Thursday, June 18, 2015

Reply to the allegations raised against me raised by Abu Taleb Shaikh – 2nd part



“in response to ur post ...kafirder jekhane pao hatta koro...I like to inform u not to avoid the context of the Treaty between the nonbeliever n believers. again u r doing a false propaganda not related to Islam ..u r quoting verse no 5 of chapter 9 . But why r u avoiding verse no ,6 ??, n why r u jumping like a fox into verse 7 ?? . Ok sir I understand why r u jumping bcz verse no 6 answers ALL ur false allegationss.. If u r a real communist ,disclose chapter no 09 verse no...”
 The above words written Abu Taleb Shaikh were posted on my timeline in response to my post given below.
-  “কোরান বলেছে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে এবং সম্পর্ক না করতে । শুধু তাই নয়, বলেছে ওদের যেখানে পাও হত্যা কর ।
কোরানের কথা তো মিথ্যা হতে পারে না । কারণ, আল্লাহ কি মিথ্যা কথা বলতে পারে ? ভারতে তো স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত-কলকারখানা-ব্যবসাকেন্দ্র-মাঠ-ঘাটে কাফিরদের ছড়াছড়ি । তাহলে এখানকার মুসলমানরা কিভাবে চলবে ? প্রশ্নটা আমার নয়, এই প্রশ্নটা মুসলমানদেরই । তারা উত্তর খুঁজছে ।”
 আবু তালেব-এর উক্ত জবাবের প্রেক্ষিতে এটা আমার জবাবের দ্বিতীয় ভাগ । একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি ও একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তির মধ্যে বিতর্ক ও আলোচনা চলতে পারে না জেনেও তার তোলা  অভিযোগগুলির জবাব কেনো দিচ্ছি তা প্রথম ভাগে বলেছি এও বলেছি যে কেনো তার ইংরাজীতে লেখা জবাবের উত্তর বাংলা ভাষায় লিখছি । সুতরাং এখন তবে সরাসরি অর্থাৎ ভূমিকা ছাড়াই দ্বিতীয় ভাগের উত্তরটা শুরু করা যেতে পারে -   
আবু তালেব আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে আমি বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যেকার চুক্তিটা এড়িয়ে গিয়েছি এবং  ইসলামের সঙ্গে সম্পর্ক বিবর্জিত যতো  সব মিথ্যা প্রচারণা করছি । আমাকে প্রশ্ন করেছে, আমি  ন’ নম্বর সুরা [অধ্যায়] – এর পাঁচ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করেছি, কিন্তু ঐ সুরারই ছ’ নম্বর আয়াতটি কেনো এড়িয়ে গিয়েছি ? এবং  শৃগালের মতো লাফ দিয়ে কেনো ছ’ নম্বর সুরা টপকে সাত নম্বর আয়াতে চলে গিয়েছি ?   
আবু তালেবের এই অভিযোগগুলি পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে যে  আমার বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ ও ক্রোধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ধর্মান্ধ মানুষদের যা হয়   । ফলে  একদিকে যেমন তার ভাষায় অসংযম ফুটে উঠছে, অপরদিকে তেমনই আমি কী লিখছি তা ঠিক মতো উপলব্ধি করার জন্যে আমার কথাগুলো ভালো করে পড়ার ক্ষেত্রে তার ধৈর্যচ্যুতিও ঘটছেতালেব আমার বিরুদ্ধে  ইসলামের সঙ্গে সম্পর্ক বিবর্জিত মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ তুলেছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে, সে নিজেই আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছে তার সঙ্গে আমার বলা কথাগুলোর কোনো সম্পর্ক  নেই । আমি নাকি বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যেকার চুক্তিটি এড়িয়ে গিয়েছি ! আমি নাকি তওবা সুরার [ন’ নম্বর সুরা] পাঁচ নম্বর  আয়াত উদ্ধৃত করেছি এবং ছ’ নম্বর আয়াত এড়িয়ে গিয়েছি বা পাঁচ থেকে ‘শৃগালের মতো’  লাফ দিয়ে সাত নম্বরে চলে গিয়েছি । তালেবের এ সব অভিযোগ শুনে  তার তিন জন বুন্ধু আবার হৈ হৈ করে হাততালিও দিয়েছে   এই তিন জনের মধ্যে নৈমুদ্দিনও আমার প্রাক্তন ছাত্র এবং বাকি দুজন আমার পাড়ার ছেলে । এরা তিনজনই উচ্চ শিক্ষিত ।
কিন্তু আমি কোথায় ঐ আয়াতটি উদ্ধৃত [আবু তালেব লিখেছে - u r quoting verse no 5]  করেছি ? আমি তো কোনো আয়াতই উদ্ধৃত করি নি । আমি বলেছি কোরান বলেছে যে, ‘ওদের [কাফিরদের] যেখানে পাও হত্যা করো’ । এটা কি কোনো উদ্ধৃতি ?   কাফিরদের হত্যা করার আদেশ তো শুধু ৯/৫ নং আয়াতেই নেই, এরূপ আদেশ কোরানের আরো অনেক আয়াতেই আছে । আমি তাই নির্দিষ্ট করে ৯/৫ নং আয়াতের কথা উল্লেখই করি নি, উদ্ধৃত করা তো পরের কথা ।  সুতরাং বিশ্বাসী ও  অবিশ্বাসীদের মধ্যেকার  চুক্তি এবং  ৯/৬ নং আয়াতটি  এড়িয়ে যাওয়ার বা  ৯/৫ নং থকে লাফ দিয়ে  ৯/৭ নং আয়াতে চলে যাওয়ার  প্রশ্নটাই অপ্রসঙ্গিক, অবান্তর, বিভ্রান্তিকর ও হাস্যকর      
হত্যা করার আদেশ আল্লাহ তথা মুহাম্মদ আর যে আয়াতগুলিতে সরাসরি দিয়েছে তার দু’/একটা দৃষ্টান্ত দেওয়া যাক । এরূপ  আদেশ বাকারা সুরার [২ নং অধ্যায়]  ১৯১ নং আয়াতেও রয়েছে । আয়াতটি বলছে -   “যেখানেই পাবে তাদের হত্যা করবে, এবং যে স্থান হতে তোমাদের বহিষ্কার করেছে, তোমরাও সে স্থান হতে তাদের বহিষ্কার করবে । ... ”  এর চেয়েও ভয়ঙ্করভাবে হত্যা করার আদেশ আছে কোরানে ৫ নং অধ্যায় তথা সুরা মায়দার ৩৩ নং আয়াতে । আল্লাহ বলছে এ আয়াতে – “যারা আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি উৎপাদন করে, নিশ্চয় তাদের শাস্তি এই যে – তাদের হত্যা করো, কীংবা তাদের শূল-বিদ্ধ করো, অথবা তাদের হাত তাদের পা বিপরীত দিক হতে কর্তন করো, কিংবা তাদের দেশ হতে বহিষ্কার কর এটাই তাদের পার্থিব প্রতিফল ... ” কোরানে অসংখ্য আয়াত আছে যেখানে মুসলমানদের কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ, উৎসাহ ও প্রেরণা দেওয়া হয়েছে । আর জিহাদ মানেই তো হত্যা করার আদেশ দেওয়া তা বলা বাহুল্য শুধু আত্মরক্ষা করার জন্যে নয়, সারা বিশ্ব ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ রয়েছে কোরানে যা অনুসরণ করছে মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি বিশ্বজুড়ে । কোরান বহু  বার এ রকম কথা বলেছে যে যতদিন না সমগ্র পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয় ততদিন জিহাদ করবে।   ২/১৯৩ নং আয়াত  হলো  সে রকম একটি – “তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত অশান্তি দূরীভূত না হয়, এবং আল্লাহর ধর্ম প্রতিষ্ঠিত না হয়  ... ।”  
আবার বলছি যে  ৯/৫ নং আয়াতটি উদ্ধৃত করা তো দূরের কথা, আমি এই আয়াতটির উল্লেখও পর্যন্ত করিনি তবু তালেব এই আয়াতটিকে অকারণ টেনে এনেছে এবং তার সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট চুক্তি ও ৯/৬ নং আয়াতটিকে জুড়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছে  যে, আমি নাকি শুধু শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করছি । এবং আরো অভিযোগ করেছে যে ৯/৬ নং আয়াতটি আমি একজন ধুর্তের মতো চেপে গেছি । কেনো চেপে গিয়েছি তার জবাব সে নিজেই দিয়েছে, বলেছে এই আয়াতটাতে  নাকি আমার সব মিথ্যা প্রচারণার উত্তর রয়েছেএরূপ গায়ে জ্বালা মেটানো বা নিজের রাগের উপশম করার জন্যে মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগের জবাব দেওয়া  আমার কাছে অরুচিকর মনে হয় এবং জবাব দিতে গিয়ে আমার মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করা  সমীচীনও মনে করি না ।  কিন্তু যেহেতু বলেছে যে ৯/৬ নং আয়াতে সব মিথ্যা প্রচারের জবাব আছে এবং তার এই কথায় অনেকেই প্রভাবিত হয়েছে তাই আমাকে আমার ব্যস্ত সময়ের অনেকটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছেই   
৯/৬  নং আয়াতটি বুঝতে হলে তার আগের কয়েকটি আয়াত আগে জানা আবশ্যক ।  সব আগে    ৯/৫ নং আয়াতটি উদ্ধৃত করা যাক  । আয়াতটি বলছে, “অতঃপর নিষিদ্ধ মাসসমূহ বিগত হলে, অংশীবাদীদের যেখানে পাবে বধ করবে, তাদের বন্দী করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে, কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় তবে তাদের মুক্ত করে দেবে; নিশ্চয় আল্লাহ্ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু   তালেব বলেছে যে এই আয়াতটির সঙ্গে একটি চুক্তির সম্পৃক্ততা আছে যেটা আমি সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছি ।  আবারো বলছি তালেব তার কল্পনার জগত থেকে এ সব  অভিযোগ উত্থাপন করেছে যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই । তথাপি  এবার  সেই চুক্তিটির  কথা আলোচনা করতে চাই । কেননা, এটা এখন আমার কাছে  প্রাসঙ্গিক ও আবশ্যক হয়ে গিয়েছে । তালেব কোন  চুক্তিটির কথা বলেছে তা উল্লেখ করে নি । ৯/৫ নং আয়াতের সঙ্গে যে চুক্তিগুলি সম্পৃক্ত সেগুলি সম্পাদিত হয়েছিলো অবিশ্বাসী ও বিশ্বাসীদের মধ্যে মক্কা জয়ের  পূর্বেই ।  চুক্তি হয়েছিলো মুহাম্মদের সঙ্গে সেই সব অবিশ্বাসী গোত্রগুলির যারা ছিলো কোরেশদের শত্রু । চুক্তিগুলি ছিলো মূলতঃ সন্ধিচুক্তি । সেক্ষেত্রে প্রধান শর্ত ছিলো যে তারা পরষ্পরের  বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না    মক্কা জয়ের পর মুহাম্মদ কিন্তু নির্মমভাবে ও অকারণে সেই চুক্তিগুলি  বাতিল করে দেন যা তাঁর সুবিধাবাদী নীতিকেই প্রকট করে ।
তিনি যখন দুর্বল ও অসহায় ছিলেন তখন সন্ধি করেন,  যেই বিপুল শক্তি অর্জন করলেন তেমন একতরফা  সব চুক্তি বাতিল  করে দেন ।  কোনো আলোচনা ছাড়াই এবং  একতরফাই যে  সকল সন্ধিচুক্ত  বাতিলের ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন তার প্রমাণ রয়েছে ৯/১ নং আয়াতে   ৯/১ নং আয়াতের সেই ভয়ঙ্কর ঘোষণাটি হলো –“   তোমরা  যাদের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করেছিলে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পক্ষ হতে সেই অংশীবাদীগণের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো ।” এই ঘোষণাটি পরে একটু সংশোধন করে ৯/৪ নং আয়াতে তিন বললেন  যে  চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত তা পালন করা হবে । সেই ভাষ্যটি হলো –“তবে অংশীবাদীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ, এবং পরে যারা চুক্তি রক্ষায় কোনো ত্রুটি করে নি, তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুক্তি পালন করবে ।” এখানে কিন্ত  চুক্তিটি আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না সে কথা  ঘোষণা করে দেওয়া হলো । ৯/৪ নং এবং ৯/৫ নং আয়াত দু’টির বিস্তারিত ভাব সম্প্রসারণ করা হয়েছে  হাদিসে ও কোরানের তফসিরে । প্রখ্যাত তফসিরকার ইবনে কাথির লিখেছেন, “ ... ইবনে আব্বাস বলেন যে যাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, আল্লাহ তাদের জন্য চার মাসের সময় নির্ধারণ করে দেন । আর যাদের সাথে চুক্তি ছিল না তাদের জন্য হারাম মাসগুলো অতিক্রান্ত হওয়াকে সীমা নির্ধারণ করেন । ... এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ [সঃ] –কে তাদের সাথে যুদ্ধ করা অনুমুতি দেওয়া হয় যে পর্যন্ত না তারা ইসলাম গ্রহণ করে।   আর যাদের সাথে চুক্তি রয়েছে তারা ১০ই যিলহজ্ব ঘোষণার দিন থেকে নিয়ে ২০শে রবিউল আখির পর্যন্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করবে । অতঃপর ইচ্ছা হলে মোকাবিলা করবে ।” [সূত্রঃ ইবন কাথিরের তফসির, ৮ম-১১শ’ খণ্ড, পৃ-৬৩৫,৬৩৬]   মুহাম্মদ যখন তাঁর প্রয়োজন হয়েছে তখন সন্ধি করেছেন, যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে তখন সন্ধি ভেঙে দিয়েছেন – এটাই ছিলো তাঁর নীতি ।  কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজী – এই নীতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন । আবু তালেব আমার বিরুদ্ধে চুক্তির কথা এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছে । এমন চুক্তি আমি কেনো আড়াল করবো বা এড়িয়ে যাবো, আড়াল  করলে ওরা করবে  
এবার আসা যাক ৯/৬ নং আয়াত প্রসঙ্গে ।  এই আয়াতটি বলছে – “যদি অংশীবাদীদের কেউ তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করে, তুমি তাকে আশ্রয় দেবে যাতে সে আল্লহর বাণী শুনতে পায়, অতঃপর তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দেবে, কারণ তারা অজ্ঞ লোক ।”  এই আয়াতে তালেব দাবি করেছে যে, আমার তথা-কথিত সকল মিথ্যা প্রচারণার  জবাব রয়েছে । আচ্ছা, এই আয়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে কি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং কাফিরদের হত্যা করার আদেশ বা বিধানগুলি রহিত করে দেওয়া হয়েছে ? না, সে রূপ কোনো কথা নেই । তা হলে  কোরান কাফিরদের হত্যা করতে বলেছে - এটা মিথ্যা প্রচারণা হয় কীভাবে ? এই আয়াতটিতে বলেছে অংশীবাদীরা কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করলে তাকে আশ্রয় দিবে এবং পরে তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিবে । কোন অংশীবাদীদের  কথা এখানে বলা হয়েছে তা নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ আছে, অন্ততঃ দুটো মত রয়েছে।   একটা মত হলো যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান চালানো হয় সেই অংশীবাদীদের কেউ আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দিতে হবে। আর একটা মত হলো অমুসলিম দেশ বা রাষ্ট্র থেকে কোনো দূত বা অন্য কোনো ব্যক্তি বিশেষ কোনো কাজ নিয়ে যদি ইসলামি রাষ্ট্রে আসে তবে সেই অংশীবাদীকে আশ্রয় দিতে হবে । প্রথম মতানুসারীরা বলছেন, আয়াতটিও বলছে যে আশ্রয় দেওয়াটা কিন্তু নিঃস্বার্থে বা বিনা উদ্দেশ্যে নয়।   তাকে আল্লাহর বাণী শুনিয়ে মুসলমান করা হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। অবশ্য তার মুসলমান না হওয়ার অধিকারও থাকবে  । সেই আশ্রিত মুশরিক যদি  মুসলমান না হয়ে  নিজ বাসভূমে ফিরে যায় তবে কি তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে ? আবু তালেব এখানে খুব জোর দিয়ে বলেছে যে, হ্যাঁ তার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঐ আয়াতে বলা হয়েছে । সে পরের কমেন্টে লিখেছে then escort him to where he can be SECURE..... l The right word is SECURE ....not sure which is mistaken in the post..কিন্তু সতিই কী তাই ? মোটেই না । ফিরে গেলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আল্লাহ যে কথাটা ঐ আয়াতে উহ্য আছে থাকলেও অন্য অনেক আয়াতে রয়েছে । এমনকি ৯/৬ নং আয়াতের তফসিরেও সে কথা  আছে যা পাওয়া যায় ইসলামি পণ্ডিতদের কাছ থেকে । গিরিশচন্দ্র সেন    তফসিরে সে কথাটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন । তিনি লিখেছেন -  “পরে তাহার আশ্রয়ভূমিতে তাহাকে প্রেরণ কর” ইহার অর্থ কোরআন শ্রবণ করিয়া যদি সে এসলাম ধর্ম অবলম্বন না করে, তবে তাহাকে তাহার আশ্রয়ভূমি গৃহে ফিরিয়া যাইতে দাও, পরে তাহার সঙ্গে সংগ্রাম কর(, হো,)  সুতরাং এটা স্পষ্ট হয় যে আশ্রয়প্রার্থী মুশরিককে নিরাপত্তা দেওয়াটা কিছুক্ষণের জন্যে মাত্র, চিরদিনের জন্যে নয়   ‘পরে তাহার সঙ্গে সংগ্রাম কর’ – এর মানে হলো,  হয়  প্রাণের মায়ায় তাকে স্বধর্ম ত্যাগ করতে হবে, নতুবা স্বধর্ম রক্ষায় প্রাণ ত্যাগ করতে হবে । আশ্রয়প্রার্থী মুশরিক ব্যক্তি বলতে ঠিক কাকে বোঝানো হয়েছে সে সম্পর্কে দ্বিতীয় মতটি সম্পূর্ণ অন্য রকম ।  সেটা হলো এরূপঃ  “যদি কোন অমুসলিম দেশ থেকে কোন দূত বা ব্যবসায়ী অথবা সন্ধি করতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি কিংবা জিযিয়া আনয়নকারী কোন ব্যক্তি কোন মুসলিম রাষ্ট্রে আগমন করে এবং ইমাম বা নায়েবে ইমাম যদি তাকে নিরাপত্তা প্রদান করেন তবে যে পর্যন্ত তিনি ইসলামি রাষ্ট্রে অবস্থান করবে এবং স্বদেশে না পৌঁছবে সেই পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হারাম । কিন্তু এরূপ ব্যক্তিকে বছর ধরে বাস করার অধিকার দেওয়া যাবে না ।  [সূত্রঃ ইবনে কাথিরের তফসির, ৮ম-১১শ’ খণ্ড, পৃ-৬৪৭]  সুতরাং এই দু’টি তফসিও প্রমাণ করছে  যে,   কোরান মুশরিকদের   নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছে বলে আবু তালেব সেখ উচ্চৈঃস্বরে যে দাবি করছে তা অবাস্তব,  ভিত্তিহীন ও মনগড়া । বরং তালেবের ভাষাতেই এ কথা নিঃসংশয়ে বলা যায় যে, তালেব ও তার সমমনস্ক বন্ধুরা যে দাবি করছে যে ইসলাম  হত্যা ও হিংসার কথা বলে না, ইসলাম শান্তির ধর্ম  এবং ইসলামই একমাত্র ধর্ম যে সকল মুশরিকদের  নিরাপত্তা  সুনিশ্চিত করেছে তারাই অবিরাম মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে     

   

Reply to the allegations raised against me raised by Abu Taleb Shaikh, my ex-student - 1st part



“in response to ur post ...kafirder jekhane pao hatta koro...I like to inform u not to avoid the context of the Treaty between the nonbeliever n believers. again u r doing a false propaganda not related to Islam ..u r quoting verse no 5 of chapter 9 . But why r u avoiding verse no ,6 ??, n why r u jumping like a fox into verse 7 ?? . Ok sir I understand why r u jumping bcz verse no 6 answers ALL ur false allegationss.. If u r a real communist ,disclose chapter no 09 verse no...”
The above quoted words were posted by Abu Taleb Shaikh on my timeline in response to one of my posts. Taleb who is now an assistant teacher of a High Scool is one of my ex-students. He alleged that I jumped some verses of Koran and so he compared me with a fox. It’s nothing new. He told me once that I’m zero in Islam. He then advised me to read Koran and know about Islam. In the above post he alleged that I was propagating false allegations against Islam. I’m not astonished to read such comments. As he is a bigoted person, I can’t expect better than what he did. Religion is always a backward conception, thought and ideology and it has no scientific base. A person who is much proud of his/her religion he/she must be orthodox and bigoted and can’t think reasonably. Taleb is inheriting his religious culture and so he lost courtesy to honour his seniors and teachers. Let it go. Let me answer him. But I intend to reply in my mother tongue so that everyone involved directly or indirectly from my side and his side can understand easily my words. As there are two parts on my post, I answer in two parts. This is the first part; you will see the 2nd part in separate post. Hope you will keep your eyes on my wall.
আবু তালেব, আমার প্রাক্তন ছাত্র, আমার একটা পোস্টের জবাবে আমার টাইম লাইনে যে কথাগুলি বলেছে সেগুলি আমি সব উপরে [যেমনটি লিখেছে হুবহু] উদ্ধৃত করেছি । তালেব যা লিখেছে তার অর্থ হলো এ রকমঃ ‘কাফিরদের হত্যা কর’ - আপনার এই পোস্টের জবাবে  আপনাকে জানাতে চাই যে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসিদের মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল সেই প্রেক্ষিতটা এড়িয়ে যেতে পারেন না ।  আপনি আবার মিথ্যা প্রচারণা করছেন যার সঙ্গে ইসলামের সম্পৃক্ততা নেই ... আপনি ন’ নম্বর সুরার পাঁচ নম্বর আয়াতটি উল্লেখ করছেন । কিন্তু কেন আপনি ছ’নম্বর আয়াতটি এড়িয়ে গেলেন ? এবং কেনো শৃগালের মতো সাত নম্বর আয়াতে লাফ দিয়েছেন ? ঠিক আছে স্যার, আমি জানি কেনো ছ’ নম্বর  আয়াতটি এড়িয়ে গেছেন । এটা এ জন্যে যে ঐ আয়াতে আপনার সব মিথ্যা প্রচারণার উত্তর রয়েছে । আপনি যদি সত্যিই একজন কম্যুনিস্ট হন তাহলে ন’ নম্বর সুরার ... নং আয়াতগুলি উন্মোচন করুন । [নিম্ন রেখাটা আমার]
তালেবের উদ্ধৃতির নীচে আমি যা লিখেছি তার অর্থ হলো এ রকমঃ উপরের উদ্ধৃতিটি আবু তালেব সেখের যে আমার একটি পোস্টের জবাবে আমার টাইম লাইনে পোস্ট করেছে । তালেব যে এখন একটি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সে আমার একজন প্রাক্তন ছাত্র । সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে আমি শৃগালের মতো কোরানের কয়েকটি লাফ দিয়ে পার হয়েছি । এটা নতুন কিছু নয় । সে একবার আমাকে বলেছিলো যে আমি ইসলাম সম্পর্কে সম্পুর্ণ অজ্ঞ এবং ইসলামের আমি কিছুই জানি না । তারপর সে আমাকে করে কোরান পড়ার এবং ইসলামকে জানার উপদেশ দিয়েছিলো । উপরের পোস্টে সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে,  আমি ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করছি । আমি তার এ সব মন্তব্যে অবাক হই নি । যেহেতু সে একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি তাই আমি তার কাছে ও যা করেছে তার চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি । ধর্ম সর্বদাই পিছিয়ে পড়া ধারনা, চিন্তা ও মতাদর্শ এবং এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই ।  যে নিজের ধর্ম নিয়ে বেশী রকমের অহঙ্কার করে সে যুক্তি দিয়ে কিছু চিন্তা করতে অক্ষম । তালেব তার ধর্মীয় সংস্কৃতির উত্তয়াধিকার বহন করছে, ফলে সে তার যারা বড়ো ও শিক্ষক তাদের সম্মান জানানোর সৌজন্যবোধ হারিয়ে ফেলেছে । থাক সে কথা ।  তার অভিযোগগুলির জবাব দেওয়া যাক । আমি অবশ্য আমার মাতৃভাষাতেই জবাব দিব যাতে আমার ও তার দিক থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত তারা যাতে আমার কথাগুলো সহজেই বুঝতে পারে ।  আমার পোস্টটিতে দুটি অংশ রয়েছে, তাই দুটি ভাগে জবাব দিবো – এটা প্রথম ভাগ । দ্বিতীয় ভাগটি পৃথকভাবে দিব, আশাকরি আগ্রহী বন্ধুরা আমার ওয়ালে চোখ রাখবেন ।    
আমার জবাবঃ
জবাব দেবার পূর্বে আমার যে পোস্টটিতে আবু তালেব বেজায় ক্রুদ্ধ হয়েছে  সেই প্রথমে পোস্টটি উদ্ধৃত করা যাকতার পোস্টের পাশাপাশি আমার সেই পোস্টটি থাকলে পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হবে আমাদের মধ্যে কে সঠিক কথা বলছে । আমার সেই পোস্টটি হলোঃ  
“কোরান বলেছে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে এবং সম্পর্ক না করতে । শুধু তাই নয়, বলেছে ওদের যেখানে পাও হত্যা কর ।
কোরানের কথা তো মিথ্যা হতে পারে না । কারণ, আল্লাহ কি মিথ্যা কথা বলতে পারে ? ভারতে তো স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত-কলকারখানা-ব্যবসাকেন্দ্র-মাঠ-ঘাটে কাফিরদের ছড়াছড়ি । তাহলে এখানকার মুসলমানরা কিভাবে চলবে ? প্রশ্নটা আমার নয়, এই প্রশ্নটা মুসলমানদেরই । তারা উত্তর খুঁজছে ।”
লক্ষ্য করুন, আমি যে কথাগুলো লিখেছি তাতে স্পষ্টতঃ দুটি অংশ রয়েছে ।  প্রথম অংশে আছে, আল্লাহ [কোরান] মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে ও এবং সম্পর্ক না করতে বলেছে ।  দ্বিতীয় অংশে রয়েছে, আল্লাহ বলেছে কাফিরদের যেখানে পাবে বধ করবে ।  আবু তালেব আমার সম্পর্কে বলেছে যে আমি শৃগালের মত লাফ দিয়ে একটা আয়াতকে ডিঙিয়ে অন্য আয়াতে চলে গেছি । এই ফালতু অভিযোগের বিষয়ে যা বলার দ্বিতীয় ভাগে বলবো ।  কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে আবু তালেব নিজেই লাফ দিয়ে প্রথম অংশটি ডিঙিয়ে দ্বিতীয় অংশে পা রেখেছে । আবু তালেবের মতো আমি বলতে চাই না যে ও কেনো লাফ দিয়ে প্রথম অংশটি ডিঙিয়ে পরের অংশে চলে গেছে তা আমি জানি । আবু তালেব কিন্তু অভিযোগ করেছে যে আমি ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছি । সে কারণে প্রথম অংশে আমি যা বলেছি তাও মিথ্যা প্রচারণা বলে গণ্য হবে । সুতরাং আমি যা বলেছি তা মিথ্যা নয় তা প্রমাণ করার দায় আমার উপর বর্তায় । সেটা করতে গিয়ে যে সময়টা আমি ব্যয় করবো তা তালেবের জন্যে নয় । কারণ ওর মধ্যে যে ধর্মান্ধতা লক্ষ্য করছি তাতে ওর মাথায় কোনো তথ্য, যুক্ত ও প্রমাণই ঢুকবে না । আমাকে সময়টা ব্যয় করতে হচ্ছে অন্যদের জন্যে যাদের মধ্যে দয়াল, নৈমুদ্দিন ও আরো কেউ কেউ আছে যারা তালেবের পোস্টটিকে লাইক করেছে । নৈমুদ্দিন, সেও আমার প্রাক্তন ছাত্র, তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে মন্তব্য করেছে wow, excellent ! এরা সবাই ভেবেছে, তালেব দারুণ জবাব দিয়েছে আমাকে যার জবাব আমার কাছে নেই এবং তারাও বিশ্বাস করেছে যে আমি সত্যিই মিথ্যা প্রচার করছি ইসলামের বিরুদ্ধে । এরা প্রথমতঃ কোরান, হাদিস ও ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তো বটেই, দ্বিতিয়তঃ এদের ঘটেও বুদ্ধি তেমন কিছু আছে বলে মনে হয় না । আমি কেনো ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করতে যাবো ? আমার কী স্বার্থ আছে ? মুসলিমদের একটা অংশ এতো উগ্র, হিংস্র ও অসহিষ্ণু যে, যে ইসলামের সমালচনা করবে তারই গর্দান থেকে মুণ্ডুটা নামিয়ে দিবে ।  তা হলে আমি কেনো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে যাবো ? থাক সে কথা, এবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক । কোরানের কোথায় কোথায় কাফিরদের সম্পর্কে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক না করতে বলা হয়েছে তার প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাক । 
অনেক আয়াতেই এ সব কথা বলা হয়েছে । তার কয়েকটি হলো -  ৩/২৮, ৩/১৮-১২০;  ৪/১৪৪, ৯/২৩,  ৫৮/২২, ৫/৫৫-৫৭, ৫/৫১ ইত্যাদি । কয়েকটি আয়াত উদ্ধৃত করা যাক ।
মুমিনগণ যেন মুমিনদের ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে; এবং তাদের আশংকা হতে আত্মরক্ষা ব্যতীত যে এরূপ করে সে আল্লাহ্ নিকট কিছুই নয়; আর আল্লাহ্তোমাদেরকে স্বীয় পবিত্র অস্তিত্বের ভয় প্রদর্শন করেছেন এবং আল্লাহ্রই দিকে ফিরে যেতে হবে /২৮  
হে মুমিনগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত  অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে ত্রুটি করে না । তোমরা কষ্টে থাক তাতেই তাদের আনন্দ । শত্রুতাপ্রসূত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে ওঠে আর যা কিছু তাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে আছে তা আরও অনেকগুণ বেশী জঘন্য । তোমাদের জন্য নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেওয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সামর্থ হও৩/১১৮
মক্কা জয়ের পর মুহাম্মদ আল্লাহর মুখ দিয়ে আবার ঘোষণা দেন যে মুশরিকদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখা যাবে না । এ প্রসঙ্গে কোরান ঘোষণা করছে –
·         মহান হজের দিন আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পক্ষ হতে এটি ঘোষণা যে – আল্লাহর সঙ্গে অংশীবাদীদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তাঁর রসুলের সঙ্গেও না ।  ৯/৩
আল্লাহর এই নির্দেশ যদি কোনো মুসলমান অগ্রাহ্য করে তা হলে কী হবে ? আল্লাহ বলছে সে ব্যক্তি যদি তোমার পিতা বা ভাইও হয় তবে তাকেও পরিত্যাগ করতে হবে । এ প্রসঙ্গে কোরান বলছে -
·           হে মুমিনগণ ! তোমাদের পিতা ও ভাই ঈমান বাদে কুফরীকে ভালোবাসিলে তাহাদেরকে অন্তরঙ্গ বানাইও না; যাহারা বানাই তাহারাই যালিম । ৯/২৩
কাফিরদের সঙ্গে কেনো বন্ধুত্ব নয় ? কারণ ওরা আল্লাহর শত্রু । কোরান বলছে –
·         ‘ ... নিশ্চয় কাফেরগণ তোমাদের শত্রু ।  ৪/১০১ 
·         ‘যে আল্লাহর, ফিরিস্তাদের, রাসূলদের, জিব্রাইলের ও মিকাঈলের শত্রু হয়, সে জানিয়া রাখুক যে আল্লাহ কাফিরদের শত্রু ।   ২/৯৮   
কাফিররা  শুধু শত্রুই নয়, ওরা নিকৃষ্ট জীব এবং জন্তুর মতো খায় । এ প্রসঙ্গে  কোরানে ভাষ্য হলো -       
·         যাহারা কুফরী করে ও ঈমান আনে না তাহারা নিকৃষ্ট জীব ।  ৮/৫৫
·         কাফিররা ভোগে মগ্ন, জন্তুর মত খায়, তাদের আবাস জাহান্নামে ।  ৪৭/১২
এ রকম হীরা, মণি, মাণিক্যসম আয়াত আরো অনেক আছে কোরানে । এ সব অমৃত বাণী নিয়ে আমার তো কোনো সমস্যা নেই ।  আমি তো নাস্তিক, মানে মোরতাদ, আমেকে আল্লাহ তো হেদায়েতই  করে নি । হেদায়েত না করে উল্টে আমাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছে ।  তাই আমার কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বাধা নেই, তাই কোরানের এই সব আয়াতগুলি নিয়ে আমার কোনো অসুবিধা নেই,  প্রশ্নও নেই । অসুবিধাটা মুসলমানদের, তারাই বিব্রত বোধ করে, তাই প্রশ্নটা তাদেরই।    কারণ তারা তো বিশ্বাস করে  যে কোরানের প্রতিটি কথা, এমনকি প্রত্যেকটি বর্ণ নির্ভুল, অকাট্য,  সত্য ও চিরন্তন  । কোরানকে সম্পূর্ণরূপে নির্ভুল ও সত্য গ্রন্থ মানলে তো কাফিরদের সঙ্গে মেশা যাবে না । তা হলে এ দেশে মুসলমানরা কী করবে ? কাফিররা যখন নিকৃষ্ট    জন্তুর মতো খায় এবং আল্লাহ ও নবির শত্রু, তখন তো ওদের সঙ্গে চলাফেরা করলে মুসলমান থাকা যায় না । তা হলে তারা কী করবে ? এ প্রশ্নের তো তারা উত্তর চায় । একটা কিছু তো বলতে হবে । এড়িয়ে গেলে কিংবা লাফ দিয়ে ডিঙিয়ে গেলে চলবে কেনো ? আবু তালেব তো নিশ্চয় বিজ্ঞ কোরান ও ইসলাম সম্পর্কে, আমাকে আদেশ দেয়ার ঢঙে উপদেশ দেয় ভালো করে কোরান পড়া ও ইসলামটা বোঝার জন্যে, তার নিশ্চয় এর উত্তর জানা আছে । সে উতরটা দিয়ে মুসলমানদের ধন্যবাদার্হ হোক ।


KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...