ষা (স্ক্রুটিনি) শেষে যে তথ্য আমাদের হস্তগত হয়েছে তাতেইস্ক্রুটিনি শেষে দেখা গেছে যে দু’টো জেলা পরিষদ (বীরভূম ও বাঁকুড়া) বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পকেটে পুরে ফেলেছে যার মধ্যে বীরভূম জেলা পরিষদ তো প্রায় বিরোধীশুন্য, ৪২ আসনে ৪১টিপশ্চিমবঙ্গে এটা বেনজির। শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আসন দখলের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাম জমানায় ২০০৩ সালে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তারা ১১% আসন দখল করেছিল। সেটাই ছিল তাদের ৩৪ বছরের আমলে সর্বোচ্চ। এত বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রে বিরোধীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারার জন্যে সরকার ও শাসক দলের তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। তাতে শাসক দলের নেতৃবৃন্দ বোধ হয় লজ্জা অনুভব করেছিলেন। তাই পরের দফায় ২০০৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জেতা আসন নেমে যায় অর্ধেকে, ৫.৫৭ শতাংশে তৃণমূল কংগ্রেসে বোধ হয় লজ্জা পাওয়ার সংস্কৃতি   নেই। তাই ২০১৩ সালে পঞ্চায়েতে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ১১% আসন দখল করার পর প্রবল সমালোচিত হয়েও নির্বিকার ছিল। লজ্জা যে অনুভব করেনি তা বোঝা গেল এবারের পরিসংখ্যানে। এবার তারা গতবারের তুলনায় এবার আরও আড়াইগুণ (প্রায় ২৮%) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যানটা এরূপঃ ৪৮৬৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায়  জয়ী ১৩৫০০ আসনে। এই সংখ্যাটা ২৮% আসনেই যে আটকে থাকবে না তাও নিশ্চিত করে বলা  যায় সেটা ৩৫%, ৪০% কিংবা ৫০% হতেও পারে। কারণ, লাগাম ছাড়া সন্ত্রাস সত্ত্বেও যারা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পেরেছেন তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে মনোনয়ন পত্র তুলে নেবার জন্যে। প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন পত্র না তুললে প্রাণনাশের  হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। 
গায়ের জোরে পঞ্চায়েত দখল করার চেষ্টা বাম আমলেও হয়েছে, কিন্তু সেটা কখনোই এরূপ সর্বাত্মক ছিল না। তারা পঞ্চায়েতকে বিরোধীশুন্য করার পরিকল্পনাও কখনো করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখা যাচ্ছে যে তারা শুধু সিংহভাগ পঞ্চায়েত দখল করেই থেমে থাকতে রাজী নয়। গোটা পঞ্চায়েত ব্যবস্থাটাকেই তারা পকেটে পুড়ে নিতে চায়। তাই তারা চাইছে যে কোনও মুল্যে পুরো পঞ্চায়েতকেই  বিরোধীশুন্য করতে কিন্তু এটা তো শুধু বুথ দখল করে করা সম্ভব নয়তাই তাঁদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার বহু আগে থেকেই গ্রামে গ্রামে ভয়ের পরিবেশ রচনা করা যাতে বিরোধী দলের লোকেরা ভয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রার্থী হতে না চায়। পরিকল্পনায় তাঁরা নিশ্চয় কিছুটা সাফল্য পেয়েছেতাঁদের দ্বিতীয় পরিকল্পনা ছিল যেখানে যেখানে হেরে যাওয়ার ভয় আছে সে সব জায়গায় মনোনয়ন পর্বেই মনোনয়ন পত্র জমা দেবার কেন্দ্রগুলিকে দখল করা যাতে বিরোধীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারে। এই কাজটি কত নগ্নভাবে তারা সম্পন্ন করেছে তা বৈদ্যুতিন চ্যানেলের কল্যাণে সারা দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। মনোনয়ন পত্র জমা দেবার কেন্দ্রগুলি তথা বিডিও অফিস এবং এসডিও অফিসগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস পিকেট বসিয়েছে পুলিশ পিকেটের আদলেপিকেট বসিয়েছিল বিডিও অফিস এবং এসডিও অফিস যাওয়ার পথে রাস্তার মোড়ে মোড়েওতৃণমূল কংগ্রেসের বাহিনি বাসে বাসে যাত্রীদের তল্লাশি চালিয়েছে কারা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছে তা চেক করার জন্য যেমন পুলিশ তল্লাশি চালায় মাদক দ্রব্য চালানকারিদের ধরার জন্যে। পিকেটকারী তৃণমূলীরা যে নিরস্ত্র ছিল না তা বলা বাহুল্য। লাঠি, বোমা ও রিভলভার প্রভৃতি নানারূপ অস্ত্রশস্ত্রে তারা সকলেই সজ্জিত ছিল। বিরোধী দলের প্রার্থীরা বিডিও অফিস বা এসডিও অফিসে   যাওয়া মাত্রই তাদের উপর পিকেটকারীরা হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং  নৃশংসভাবে প্রহার করে তাদের কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র কেড়ে নিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেছে। বিরোধী দলের সম্মানীয় প্রবীণ নেতা, সাংসদ, বিধায়ক প্রমুখ সম্মাননীয় জনপ্রতিনিধিরা, এমনকি মহিলারাও নিষ্কৃতি পায় নি ঐ বাহিনীর হাত থেকেতারা নৃশংসভাবে মেরে মাথা ফাটিয়েছে প্রাক্তন সাংসদ প্রবীণ বাসুদেব আচারিয়া ও রামচন্দ্র ডোমের মত সজ্জন ব্যক্তিদেরও। চুলের মুঠি ধরে টানাহ্যাঁচড়া করে, এবং কিল চড় ঘুষি মেরে একেবারে আদিম নির্লজ্জতায় হেনস্থা করেছে মহিলাদেরও। শাসক দলের এই সন্ত্রাস ও অসভ্যতা বর্ণনা করা মানুষের সাধ্যের অতীত।
মনোনয়ন পত্র জমা দেবার পর্ব জুড়ে শাসক দলের এই অদৃষ্টপূর্ব তাণ্ডব ও অসভ্যতার প্রতি বিরোধী দলগুলি বারবার নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও আমলাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং অবাধে মনোনয়ন পত্র জমা দেবার সুষ্ঠ ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র যে ভূমিকা পালন করেছে তা খুবই হতাশাব্যাঞ্জক। এই তিনটি সংস্থার প্রত্যেকটির সাংবিধানিক কর্তব্য হলো প্রত্যেক প্রার্থীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যাতে মননয়ন পত্র জমা দেবার সময় থেকে শুরু করে ভোট গণনার দিন পর্যন্ত নিশ্চিন্তে এবং অবাধে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী ভূমিকা পালন করেছে সে বিষয়ে যাওয়ার পূর্বে পুলিশের ভুমিকার উপর দৃষ্টিপাত করা যাক। গোটা রাজ্যে সাধারণভাবে পুলিশের যে ভুমিকা চোখে পড়েছে তাতে কখনোই মনে হয় নি যে সংবিধান প্রদত্ত কর্তব্য পালন করার সামান্যতম আগ্রহ তাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। ফলে বিডিও অফিস ও এসডিও অফিসগুলিতে শাসক দল যে   বেআইনী সশস্ত্র ক্যাম্পগুলি বসিয়েছিল সেগুলি তোলার চেষ্টা করতে পুলিশকে কোথাও দেখা যায় নি। পুলিশ বরং অস্ত্রধারী তৃণমূল কংগ্রেসের তাণ্ডববাহিনীকেই সুরক্ষা প্রদান করেছে। বিরোধী দলগুলি সংঘবদ্ধভাবে যেখানেই শাসক দলের সশস্ত্র হামলা প্রতিরোধ করে মনোনয়ন পত্র জমা দেবার চেষ্টা করেছে তখনই কেবল পুলিশকে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে এবং তারা শাসক দলের পক্ষে সক্রিয় হয়ে বিরোধী দলের লোককেই মূলতঃ গ্রেপ্তার করে লক আপে পুরেছে। পুলিশ এরূপে নগ্নভাবেই শাসক দলের দুষ্কৃতিদের দমন করার পরিবর্তে পালন করেছে এবং বিরোধী পক্ষের নিরস্ত্র মানুষদের পালন করার পরিবর্তে দমন করেছে। পুলিশের এরূপ সংবিধান-বিরুদ্ধ ভূমিকাকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা যে আমলাদের তাঁরাও তাঁদের কর্তব্য পালন করার আগ্রহ দেখান নি। এটা স্পষ্ট যে কারও অঙ্গুলি হেলনেই যে পুলিশ প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র সাংবিধানিক কর্তব্য পালন করা থেকে বিরত রয়েছে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে। কিছু কিছু পুলিশ ও আমলা ব্যক্তিগত স্বার্থে বা ভয়ে সরকারের বশংবদ হয়ে থাকে। কিন্তু পুরো পুলিশ প্রশাসন ও আমলাতন্ত্রের এরূপ বশংবাদ হওয়ার ঘটনা ইতিহাসে বিরল।
নির্বাচন কমিশনের অশেষ ক্ষমতা। সে ক্ষমতা সংবিধান তাকে দিয়েছে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার জন্যে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঠিক তার উল্টো কাজটাই করছে। নির্বিঘ্নে মনোনয়ন পত্র জমা দেবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করার ক্ষেত্রে কোনও চেষ্টাই করতে দেখা যায় নি মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে। সুপ্রীম কোর্টের আদেশে সন্ত্রাসের কারণে যারা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারে নি তাদের জন্যে মনোনয়ন পত্র জমা দেবার সময় সীমা একদিন বাড়িয়েও তিনি সেটা বাতিল করে দেন। শাসক দলের চাপেই যে তিনি বাতিল করেছেন তা দিবালোকের মত স্পষ্ট। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য তিনি যে অনাবশ্যক দীর্ঘ সময় রেখেছেন তা যে শাসক দলের স্বার্থেই তা বলা বাহুল্য। রাজ্য সরকারের পুলিশ দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয় জেনেও তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনি আনার কার্যতঃ কোনও চেষ্টাই করে নি। মোদ্দা কথা হলো, রাজ্য  নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও স্বশাসিত সংস্থা এবং বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সও্বেও সংবিধান নির্দেশিত নিরপেক্ষ ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার পরিবর্তে সরকারের তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করছে।
তৃণমূলের কংগেস সরকারের কাজকর্ম নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ঠিকই। তবুও রাজ্যে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে সুষ্ঠভাবে ভোট হলেও সব কটা জেলা পরিষদ এবং অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতেই শাসক দল জয়লাভ করবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা। এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে শাসক দল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এত নগ্নভাবে বিরোধীদের উপর বল্গাহীন সন্ত্রাস নামাচ্ছে কেন? সেটা কি শুধুই পঞ্চায়েত থেকে বিরোধীদের মুছে দিতেই? না কি সেটা ছাড়াও আরও কিছু কারণ আছে? অনেকেই বলছেন যে মমতা ব্যানার্জীর বিরোধীদের মুছে দিতে বেপরোয়া হওয়ার তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমতঃ - তিনি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁর দল ও নিজের উপর। দ্বিতীয়তঃ - বিজেপির ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও সাংগঠনিক শক্তি এবং তাঁর দলের তীব্র অন্তর্দ্বন্দকে তিনি ভয় পাচ্ছেন। তৃতীয়তঃ - কংগ্রেস ও সিপিএম সিট সমঝোতা করে একসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করতে পারে এমন সম্ভাবনা ক্রমশঃ উজ্জ্বল হচ্ছে। সিপিএম ও কংগ্রেসের এই সম্ভাব্য রসায়নকেও তিনি ভয় পাচ্ছেন।   
বিরোধীদের মুছে দেওয়া মানেই তো গণতন্ত্রকেই মুছে দেওয়া। সেটা করার চেষ্টা মানেই তো নিজের কবর খোঁড়া। শুধু উপরে বর্ণিত কারণগুলির জন্যে মমতা ব্যানার্জী গণতন্ত্রের উপর স্টীম রোলার চালিয়ে নিজের পতন ডেকে আনছেন বলে মনে হয় না। এমন হিটলারি পদক্ষেপ করার পেছনে অন্য কারণ আছে বলে মনে হয়। জাতীয় পরিস্থিতির দিকে তাকালে সেটা বোঝা যায়। সামনে বছর (২০১৯ সালে) লোকসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জীর মনে করছেন যে কেন্দ্রে অবিজেপি ও অকংগ্রেসী সরকার তৈরী হবেএবং তিনি এও বিশ্বাস করেন যে রাজ্যের ৪২টা সিটই যদি তিনি জিততে পারেন তবে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সব থেকে এগিয়ে থাকবেন।  এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি তাই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকেই পাখীর চোখ করেছেন। সেই নির্বাচনে ত্রিস্তরের পঞ্চায়েতের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সেজন্যেই তিনি পঞ্চায়েত থেকে বিরোধীদের মুছে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।  
১৮.০৪.১৮

KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...